অ্যাপশহর

UP-তে গণধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচার, ২ সপ্তাহ লড়াইয়ের পর দিল্লির হাসপাতালে মৃত তরুণী

গণধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের পর আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তরুণী। তরে ২ সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষে অবশেষে হার মানলেন তিনি। মঙ্গলবার দিল্লির হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

EiSamay.Com 29 Sep 2020, 12:04 pm
এই সময় ক্রাইম ডেস্ক: গণধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের পর সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তরুণী। তরে ২ সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা কষে অবশেষে হার মানলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
EiSamay.Com up woman who gang-raped and tortured 2 weeks ago, dies in delhi hospital
প্রতীকী ছবি।


উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে নিজের গ্রামেই গণধর্ষিতা হয়েছিলেন ২০ বছরের তরুণী। পাশাপাশি তাঁর উপর চলে নৃশংস অত্যাচার। শরীরে বেশ কয়েকটি হাড় ভাঙা অবস্থায় এব জিভ কাটা অবস্থায় তাঁকে সে রাজ্যেরই একটি হাসপাতালের আইসিউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় সোমবার রাতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির হাসপাতালে। তবে মঙ্গলবার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।

চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষিতা মেয়েটি তফশালি জাতিভুক্ত, তবে অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই উচ্চবর্ণের। গত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটে চলায়, দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিগৃহীতার পরিবারের অভিযোগ. প্রথমে তাদের কোনও সাহায্যই করেনি পুলিশ। পরে জনরোষের চাপে পড়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।

VDO: পুলিশের ডিজি মগ্ন পরকীয়ায়, ধরে ফেললেন স্ত্রী! তারপর বেদম মার...

গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে হাথরাসে নিগ্রহের শিকার হয় মেয়েটি। পরিবারের সঙ্গে ঘাস কাটছিলেন ওই তরুণী। তখনই সেখান থেকে ওড়না ধরে টানতে টানতে মেয়েটিকে একটি মাঠে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। নিগৃহীতার দাদা জানিয়েছেন, 'ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন আমার মা, দাদা ও বোন। এক গোছা ঘাস নিয়ে আগেই দাদা বাড়ি ফিরে আসেন। মা আর বোন তখনও ঘাস কাটছিল। তাঁরা একে-অপরের থেকে একটু দূরে ছিল। তখনই পেছন থেকে ৪-৫ জন এসে আমরা বোনের গলার ওড়না টানতে টানতে বাজরার ক্ষেতে নিয়ে যায়। মা কিছুক্ষণ পর বুঝতে পান যে বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। বোনকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে ওরা ধর্ষণ করেছে। প্রথামকভাবে পুলিশ আমাদের কোনও সাহায্য করেনি। তারা দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ৪-৫ দিন পর তারা এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়।'

ফিরে এল নির্ভয়া কাণ্ডের স্মৃতি, রাতভর বাসে গণধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হল রাস্তায়!

তবে দেরিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। হাথরাসের পুলিশপ্রধান বিক্রান্ত বীর জানিয়েছেন, 'এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য ও যতটা সম্ভব নিগৃহীতার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য পুলিশ যথাসাধ্য দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দ্রুত তদন্ত হবে এটা আশ্বাস দিচ্ছি এবং ফাস্ট ট্রাক কোর্টে মামলার শুনানির ব্যবস্থা করছি।'

(The victim's identity has not been revealed to protect her privacy as per Supreme Court directives on cases related to sexual assault)

(নিগৃহীতার পরিচয় গোপন রাখা হল মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী)

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর