এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সারদা চিট ফান্ড নিয়ে ED-র করা মামলা থেকে মুক্তি চেয়ে আবেদন জানালেন সুদীপ্ত সেন। সোমবার ED-র বিশেষ আদালতে আবেদন করেন তিনি। ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুদীপ্ত সেনকে। সূত্রের খবর, PMLA আইনের চার নম্বর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। আইন মোতাবেক, সেই ধারায় সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ সাত বছর হয়। অথচ ED-র এই মামলায় তিনি ইতিমধ্যেই সাত বছর ১১ মাস জেল খেটেছেন। সাজার সময় পূরণ হয়ে যাওয়ার পরেও, তাকে জেলে রাখা হয়েছিল। সেই কারণে মামলা থেকে মুক্তির আবেদন করা হয়েছে। সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, ওই মামলায় তাকে পরে জামিন দিয়েছিল আদলত। কিন্তু, সে সময় জামিনের টাকা ছিল না। তাই মুক্তি পাননি বলেই দাবি করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে Enforcement Directorate ওই মামলার চার্জশিট জমা দেয়। যদিও তার কপি পাননি বলে অভিযোগ তোলেন সুদীপ্ত। এদিন তার আবেদন গ্রহণ করে ৪ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
এদিকে ২০১৩ সালে সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেনের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। এই রাজ্যে দেবযানীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছিল CBI। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ১১৯টি মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। পরে সেই মামলার মধ্যে ২১টিকে মান্যতা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে সেসব মামলাকে একত্রিত করে পাঁচটি পৃথক মামলা চালাচ্ছিল নিজাম প্যালেস। এছাড়াও ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটিতে দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ED। সেই মামলাতেই জামিন পান তিনি। পরে CBI এর সব মামলাতেই জামিন পেয়েছেন। বাকি শুধু ভুবনেশ্বর। অতিমারীর কারণে সেখানে শুনানি বন্ধ থাকায় ওই ক্ষেত্রে এখনও জামিন মেলেনি। ফলে জেলেই রয়েছেন তিনি।
তবে রাজ্যের বাকি মামলাই দেবযানীর মুক্তির পথে কাঁটা। আরও একটি কাঁটা হল রি- কল স্লিপ পুড়ে যাওয়া। ওই লিস্ট জেল থেকে বেরনোর একমাত্র টিকিট ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর জানুয়ারি মাসে দমদম মহিলা জেলে বিক্ষোভ হয়েছিল এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই খোয়া গিয়েছে এই স্লিপ। যা জামিনের পরে মুক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। ফলে আদৌ তিনি মুক্তি পাবেন কিনা তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন রয়েছে।প্রসঙ্গত, সারদা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে দেবযানীর বিরুদ্ধে।
এদিকে ২০১৩ সালে সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেনের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। এই রাজ্যে দেবযানীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছিল CBI। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ১১৯টি মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। পরে সেই মামলার মধ্যে ২১টিকে মান্যতা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে সেসব মামলাকে একত্রিত করে পাঁচটি পৃথক মামলা চালাচ্ছিল নিজাম প্যালেস। এছাড়াও ভুবনেশ্বর এবং গুয়াহাটিতে দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ED। সেই মামলাতেই জামিন পান তিনি। পরে CBI এর সব মামলাতেই জামিন পেয়েছেন। বাকি শুধু ভুবনেশ্বর। অতিমারীর কারণে সেখানে শুনানি বন্ধ থাকায় ওই ক্ষেত্রে এখনও জামিন মেলেনি। ফলে জেলেই রয়েছেন তিনি।
তবে রাজ্যের বাকি মামলাই দেবযানীর মুক্তির পথে কাঁটা। আরও একটি কাঁটা হল রি- কল স্লিপ পুড়ে যাওয়া। ওই লিস্ট জেল থেকে বেরনোর একমাত্র টিকিট ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর জানুয়ারি মাসে দমদম মহিলা জেলে বিক্ষোভ হয়েছিল এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই খোয়া গিয়েছে এই স্লিপ। যা জামিনের পরে মুক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। ফলে আদৌ তিনি মুক্তি পাবেন কিনা তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন রয়েছে।প্রসঙ্গত, সারদা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে দেবযানীর বিরুদ্ধে।