অ্যাপশহর

লকডাউনের মধ্যে অনার কিলিং, তরুণীকে খুন করে গোপনে শেষকৃত্য পরিবারের

করোনা আবহেই পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে ঘটল অনার কিলিংয়ের ঘটনা। বছরে ১৯-এর এক তরুণীকে খুন করল বাবা-মাস ও পরিবারের ৫ জন সদস্য। এমনকি লকডাউনের মধ্যেই চুপিসারে ওই তরুণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফেলেছে বলেও জানা গিয়েছে।

EiSamay.Com 29 Apr 2020, 2:05 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের সম্মান বাঁচাতে নিজের মেয়েকে পুড়িয়ে মারল বাবা-মা। গৃহকর্তার এই ‘মহৎ কাজে’ সাহায্য করল মৃতার মা এবং কাকা। এই ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুর এলাকায়। কিশোরীর মেয়েটির বাবা-মা, কাকা-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
EiSamay.Com ঘটনাস্থলে পুলিশ
ঘটনাস্থলে পুলিশ


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,গত ২২ এপ্রিল থানায় একটি মিসিং ডায়েরি লেখান ওই তরুণীর মা বলবিন্দর। নিজের রিপোর্টে তিনি লিখেছিলেন যে, মেয়ে কাউকে কিছু না বলেই নিখোঁজ হয়েছে। এই ঘটনায় আমনপ্রীত সিং ওরফে আমন নামে এক যুবকের প্রতি সন্দেহের কথাও বলেন তরুণীর মা। বলবিন্দরের কথায় ভজলান গ্রামের বাসিন্দা আমান-ই তাঁর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জড়িত। এর একদিন পরেই বলবিন্দর ফের পুলিশকে জানায় মেয়েকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে স্থানীয় গড়শঙ্কর রেল স্টেশনের কাছে। মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। পুলিশ গোপনে তদন্ত শুরু করে জানতে পারে, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমনপ্রীতের। প্রেমিকের বাড়িতেই গিয়েছিল সে। এরপর তার পরিবারের লোকেরা তরুণীকে খুঁজে বের করে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাহায্যে জোর করে ফিরিয়ে আনে বাড়িতে।

গোপন তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রহস্যের কিনারা করে ফেলে পুলিশ। সেদিন রাতেই মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান বলবিন্দর। তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তরুণীকে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে আরও দু’জন। তরুণীর এক তুতো ভাই শিবরাজ এবং তার সঙ্গী লল্লা।

কী করে হল রহস্যের কিনারা? পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তদন্তের স্বার্থে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে পুলিশ। পড়শিরা কেউই মেয়েটির সম্পর্কে পরিষ্কার করে কছুই বলতে পারছিল না। কিন্তু সেই পড়শিদের থেকেই পুলিশ জানতে পারে মেয়েটির চিৎকার শুনেছে অনেকে। এই পরিবার কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটাল তা নিয়েই ধন্দে রয়েছে পঞ্জাব পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

পরের খবর