অ্যাপশহর

নাতনিকে খুন দাদু-ঠাকুমার! কবর থেকে দেহ তুলে তদন্ত পুলিশের

১০ দিন আগে খুনের অভিযোগ নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। এবার কবর থেকে কিশোরীর দেহ তুলে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। অভিযোগ, মৃতার মা ও ছোট বোনকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়।

Lipi 19 Sep 2021, 3:50 pm

হাইলাইটস

  • ১২ বছরের এক কিশোরীকে খুন করে মাটিতে কবর দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর দাদু, ঠাকুমা ও কাকার বিরুদ্ধে।
  • মৃতের নাম ডলি খাতুন।
  • রবিবার তদন্তের জন্য মৃত কিশোরীর দেহ কবর থেকে তুলে তদন্ত শুরু করল পুলিশ।
EiSamay.Com Malda News
প্রতীকী ছবি
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংসতার সাক্ষী হল মালদহ। ১২ বছরের এক কিশোরীকে খুন করে মাটিতে কবর দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর দাদু, ঠাকুমা ও কাকার বিরুদ্ধে। মৃতের নাম ডলি খাতুন। দশদিন আগে এ নিয়ে অভিযোগ রুজু হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। রবিবার তদন্তের জন্য মৃত কিশোরীর দেহ কবর থেকে তুলে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। মিলনগড়ের কোচপুখুর এলাকার বাসিন্দা ডলিকে তার দাদু মেহতাব আলি, ঠাকুমা উজলেফা বিবি এবং কাকা তরিকুল ইসলাম মিলে খুন করেছে বলে অভিযোগ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জমি-জমা সংক্রান্ত কারণেই মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ডলির মা তাজকেরা বিবির। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরের BDO এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবল থেকে ডলির দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ বছর আগে মিলনগড়ের কোচপুখুর গ্রামের বাসিন্দা মেহতাব আলির ছেলে সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাজকেরা খাতুনের। তাঁদের দুই মেয়ে, ডলি ও সখিনা। গত শুক্রবার সকাল ন'টা নাগাদ ১২ বছরের ডলি এবং ন' বছরের সখিনাকে বাড়িতে রেখে তাজকেরা ও তাঁর স্বামী কৃষিকাজের জন্য জমিতে গিয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই তাঁর দেওর সাহাবুদ্দিনকে ফোন করে জানায়, ডলির মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান তাজকেরা ও সাহাবুদ্দিন। তাঁরা বাড়িতে এসে দেখেন, বাড়ির উঠোনের খাটে ডলির দেহ পড়ে রয়েছে। সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় তাজকেরার শ্বশুর-শাশুড়ি। গোটা ঘটনায় তাজকেরা সন্দেহ বোধ করলেও শ্বশুর, শাশুড়ির হুমকির ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি।

হাওড়ায় মনুয়া কাণ্ডের ছায়া, প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন স্ত্রীর!
অভিযোগ, গত শনিবার বড় মেয়ের মত তাঁকে ও ছোট মেয়েকেও খুন করা হবে বলে তাজকেরার দেওর হুমকি দেয়। এরপরই শ্বশুরবাড়ির লোকেদের নজর এড়িয়ে শনিবার বিকেলে বাপের বাড়িতে চলে যান তাজকেরা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে বড় মেয়েকে খুনের অভিযোগও দায়ের করেন। তাজকেরার কথায়, ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে ও ছোট মেয়েকেও খুন করার হুমকি দেয়। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, ডলিকে ওঁরাই খুন করেছে। আমি নিজেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’

তাজকেরার অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট, BDO ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC-র উপস্থিতিতে সখিনা খাতুনের মেয়ের মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার জেরে এলাকায় বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে।

পরের খবর

Crimeসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল