এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অমানবিক, বর্বর, নৃশংস বিশেষণের ভাণ্ডার শেষ হলেও ঘটনার বীভৎসতা বর্ণনা করা কঠিন। মেয়ে অপয়া এই অন্ধ বিশ্বাস থেকে নিজের ১১ বছরের কন্যাসন্তানকে দিনের পর দিন খেতে না দিয়ে ঘর বন্দি করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই জন্মদাতা পিতা ও মায়ের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর দেহে পচন ধরতে শুরু করলে জানাজানি হওয়ার ভয়ে বাড়ির মধ্যেই মেয়েকে পুঁতে ফেলে ওই দম্পতি। নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে পুঁতে ফেলে অভিযুক্ত। গা শিউরে ওঠা নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কানিজ ফতিমা জাভেদ আখতার শেখ। এই ঘটনার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতারাতি বাড়িতে তালা লাগিয়ে বাকি দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় মেয়েটির বাবা জাভেদ আখতার শেখ জামালুদ্দিন ও মা নাজিয়া পরবীন জাভেদ আখতার। যাওয়ার সময় সম্পর্কে মেয়েটির কাকার সঙ্গে দেখা হয় তাদের। এমন তাড়াতাড়িতে তাদের গ্রাম ছেড়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির। ফতিমাকে তাদের সঙ্গে না দেখতে পেয়ে সে কথা জিজ্ঞেস করাতেও তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারে না। সমস্ত ব্যাপারটি অত্যন্ত সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয় রামানন্দনগর থানায় পুরো ঘটনাটি জানান। একইসঙ্গে ফতিমার কাকা পুলিশকে তাঁর মৃত্যুর সম্ভাবনার কথাও জানায়।
বিষয়টি খতিয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছলে পুরো ঘটনা সামনে আসে। বাড়ির সামনের অংশ মাটি সদ্য খোঁড়া দেখে সন্দেহ জাগে তদন্তকারীদের। মাটি খুঁড়তে শুরু করতেই বেরিয়ে আসে কিশোরীর পচাগলা শব। দেহ শনাক্ত হওয়ার পর তা ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। পোস্টমর্টেমে জানা গিয়েছে কম করে ২-৫ দিন কোনও খাবার বা জল না খাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। এরপরই কিশোরীর পলাতক বাবা-মায়ের সন্ধানে নামে তদন্তকারীরা।
মৃতার বাবা জাভেদ আখতার শেখ জামালুদ্দিনকে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক কিশোরীর মা নাজিয়াও। পুলিশি জেরার মুখে অভিযুক্তরা স্বীকার করে, মৃত কিশোরীকে তারা অপয়া মনে করত। তাদের জীবনের সমস্ত দুর্ভাগ্যের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় ১১ বছরের মেয়েটিকে। এই রাগে তাঁকে ঘরে বন্ধ করে খেতে না দিয়ে তিলে তিলে মেরে ফেলার ছক কষে ওই দম্পতি। পাঁচদিন ধরে আর্তনাদ, কান্নাকাটি করেও জল-খাবার কিছুই না পেয়ে আস্তে আস্তে মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়ে অসহায় বাচ্চা মেয়েটি। বাবা মায়ের এমন নিষ্ঠুরতায় হতবাক তদন্তকারীরাও।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কানিজ ফতিমা জাভেদ আখতার শেখ। এই ঘটনার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতারাতি বাড়িতে তালা লাগিয়ে বাকি দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় মেয়েটির বাবা জাভেদ আখতার শেখ জামালুদ্দিন ও মা নাজিয়া পরবীন জাভেদ আখতার। যাওয়ার সময় সম্পর্কে মেয়েটির কাকার সঙ্গে দেখা হয় তাদের। এমন তাড়াতাড়িতে তাদের গ্রাম ছেড়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির। ফতিমাকে তাদের সঙ্গে না দেখতে পেয়ে সে কথা জিজ্ঞেস করাতেও তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারে না। সমস্ত ব্যাপারটি অত্যন্ত সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয় রামানন্দনগর থানায় পুরো ঘটনাটি জানান। একইসঙ্গে ফতিমার কাকা পুলিশকে তাঁর মৃত্যুর সম্ভাবনার কথাও জানায়।
বিষয়টি খতিয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছলে পুরো ঘটনা সামনে আসে। বাড়ির সামনের অংশ মাটি সদ্য খোঁড়া দেখে সন্দেহ জাগে তদন্তকারীদের। মাটি খুঁড়তে শুরু করতেই বেরিয়ে আসে কিশোরীর পচাগলা শব। দেহ শনাক্ত হওয়ার পর তা ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। পোস্টমর্টেমে জানা গিয়েছে কম করে ২-৫ দিন কোনও খাবার বা জল না খাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। এরপরই কিশোরীর পলাতক বাবা-মায়ের সন্ধানে নামে তদন্তকারীরা।
মৃতার বাবা জাভেদ আখতার শেখ জামালুদ্দিনকে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক কিশোরীর মা নাজিয়াও। পুলিশি জেরার মুখে অভিযুক্তরা স্বীকার করে, মৃত কিশোরীকে তারা অপয়া মনে করত। তাদের জীবনের সমস্ত দুর্ভাগ্যের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় ১১ বছরের মেয়েটিকে। এই রাগে তাঁকে ঘরে বন্ধ করে খেতে না দিয়ে তিলে তিলে মেরে ফেলার ছক কষে ওই দম্পতি। পাঁচদিন ধরে আর্তনাদ, কান্নাকাটি করেও জল-খাবার কিছুই না পেয়ে আস্তে আস্তে মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়ে অসহায় বাচ্চা মেয়েটি। বাবা মায়ের এমন নিষ্ঠুরতায় হতবাক তদন্তকারীরাও।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।