অ্যাপশহর

খুনের পরিকল্পনা ছিল ভুয়ো IPS রাজর্ষির! জড়িত কলকাতা পুলিশের ASI-ও

খুন করার পরিকল্পনা ছিল ভুয়ো IPS রাজর্ষির (Fake IPS)। চাঞ্চল্যকর তথ্য কলকাতা পুলিশের হাতে। এর সঙ্গে জড়িত এক আসল পুলিশ কর্মীও। জানুন বিস্তারিত.........

EiSamay.Com 29 Jul 2021, 8:40 pm

হাইলাইটস

  • ভুয়ো IPS কাণ্ডে (Fake IPS) চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে।
  • লালবাজার সূত্রে খবর, তাঁর এক বন্ধুর উপর নাকি নজর রাখছিল কোনও এক ব্যক্তি।
  • কাকে খুন করতে চেয়েছিল রাজর্ষি?
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো IPS কাণ্ডে (Fake IPS) চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। খুন করার ছক কষেছিল রাজর্ষি ভট্টাচার্য। তার জন্য ভাড়াটে খুনির সন্ধানেও ছিল সে। শুধু তাই নয়, এই গোটা পরিকল্পনায় তার সঙ্গে জড়িত ছিল পার্ক স্ট্রিট থানায় কর্মরত এক ASI। ইতিমধ্যেই ওই পুলিশ কর্মীকে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, কাকে খুন করতে চেয়েছিল রাজর্ষি?
লালবাজার সূত্রে খবর, তাঁর এক বন্ধুর উপর নাকি নজর রাখছিল কোনও এক ব্যক্তি। এমনটাই অনুমান ছিল ধৃত ভুয়ো IPS-এর। আর তাঁকেই খুন করতে চেয়েছিল রাজর্ষি। তাদের ভুয়ো কার্যকলাপ যাতে কোনওভাবেই প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্য রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিল এই জনৈক ব্যক্তিকে। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে এ ক্ষেত্রেই নাম উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের এক ASI-এর। পার্ক স্ট্রিট থানার ওই ASI-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই খুনের ছক কষেছিল ধৃত ভুয়ো IPS রাজর্ষি ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, পার্ক স্ট্রিট থানার ওই ASI এবং আরও এক কনস্টেবলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল রাজর্ষির। নিজেকে আসল IPS হিসেবে তাদের কাছে ভরসাযোগ্য করে তুলেছিল রাজর্ষি। জানিয়েছিল তার কিছু বিশেষ ক্ষমতার কথাও। এমনকী, কনস্টেবল ও ASI-কে রাজর্ষি জানায়, সে রাইফেল ক্লাবের সদস্য এবং তার বন্দুকগুলি লাইসেন্সপ্রাপ্ত।
নীলবাতি-নিরাপত্তারক্ষী সর্বক্ষণের সঙ্গী! কলকাতায় এবার ধৃত ভুয়ো IPS
সব মিলিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে এখন উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সমস্ত তথ্য। আর কী কী পরিকল্পনা করেছিল রাজর্ষি, কার কার সঙ্গে তার যোগসাজশ ছিল, সব নিয়ে তদন্তে গতি আনছে লালবাজার।
দেবাঞ্জনের পর এবার পুলিশের জালে আরও এক ভুয়ো IAS
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বাবাই ওরফে রাজর্ষি নিজেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বলে পরিচয় দিত। বহুদিন ধরেই বেলঘড়িয়া এলাকায় সে নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াত। তার পরিবার ও এলাকাবাসীও তাকে আসল অফিসার হিসেবেই জানত। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তার কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন এলাকার জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনিই রাজর্ষির নামে পার্কস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, রাজর্ষি তাঁর থেকে দু'লাখ টাকা দাবি করেন। তা না দিলে গ্রেফতারিরও হুমকি দেওয়া হয় জাকিরকে। অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নামে লালবাজার। এরপরই বেলঘড়িয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজর্ষিকে। ধৃত তাঁর দুই সঙ্গী অভিজিৎ দাস ওরফে সন্তু এবং মহম্মদ সিকন্দর।

পরের খবর

Crimeসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল