অ্যাপশহর

পুলিশের জালে নিউ টাউন পর্নোগ্রাফি কাণ্ডের পাণ্ডা

বিধাননগর পুলিশের বড়সড় সাফল্য। অভিযোগ রুজুর ১০ মাস পর নিউ টাউন পর্নোগ্রাফি কাণ্ডের মূল হোতাকে পাকড়াও করল পুলিশ। সে মডেলদের ফাঁদে ফেলার কাজ করত বলে অভিযোগ।

Lipi 25 Oct 2021, 3:43 am

হাইলাইটস

  • নিউ টাউনের পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
  • ১০ মাসের মধ্যেই কলকাতা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
  • ধৃতের নাম প্রকাশ দাস।
EiSamay.Com Kolkata News
প্রতীকী ছবি
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ টাউনের পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ১০ মাসের মধ্যেই কলকাতা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম প্রকাশ দাস। পুলিশ সূত্রে খবর, তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি চক্রে মডেল সাপ্লাই দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এক যুবতীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার প্রকাশ দাসকে রিজেন্ট পার্ক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। চ্যাট ঘেঁটে অনেক উঠতি মডেলের সঙ্গে কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, খতিয়ে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রকাশ দাস সোশ্যাল মিডিয়া মারফত বিভিন্ন উঠতি মডেলের সঙ্গে যোগাযোগ করত। তারপর তাদের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করত। পরবর্তীতে ওই মডেলদের পর্নোগ্রাফি চক্রের হাতে তুলে দেওয়াটাই ছিল ধৃতের কাজ। অভিযোগকারিনী ছাড়াও পাঁচ যুবতী বিভিন্ন থানায় প্রকাশ দাসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পেশায় মডেল এক যুবতী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় প্রকাশ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্ত প্রকাশের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। অভিযুক্ত নিজেকে টলিউডের প্রযোজক হিসেবে দাবি করে। সে যুবতীকে জানায় যে, রানিকুঠি এলাকায় তার প্রোডাকশন হাউস রয়েছে। অভিযোগ, যুবতীকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয। সেজন্য ওই উঠতি মডেল প্রকাশ দাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।

খাস কলকাতা থেকে উদ্ধার আড়াই কোটি টাকার সোনার বিস্কুট
যুবতী জানিয়েছেন, প্রকাশ প্রথমে তাঁকে দু'টি ছোট কাজ দেয়। এরপর তাঁকে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় করায়। পরবর্তীতে তাঁকে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদক পান করিয়ে জোর করে পর্নোগ্রাফি শ্যুট করায় বলে অভিযোগ। এরপর বারবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পর্ন ছবিতে কাজ করা হয় বলে অভিযোগ।

জোর করে গর্ভপাতের অভিযোগ, বধূর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য কালিয়াগঞ্জে
গত বছর ডিসেম্বর মাসে ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। গত মার্চে এই পর্নোগ্রাফি চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মূল অভিযুক্ত প্রকাশ দাস পলাতক ছিল এতদিন। অবশেষে ১০ মাস পর তার নাগাল পেল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

পরের খবর

Crimeসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল