আয়করে সাশ্রয়ের অন্যতম পদ্ধতি হল স্বাস্থ্যবিমা করা। করোনা সংক্রমণ স্বাস্থ্যবিমার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি করে বুঝিয়েছে। স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে বছরপিছু প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে করযোগ্য আয়ের 25,000 টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। এর অর্থ হল, আপনার করযোগ্য আয় 5,00,000 টাকা হলে এবং প্রিমিয়ামবাবদ বার্ষিক 10,000 টাকা দিতে হলে আপনার কর ধার্য হবে শুধুমাত্র 4,90,000 টাকার উপরে।
জীবনবিমার ক্ষেত্রে কর সাশ্রয়ে দু’টি সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথমত, প্রিমিয়ামবাবদ টাকার উপরে কর ছাড় পাওয়া যায়। তাছাড়া বিমার মেয়াদ সম্পূর্ণ হলে প্রাপ্ত মোট টাকা সম্পূর্ণ করছাড়ের আওতাভুক্ত। এর অর্থ প্রিমিয়ামবাবদ আপনি যা টাকা দেন, তার জন্য কর ধার্য হয় না। সেই পরিমাণ টাকা বাদ দিয়ে বাকি আয়ের উপরে কর ধার্য করা হয়। বার্ষিক প্রিমিয়াম দেওয়া বাবদ 1.5 লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড় দেওয়া যায়।
ইক্যুইটিতে আকর্ষণীয় হলে তাতে কর সাশ্রয় হয় না। বরং শেয়ার বাজার থেকে ভাল আয় করলে সরকারকেও তার ভাগ দিতে হয়। তবে কয়েকটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড যেমন ELSS (Equity-Linked Saving Scheme) মিউচ্যুয়াল ফান্ডে 1.5 লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যায়। এইক্ষেত্রে Long Term Capital Gains Tax-এও ছাড় পাওয়া যায়। ফলে এখান থেকে লাভ সম্পূর্ণ করমুক্ত।
সরকারি প্রকল্প যেমন PPF, EPF, NPS-এ টাকা বিনিয়োগ করলে তা থেকে করছাড় পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রেও 1.5 লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যায়। তবে উল্লেখযোগ্য, এই ক্ষেত্রে লক-ইনের মেয়াদ দীর্ঘকালীন। যেমন PPF-এর ক্ষেত্রে লক-ইন মেয়াদ হল 15 বছর। এই সময়ের আগে বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকৃত অর্থ পাবেন না।
ঋণের উপরে বিশেষ করে গৃহঋণের উপরে করছাড় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মূলধন এবং বিনিয়োগকৃত অর্থ, উভয়ের উপরেই করছাড় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে 1.5 লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাওয়া সম্ভব। গৃহঋণ ছাড়াও শিক্ষাঋণের ক্ষেত্রেও করছাড় পাওয়া যায়।