অ্যাপশহর

দার্জিলিং-দিঘায় পর্যটক দুর্ভোগে উদ্বেগ, নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

স্থানীয়দের বিক্ষোভে দার্জিলিং এবং দিঘায় পর্যটক দুর্ভোগের ঘটনায় উদ্বিগ্ন শিল্পমহল। এতে আগামীদিনে রাজ্যে পর্যটন ব্যবসা ধাক্কা খেতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার।

Ei Samay 14 Jun 2020, 3:56 am
এই সময়: একটু একটু করে ছন্দে ফেরার শুরুতেই তাল কাটল পর্যটনে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দার্জিলিং, দিঘা বা মন্দারমণিতে হোটেল খুলতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়লেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে দুর্ভোগের শিকার হতে হল পর্যটকদের। টানা তিন মাসের লকডাউনে পর্যটন ব্যবসায় মন্দা নেমে এসেছিল পাহাড় থেকে সমুদ্রে। আনলক-১ শুরু হওয়ার পর প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও দার্জিলিং বা দিঘাতে শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে তা আত্মহত্যার সামিল বলে মনে করেন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি সম্রাট সান্যাল। তিনি বলেন, ‘এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আর কী হতে পারে? এ আমাদের চরম লজ্জা। এ বার কিন্তু অন্ধকার আমরাই ডেকে আনছি। এই মুহূর্তে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। না হলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোনও পথ থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘পাহাড় থেকে দিঘা, এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে সরকারি স্তরে সমন্বয়ের কতটা ফাঁক রয়েছে। এই দায় তো আমাদের নয়। একদিকে সরকার ঢালাও হোটেল-রিসর্ট খোলার ছাড়পত্র দিচ্ছে, অথচ নিরাপত্তা যে শূন্য তা দার্জিলিং আর দিঘার ঘটনায় তার প্রমাণ।’ দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘যে ভাবে স্থানীয়রা হোটেল খোলার প্রতিবাদ জানাচ্ছে তাতে হোটেল কর্মীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এখনই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত প্রশাসনের।’
EiSamay.Com digha 2


শুক্রবার কলকাতার চার পর্যটককে হোটেল ছেড়ে চলে যেতে বলেন স্থানীয়রা। হোটেলের ম্যানেজার এমনকী কর্মীরাও তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দার্জিলিঙের ওই হোটেলের এক কর্মী বলেন, ‘ওনারদের কোনরকমে পার করতে পেরে যতটা স্বস্তিতে আছি, ততটাই শঙ্কিত। কারণ এরপর হয়তো আমাদের উপর আক্রমণ নেমে আসবে। আমরা সত্যিই আতঙ্কিত।’ হেল্প ট্যুরিজমের মুখপাত্র রাজ বসু বলেন, ‘বেড়াতে যাওয়ার আগে এখন আরোগ্য সেতু অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। তারপরেই তাঁকে বেড়াতে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয় নবান্ন। তারপরেও যদি কাউকে বেড়াতে এসে এই ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে হয়, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে সরকারের সমন্বয়ের হাল কতটা তলানিতে। আমরা বারবার করে নবান্ন থেকে ডিএম ও এসপিদের পর্যটকদের তথ্য পাঠানোর জন্য আবেদন করে আসছি। তাতে যে কোন কাজ হয়নি তার উদাহরণ আজকের দার্জিলিং আর দিঘার ঘটনা।’

দার্জিলিঙের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি স্তম্ভিত। আবার নতুন করে সব কিছু ভাবতে হবে।’ দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সুজন দত্ত বলেন, ‘সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। স্থানীয় থানার পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকে সবসময় নজর রাখছে।’

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল