অ্যাপশহর

অবিকল পঞ্চাশ টাকার নোট, তবে মূল্যহীন! জিরো রুপি সম্পর্কে জানতেন?

Zero Rupee Note: অবিকাল পঞ্চাশ টাকার নোটের মত দেখতে এই নোটের মূল্য আদপে শুন্য। জানতেন?

Authored byAkash Chatterjee | EiSamay.Com 23 Sep 2021, 2:27 pm

হাইলাইটস

  • ভার‍তে তৈরি হয়েছে শুন্য টাকার নোট।
  • দেখতে পঞ্চাশ টাকার নোটের মত।
  • মূল্য শুন্য, RBI দ্বারা তৈরি নয় এই নোট।
EiSamay.Com Zero Rupee Note
প্রতীকী ছবি
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল! দেখতে অবিকল 50 টাকার মত। কিন্তু বাস্তবে মূল্য শুন্য। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে এমনই এক নোট। এই নোট দিয়ে আদপে কিন্তু আপনি বাজার-দোকান কিছুই করতে পারবেন না। অর্থাৎ বিনিময় মূল্য শুন্য। তবে এই নোটের ব্যবহার কেন? সোজা কথায়, লজ্জা দিতে!
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে পঞ্চম পিলার ( Fifth Pillar) বলে একটি কোম্পানি এই নোট বাজারে এনেছিল। কেন জানলে চমকে যাবেন। লজ্জা দিতে! ওই কোম্পানির উদ্দেশ্য ছিল যে সকল সরকারি কর্মচারীরা ঘুষ নিয়ে থাকেন, তাঁদের লজ্জা দেওয়া। সরকারি কর্মচারীরা ঘুষ চাইলেই যাঁর থেকে ঘুষ চাওয়া হয়েছে তাঁরা এই নোট দিলেই লজ্জার মুখে পড়বেন কর্মচারীরা৷ ফলত ঘুষ দেওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবেন নাগরিকেরা।

শোনা গিয়েছে, 50 টাকার নোটের উপর যেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ( Reserve Bank of India) লেখা থাকে, এই নোটেই সেখানে লেখা থাকে 'Eliminate Corruption at All Levels'। অর্থাৎ সর্বস্তর থেকে দুর্নীতি দূর করুন। 50 টাকার নোটের নীচে যেখানে গভর্নরের সই এবং লেখা থাকে আমি বাহককে 50 টাকা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, সেখানে এই নোটের তলায় লেখা থাকে আমি কখনও ঘুষ দেব না।

এবার ২০০ টাকার জাল নোটের হদিশ, এলাকায় চাঞ্চল্য

ভারতে বর্তমানে প্রতি বছর 5 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি ঘুষ দিয়ে থাকেন নাগরিকেরা। পরিমাণে যা বিপুল। ঠিক এই বিষয়টাকে মাথায় রেখেই ওই নোট বানিয়েছেন পঞ্চম পিলার ( Fifth Pillar) কর্তৃপক্ষ। তাঁদের লক্ষ্য ছিল যত বেশি সংখ্যক এই নোট ছড়িয়ে দেওয়া যায় নাগরিকদের মধ্যে। সে বিষয়ে খানিক সফলও হয়েছেন তাঁরা। 2007 সালে ভারতের বাজারে আসে এই নোট। 2014 সালের মধ্যে প্রায় 2.5 মিলিয়ন নোট ভারতের বাজারে ছড়িয়ে পড়ে৷ যা পরিমাণে বিস্তর৷ খোদ পঞ্চম পিলারের প্রেসিডেন্ট বিজয় আনন্দের মুখে অবধি এর প্রশংসা। তিনি বলেন, অনেক মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই নোট ব্যবহার করছেন। সফলও হচ্ছেন। এই নোট দেওয়ার পরে, অনেকে ঘুষ নেননি এমনও হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল কলিকাতা নিউমিসম্যাটিক সোসাইটির সদস্য সুমিত্র বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই সময় ডিজিটাল ডেস্ককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সুমিত্রবাবু জানালেন, 'এই ধরনের কোনও নোট ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বের করা হয়নি। একটি বেসরকারি সংস্থা বেশ কিছু নোট সুভ্যেনির বা কুপন হিসাবে ছাপিয়েছে।' অর্থাৎ বিষয়টি কোনও লিগাল টেন্ডার নয়। এখানেই থামেননি সুমিত্রবাবু। তিনি আরও যোগ করেন, 'আপনি বিষয়টাকে কিছুটা ফ্যান্সি নোট হিসাবে দেখতে পারেন। অনেকটা ছোটদের চাইল্ড ব্যাঙ্কের মত।' একটি বেসরকারি সংস্থা এই নোট ছাপিয়েছে।

তবে শুন্য টাকার নোট ভারতে প্রচলিত না থাকলেও ভারতের বাইরে কিন্তু শুন্য ইউরোর প্রচলন আছে। সুমিত্রবাবু জানালেন ' 2015 সালে সুভ্যেনির হিসাবে শুন্য ইউরোর পরিকল্পনা করা হয়। 2018 সালে বেরোয়। ইউরোপের নানা দেশ, যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশে সুভ্যেনির হিসাবে এই ইউরোর প্রচলন আছে। শুন্য ইউরোর নোটের আবার বেশ কিছু ভিন্নতা আছে। এই দেশগুলিতে যে নোট ব্যবহার করা হয়, তা একই ব্যাঙ্ক একই প্রেস থেকে তৈরি।'

আপনার হাতে কি কখনও শুন্য টাকার নোট এসেছে। কমেন্ট করে জানান আমাদের কমেন্টবাক্সে।

Read More :undefined
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Akash Chatterjee

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল