\B
এই সময়:\B অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন করলেও আয়কর রিটার্ন ফাইল করেননি এমন একাধিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা শুরু করে দিয়েছে আয়কর দপ্তর। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)-এর তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, 'যে যে ব্যক্তি বড় অঙ্কের লেনদেন করলেও আয়কর রিটার্ন ফাইল করেননি, তাঁদের জন্য বিশেষ ২১ দিনের সময়সীমা দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বকেয়া আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন বা চলতি অর্থবর্ষে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন করলেও কেন এখনও তার জন্য জমা রিটার্ন দেননি তার সদুত্তর দিতে পারবেন। যদি সেই রিটার্ন বা উত্তর কর দপ্তরের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তা হলে বিষয়টি অনলাইনেই মিটে যাবে। কিন্তু তা যদি গ্রহণযোগ্য মনে না হয়, তা হলে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট, ১৯৬১ মেনে পদক্ষেপ করা হবে।'
বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কর দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং মেশিন লার্নিং এর সাহায্য নিয়ে কর দপ্তর তাদের নন-ফাইলার্স মনিটরিং সিস্টেম (এনএমএস) ব্যবস্থা ঢেলে সেজেছে। যার ফলে বড় অঙ্কের লেনদেন করার ফলে আয়কর দিতে হতে পারে এমন কোনও ব্যক্তি যিনি এখনও রিটার্ন দেননি, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত এনএমএস ব্যবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ভাবেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে কর দপ্তরের তথ্যভান্ডার থেকে। তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের স্টেটমেন্ট অফ ফিনান্সিয়াল ট্র্যানজাকশন (এসএফটি), উৎসমূলে কাটা কর (টিডিএস/টিসিএস রিটার্ন), সম্ভাব্য বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন এবং ব্যবসায়িক আমদানি-রপ্তানির তথ্য। এর ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন কর দপ্তরের আধিকারিকরা।
সিবিডিটি আধিকারিকদের দাবি, অনলাইনে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করায় পুরো পদ্ধতিতে জটিলতা এবং খরচ অনেক কমেছে। উল্টো দিকে, করদাতাদের পক্ষেও ব্যক্তিগত ভাবে কর দপ্তরের কার্যালয়ে হাজিরা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার ঝামেলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অনলাইনেই পুরো বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পারছেন তাঁরা।
একই ভাবে, যে সমস্ত ব্যক্তি তাঁদের কর্মস্থলে বেতনের সঙ্গে প্রাপ্ত রিইম্বার্সমেন্ট-এর ক্ষেত্রে 'ভুয়ো' বিল জমা দিয়ে থাকেন, তাঁদের জন্য সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে কর দপ্তরের তরফে। কারণ মেডিক্যাল বিল বা লিভ ট্র্যাভেল অ্যালাওয়েন্স (এলটিএ)-এর মতো ক্ষেত্রে যেহেতু করছাড় পাওয়া যায়, তাই জাল বিল জমা করলে তা প্রকৃত আয় লুকোনোর সমান হবে। কর দপ্তর মনে করলে সংস্থা থেকে যে কোনও কর্মীর জমা করা বিলগুলি চাইতে পারে। যদি তাতে কোনও গরমিল দেখা যায়, সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করাও হতে পারে।