অ্যাপশহর

১৮ সাংসদের সম্পত্তি রহস্য, তালিকা আজ সুপ্রিম কোর্টে

সাংসদ ও বিধায়ক থাকাকালীন রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি কেমন করে বহুগুণ বেড়ে যায় সেই রহস্য উন্মোচনে উদ্যোগী হয়েছে স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট৷

EiSamay.Com 12 Sep 2017, 1:03 pm
এই সময় : সাংসদ ও বিধায়ক থাকাকালীন রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি কেমন করে বহুগুণ বেড়ে যায় সেই রহস্য উন্মোচনে উদ্যোগী হয়েছে স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট৷ বিষয়টি নিয়ে আয়কর দপ্তরের কাছে সর্বোচ্চ আদালত একটি বিশদ রিপোর্ট তলব করার পরই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি রির্পোট জমা দিতে চলেছে৷ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস বা সিবিডিটি জানিয়েছে , আয়ের সঙ্গে কোনও প্রকার সঙ্গতি না রেখে সাত জন লোকসভা সাংসদ এবং এগারো জন রাজ্যসভা সাংসদ নিজেদের স্থাবর -অস্থাবর সম্পত্তি বাড়িয়ে গিয়েছেন৷
EiSamay.Com the secret of property of 18 mps the list is on the supreme court today
১৮ সাংসদের সম্পত্তি রহস্য, তালিকা আজ সুপ্রিম কোর্টে


সারা দেশের ২৫৭ জন বিধায়ক একই রকম ভাবে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বলেও প্রত্যক্ষ করের কেন্দ্রীয় পর্ষদটি জানিয়েছে৷ হলফনামায় বলা হয়েছে , এই সাংসদ এবং বিধায়কদের আয়ের উত্স এবং সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিডিটি এবং মঙ্গলবার একটি সিল বন্ধ খামে করে এই অভিযুক্ত সাংসদ এবং বিধায়কদের নাম সুপ্রিম কোর্টে তারা জমা দেবে৷ প্রাথমিক অনুসন্ধানে আয়কর দন্তর দেখতে পেয়েছে , নির্বাচিত হওয়ার পর ওই সাংসদ ও বিধায়কদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে৷

দু’বছর আগে , ২০১৫ সালের জুন মাসে লোকপ্রহরী নামে লখনৌয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে চেলামেশ্বর এবং বিচারপতি এ আব্দুল নাজির -এর বেঞ্চ বলেন , সাংসদ ও বিধায়ক থাকাকালীন রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের সম্পত্তির কতটা আইনসম্মত এবং কতটা বেআইনিভাবে জোগাড় করেছেন তা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে৷ কিন্ত্ত , সরকার (কেন্দ্রীয় সরকার ) আদালতকে ওই তথ্য দিতে মোটেই উত্সাহী নয়৷ এর উত্তরে সরকারের আইনজীবি কে রাধাকৃষ্ণণ জানান , বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যেখানে অনুসন্ধান প্রয়োজন সেখানে তদন্ত করে সেই রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকার পাঠায়৷ কিন্ত্ত , সরকারের আইনজীবির যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন , সাংসদ -বিধায়কদের সম্পত্তির হিসাব যদি ‘পাবলিক ডোমেন ’-এই থাকে (যেখান থেকে আপামর জনসাধারণ সহজেই জানতে পারে ), তবে সরকার সেই হিসাবের সত্যতা তদন্ত করে দেখতে চাইছে না কেন ?

এর পরই বিচারপতিদের বেঞ্চ সিবিডিটিকে নির্দেশ দেয় , ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশের সাংসদ ও বিধায়কদের সম্পত্তি কতটা বেড়েছে তার বিবরণ দিতে৷ এরপরেই সিবিডিটির পক্ষ থেকে সোমবার শীর্ষ আদালতে ওই হলফনামা পেশ করা হয় এবং ৭ জন লোকসভা ও ১১ জন রাজ্যসভা সাংসদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত সম্পত্তি তৈরির অভিযোগ আনা হয়৷ সিবিডিটি জানিয়েছে যে লোকসভার ৭ জন সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে৷ রাজ্যসভার ১১ জন সাংসদ এবং বিভিন্ন রাজ্যের ২৫৭ জন বিধায়কও তাঁদের নজরে রয়েছেন৷ উল্লেখ্য , লোকপ্রহরী আদালতে অভিযোগ করেছিল , লোকসভার ২৬ জন সাংসদ , রাজ্যসভার ১১ জন এবং বিভিন্ন রাজ্যের ২৫৭ জন বিধায়ক খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন অনৈতিক উপায় অবলম্বন করে৷

আদালতকে এ দিন সিবিডিটি জানায় , ইতিমধ্যেই আয়কর বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৯৮ জন বিধায়ক মাত্র ছ’মাসের মধ্যে তাদের সম্পত্তি বহুগুণ বাড়িয়ে নিয়েছেন৷ সাংসদ , বিধায়কদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির বিষয়ে করা এই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে তারা সময়ে সময়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সব কিছু জানিয়েছিল বলেও আদালতে জানিয়েছে সিবিডিটি৷ নির্বাচনের আগে প্রত্যেক প্রার্থীকে হলফনামা দিয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তির খতিয়ান দিতে হয়৷ ওই হলফনামায় একটি অতিরিক্ত কলম যোগ করে সেখানে প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁর আয়ের উত্স জানানোর দাবিও করে লোকপ্রহরী৷ বর্তমানে ভোটপ্রার্থীরা তাঁদের আয়ের উত্স জানাতে বাধ্য নন , যদিও প্রার্থীরা নিজের এবং পরিবারের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ দিয়ে থাকেন৷

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল