এই সময়: বাজারে শেয়ার দর কৃত্রিম ভাবে বাড়াতে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি কি ইচ্ছে করেই তাদের হিসাবের খাতায় অনাদায়ী ঋণের প্রকৃত পরিমাণ আড়াল করে রেখেছিল ? শুক্রবার ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্কের জানুয়ারি -মার্চ ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করার পর সেই জল্পনাই জোরালো হচ্ছে বিভিন্ন মহলে৷ দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় অনাদায়ী ঋণের সমস্যা মেটাতে গত ১৮ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি নির্দেশ জারি করে৷ ওই নির্দেশে ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে , প্রতিটি ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ নিয়ে ব্যাঙ্কের নিজের হিসাবের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাবের পার্থক্য যদি ১৫ শতাংশের বেশি হয় , তবে আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে ওই হিসাবের ফারাক জানাতে হবে৷
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই আদেশের ফাঁদে পড়ে শুক্রবার ইয়েস ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত বছর (২০১৬ ) মার্চ মাসের শেষে যে পরিমাণ অনাদায়ী ঋণ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছিল তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পর্যালোচিত পরিমাণের চেয়ে অনেক কম৷ ২০১৫ -১৬ অর্থবছর শেষে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৭৪৮ .৯৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক৷ কিন্ত্ত , ইয়েস ব্যাঙ্কের হিসাবের খাতা পরীক্ষা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অভিমত , ওই অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ হবে ৪৯২৫ .৬০ কোটি টাকা৷
শুক্রবার ইয়েস ব্যাঙ্ক এই তথ্য প্রকাশ করার পরই শেয়ার বাজারে ব্যাঙ্কটির শেয়ার দর প্রায় ৬ শতাংশ (৫ .৯৭ শতাংশ ) পড়ে যায়৷ উল্লেখ্য , গত বছর মার্চ থেকে এ বছর এপ্রিলের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার দর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে৷
অনাদায়ী ঋণের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনে ব্যাঙ্কগুলিকে মুনাফার একটা অংশ সরিয়ে রাখতে হয়৷ অর্থাত্, অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ যে ব্যাঙ্ক যত কম দেখাবে , মুনাফার পরিমাণ ততই বেশি করে দেখাতে পারবে৷ গত বছর মার্চ মাসের শেষে ৭৪৮ .৯৮ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ দেখিয়ে ইয়েস ব্যাঙ্ক ২৫৩৯ .৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল৷ কেননা , রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব মোতাবেক ১৩২২ .৫০ কোটি টাকা মূলধন সরিয়ে রাখার বদলে ইয়েস ব্যাঙ্ক সরিয়ে রেখেছিল মাত্র ৪৬৪ .৫০ কোটি টাকা! রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী মুনাফা সরিয়ে রাখতে হলে (অনাদায়ী ঋণের বর্ধিত পরিমাণের জন্য ), ২০১৫ -১৬ অর্থবছরে ইয়েস ব্যাঙ্কের মুনাফা দাঁড়ায় ১৯৭৮ .৩০ কোটি টাকা , ২৫৩৯ .৪০ কোটি টাকা নয় !এ দিন ইয়েস ব্যাঙ্ক অবশ্য জানিয়েছে , ২০১৬ -১৭ অর্থবছরে ব্যাঙ্কের মুনাফা হয়েছে ৩৩৩০ .১০ কোটি টাকা এবং এর মধ্যে আগের বছরের অনাদায়ী ঋণের সব ফারাকের হিসাবই ধরা রয়েছে৷ ব্যাঙ্কটি আরও জানিয়েছে , এ বছর মার্চ মাসের শেষে ব্যাঙ্কের মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১০৩৯ .৯০ কোটি টাকা৷
উল্লেখ্য , গত ১৮ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশ জারি করার পর ইয়েস ব্যাঙ্কই প্রথম অনাদায়ী ঋণের হিসাবের পার্থক্যের কথা স্বীকার করল৷ ইয়েস ব্যাঙ্কের এই স্বীকারোক্তির পর শেয়ার ব্রোকারেজ সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি এক রিপোর্টে তার ক্লায়েন্টদের বলেছে , ‘আমাদের আশা , বিনিয়োগকারীরা এর পর সব ব্যাঙ্কের আর্থিক রিপোর্টে এই তথ্যের দিকে বিশেষ নজর দেবেন৷ ’ মর্গ্যান স্ট্যানলির আশঙ্কা , ২০১৬ -১৭ অর্থবছরের অনাদায়ী ঋণের হিসাবের এই ফারাক আগামী বছরও ব্যাঙ্কগুলির রিপোর্টে দেখা যাবে৷
আর এক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ সংস্থা ক্রেডিট স্যুইস জানিয়েছে , অনাদায়ী ঋণের হিসাবে এই বিশাল ফারাক সামনে আসার পর ২০১৬ -১৭ অর্থবছরে ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণের হিসাব নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কী রিপোর্ট দেয় তা দেখার জন্য সকলেই এখন তাকিয়ে থাকবেন৷ কেননা , সরকারি ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির শেয়ার দরে এখন যে বিপুল পার্থক্য তৈরি হয়েছে , সেই ফারাক আগামী দিনেও থাকবে কিনা তা নির্ভর করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই তথ্যের উপর৷
ইয়েস ব্যাঙ্কের পাশাপাশি এ দিন শেয়ার বাজারে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক , আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার দরও বেশ খানিকটা পড়ে যায়৷
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই আদেশের ফাঁদে পড়ে শুক্রবার ইয়েস ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত বছর (২০১৬ ) মার্চ মাসের শেষে যে পরিমাণ অনাদায়ী ঋণ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছিল তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পর্যালোচিত পরিমাণের চেয়ে অনেক কম৷ ২০১৫ -১৬ অর্থবছর শেষে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৭৪৮ .৯৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক৷ কিন্ত্ত , ইয়েস ব্যাঙ্কের হিসাবের খাতা পরীক্ষা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অভিমত , ওই অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ হবে ৪৯২৫ .৬০ কোটি টাকা৷
শুক্রবার ইয়েস ব্যাঙ্ক এই তথ্য প্রকাশ করার পরই শেয়ার বাজারে ব্যাঙ্কটির শেয়ার দর প্রায় ৬ শতাংশ (৫ .৯৭ শতাংশ ) পড়ে যায়৷ উল্লেখ্য , গত বছর মার্চ থেকে এ বছর এপ্রিলের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার দর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে৷
অনাদায়ী ঋণের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনে ব্যাঙ্কগুলিকে মুনাফার একটা অংশ সরিয়ে রাখতে হয়৷ অর্থাত্, অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ যে ব্যাঙ্ক যত কম দেখাবে , মুনাফার পরিমাণ ততই বেশি করে দেখাতে পারবে৷ গত বছর মার্চ মাসের শেষে ৭৪৮ .৯৮ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ দেখিয়ে ইয়েস ব্যাঙ্ক ২৫৩৯ .৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল৷ কেননা , রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব মোতাবেক ১৩২২ .৫০ কোটি টাকা মূলধন সরিয়ে রাখার বদলে ইয়েস ব্যাঙ্ক সরিয়ে রেখেছিল মাত্র ৪৬৪ .৫০ কোটি টাকা! রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী মুনাফা সরিয়ে রাখতে হলে (অনাদায়ী ঋণের বর্ধিত পরিমাণের জন্য ), ২০১৫ -১৬ অর্থবছরে ইয়েস ব্যাঙ্কের মুনাফা দাঁড়ায় ১৯৭৮ .৩০ কোটি টাকা , ২৫৩৯ .৪০ কোটি টাকা নয় !এ দিন ইয়েস ব্যাঙ্ক অবশ্য জানিয়েছে , ২০১৬ -১৭ অর্থবছরে ব্যাঙ্কের মুনাফা হয়েছে ৩৩৩০ .১০ কোটি টাকা এবং এর মধ্যে আগের বছরের অনাদায়ী ঋণের সব ফারাকের হিসাবই ধরা রয়েছে৷ ব্যাঙ্কটি আরও জানিয়েছে , এ বছর মার্চ মাসের শেষে ব্যাঙ্কের মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১০৩৯ .৯০ কোটি টাকা৷
উল্লেখ্য , গত ১৮ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশ জারি করার পর ইয়েস ব্যাঙ্কই প্রথম অনাদায়ী ঋণের হিসাবের পার্থক্যের কথা স্বীকার করল৷ ইয়েস ব্যাঙ্কের এই স্বীকারোক্তির পর শেয়ার ব্রোকারেজ সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি এক রিপোর্টে তার ক্লায়েন্টদের বলেছে , ‘আমাদের আশা , বিনিয়োগকারীরা এর পর সব ব্যাঙ্কের আর্থিক রিপোর্টে এই তথ্যের দিকে বিশেষ নজর দেবেন৷ ’ মর্গ্যান স্ট্যানলির আশঙ্কা , ২০১৬ -১৭ অর্থবছরের অনাদায়ী ঋণের হিসাবের এই ফারাক আগামী বছরও ব্যাঙ্কগুলির রিপোর্টে দেখা যাবে৷
আর এক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ সংস্থা ক্রেডিট স্যুইস জানিয়েছে , অনাদায়ী ঋণের হিসাবে এই বিশাল ফারাক সামনে আসার পর ২০১৬ -১৭ অর্থবছরে ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণের হিসাব নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কী রিপোর্ট দেয় তা দেখার জন্য সকলেই এখন তাকিয়ে থাকবেন৷ কেননা , সরকারি ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির শেয়ার দরে এখন যে বিপুল পার্থক্য তৈরি হয়েছে , সেই ফারাক আগামী দিনেও থাকবে কিনা তা নির্ভর করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই তথ্যের উপর৷
ইয়েস ব্যাঙ্কের পাশাপাশি এ দিন শেয়ার বাজারে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক , আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার দরও বেশ খানিকটা পড়ে যায়৷