এই সময়: করোনা সংক্রমণ থেকে ভারতীয় অর্থনীতিকে সারিয়ে তুলতে এই মুহূর্তে কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। এক রিপোর্টে উপদেষ্টা সংস্থা ম্যাকিনসে অ্যান্ড কোম্পানি জানিয়েছে, '২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রের বাইরে কমপক্ষে ৯ কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা দরকার।'
সংস্থাটির মতে, আগামী ১০ বছরে অন্তত ৩ কোটি ব্যক্তি কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য ক্ষেত্রে কাজের সন্ধানে শহরে ভিড় করবেন এবং শহরাঞ্চলগুলিতেও ওই ১০ বছরে অন্তত ৬ কোটি নতুন কর্মপ্রার্থী তৈরি হবে।
কিন্তু, ওই বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হল দেশে অর্থনীতির বৃদ্ধি। ম্যাকিনসের মতে, করোনার প্রভাবে চলতি অর্থ বছরে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি ৩% থেকে ৯% সংকুচিত হতে পারে।এই অভূতপূর্ব মন্দার ফলে দেশের সাধারণ গৃহস্থ থেকে শুরু করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলির মাথায় যে আর্থিক দুর্যোগ নেমে এসেছে তা দূর করা না গেলে দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় অনাদায়ী ঋণের বোঝা ৭% থেকে ১৪% বাড়বে এবং ব্যাঙ্কগুলি ফের কঠিন আর্থিক চাপের মুখে পড়বে।
তবে, 'ইন্ডিয়াজ টার্নিং পয়েন্ট' শীর্ষক ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই অনাদায়ী ঋণ সমস্যা কমাতে পারে।'
ম্যাকিনসে আরও বলেছে, 'করোনা মহামারীর আগেই ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ সেই সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধিকে চাঙা করতে সরকার উপযোগী কোনও আপৎকালীন পদক্ষেপ না করায় দেশে আয় ও জীবনযাত্রার মানে আগামী এক দশক কোনও উন্নতি না হওয়ার ঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে।'
করোনা আবহে গোটা বিশ্বেই সংস্থাগুলির মধ্যে ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ব্যবহার, পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে বদল, ভৌগোলিক অবস্থান বদল বা কাজের জায়গা ছেড়ে নিজ বাসস্থানে ফেরত চলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য, সুরক্ষার উপর আরও বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে।
বৃদ্ধির গতি বাড়াতে ৪৩ ধরণের ব্যবসার সুযোগের উল্লেখ করেছে ম্যাকিনসে। সংস্থাটির মতে, এই ক্ষেত্রগুলিতে লগ্নি বাড়ালে ২০৩০ সালের মধ্যে ২.৫ লক্ষ কোটি ডলারের আর্থিক সংস্থানের ভিত্তি এবং ১১.২ কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।
এর মধ্যে রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং, আবাসন, কৃষি এবং খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ, খুচরো বিপণন এবং স্বাস্থ্যপরিষেবা ক্ষেত্রের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। এর জন্য নির্দিষ্ট শিল্পক্ষেত্র ভিত্তিক নীতি তৈরির পরামর্শ দিয়েছে উপদেষ্টা সংস্থাটি। আবাসন এবং শিল্পের জমি কেনার খরচ কমাতে সরকারকেই জমির জোগান দেওয়া এবং কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার নিদান দিয়েছে ম্যাকিনসে।
সংস্থাটির মতে, আগামী ১০ বছরে অন্তত ৩ কোটি ব্যক্তি কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য ক্ষেত্রে কাজের সন্ধানে শহরে ভিড় করবেন এবং শহরাঞ্চলগুলিতেও ওই ১০ বছরে অন্তত ৬ কোটি নতুন কর্মপ্রার্থী তৈরি হবে।
কিন্তু, ওই বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হল দেশে অর্থনীতির বৃদ্ধি। ম্যাকিনসের মতে, করোনার প্রভাবে চলতি অর্থ বছরে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি ৩% থেকে ৯% সংকুচিত হতে পারে।এই অভূতপূর্ব মন্দার ফলে দেশের সাধারণ গৃহস্থ থেকে শুরু করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলির মাথায় যে আর্থিক দুর্যোগ নেমে এসেছে তা দূর করা না গেলে দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় অনাদায়ী ঋণের বোঝা ৭% থেকে ১৪% বাড়বে এবং ব্যাঙ্কগুলি ফের কঠিন আর্থিক চাপের মুখে পড়বে।
তবে, 'ইন্ডিয়াজ টার্নিং পয়েন্ট' শীর্ষক ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই অনাদায়ী ঋণ সমস্যা কমাতে পারে।'
ম্যাকিনসে আরও বলেছে, 'করোনা মহামারীর আগেই ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ সেই সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধিকে চাঙা করতে সরকার উপযোগী কোনও আপৎকালীন পদক্ষেপ না করায় দেশে আয় ও জীবনযাত্রার মানে আগামী এক দশক কোনও উন্নতি না হওয়ার ঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে।'
করোনা আবহে গোটা বিশ্বেই সংস্থাগুলির মধ্যে ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ব্যবহার, পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে বদল, ভৌগোলিক অবস্থান বদল বা কাজের জায়গা ছেড়ে নিজ বাসস্থানে ফেরত চলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য, সুরক্ষার উপর আরও বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে।
বৃদ্ধির গতি বাড়াতে ৪৩ ধরণের ব্যবসার সুযোগের উল্লেখ করেছে ম্যাকিনসে। সংস্থাটির মতে, এই ক্ষেত্রগুলিতে লগ্নি বাড়ালে ২০৩০ সালের মধ্যে ২.৫ লক্ষ কোটি ডলারের আর্থিক সংস্থানের ভিত্তি এবং ১১.২ কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।
এর মধ্যে রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং, আবাসন, কৃষি এবং খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ, খুচরো বিপণন এবং স্বাস্থ্যপরিষেবা ক্ষেত্রের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। এর জন্য নির্দিষ্ট শিল্পক্ষেত্র ভিত্তিক নীতি তৈরির পরামর্শ দিয়েছে উপদেষ্টা সংস্থাটি। আবাসন এবং শিল্পের জমি কেনার খরচ কমাতে সরকারকেই জমির জোগান দেওয়া এবং কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার নিদান দিয়েছে ম্যাকিনসে।