অ্যাপশহর

ট্রাই-কে ন্যূনতম দর ঠিক করার আর্জি সংস্থাগুলির

জিও -র মোকাবিলায় বাকি অপারেটররা মাসুল কমাতে বাধ্য হওয়ায় তাদের সকলেরই আয়, মুনাফা কমেছে৷

EiSamay.Com 18 Jun 2017, 12:41 pm
এই সময় : গত সেপ্টেম্বরে রিলায়েন্স জিও বাণিজ্যিক ভাবে তাদের পরিষেবা শুরু করার পর থেকে দেশের টেলিকম ক্ষেত্রে ওঠা ঝড় এখনও অব্যাহত৷ জিও -র মোকাবিলায় বাকি অপারেটররা মাসুল কমাতে বাধ্য হওয়ায় তাদের সকলেরই আয়, মুনাফা কমেছে৷ অনেক সংস্থা আবার বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে৷ ব্যবসা বাঁচাতে এবার তারা ট্রাই -এর দ্বারস্থ৷ কয়েকটি অপারেটর সংস্থার ট্রাই -এর কাছে আর্জি, ভয়েস কল ও ডেটা পরিষেবার ন্যূনতম দর তারা নির্ধারণ করে দিক৷ আর নিয়ামক সংস্থা সেই আর্জি মেনে নিয়ে তা করলে নিঃশুল্ক ভয়েস কল ও ডেটা পরিষেবা দেওয়ার দিন শেষ হয়ে যাবে৷
EiSamay.Com telecom operators asked trai to fix minimum rate
ট্রাই-কে ন্যূনতম দর ঠিক করার আর্জি সংস্থাগুলির


ট্রাই চেয়ারম্যান আর এস শর্মা বলেন , ‘বেশ কয়েকটি অপারেটর সংস্থা আমাদের এই প্রস্তাব দিয়েছে , যা আমরা পর্যালোচনা করব৷ এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আমরা কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি , যা করার আমরা তা খোলা মনে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই করব৷ ’ বর্তমানে ন্যূনতম মাসুল ট্রাই নির্ধারণ করে না৷ এটা অপারেটর সংস্থাদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছে তারা৷ শর্মা জানান , অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু সংস্থা গ্রাহকদের যে ‘লোভনীয় ’ মাসুল দিচ্ছে , তা পরিষেবা দেওয়ার খরচের থেকেও কম৷ এই কারণে গোটা টেলিকম ক্ষেত্রের আর্থিক সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে৷ সেই সঙ্কট কাটাতেই তারা ট্রাই নির্ধারিত ন্যূনতম দরের পক্ষে সওয়াল করেছে৷

নিয়ামক সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন , জিএসটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য , লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ কমানো ও দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিতে স্পেকট্রামের দাম মেটানোর সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে অপারেটররা৷ অন্য দিকে , জিও -র দাবি , ভারতী এয়ারটেল ও আইডিয়া -র মতো অপারেটররা টেলিকমের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন ব্যবসায় প্রচুর বিনিয়োগ করার ফল ভুগছে৷ এদিকে গতকালই রিলায়েন্স জিও -র ধাক্কায় বাকি টেলিকম সংস্থাগুলির ব্যবসা যেভাবে মার খাচ্ছে তাতে অনেক অপারেটরই তাদের ব্যাঙ্কঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হতে পারে এবং তার ফলে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক সমস্যা বাড়বে বলে একটি আর্ন্তমন্ত্রক গোষ্ঠীর সঙ্গে দেখা করে দুশ্চিন্তা ব্যক্ত করেছে দেশের বড় চারটি ব্যাঙ্ক৷ টেলিকম ক্ষেত্রের বিপুল ঋণের বোঝা এবং ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে সংস্থাগুলির ঋণ পরিশোধ বকেয়া পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের আশঙ্কা ব্যক্ত করেন ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক , পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক , এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ও অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কর্তারা৷

নিলামে অত্যন্ত চড়া দামে স্পেকট্রাম কেনা , টেলিকম পরিষেবা দেওয়ার জন্য লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ প্রভৃতি কারণে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার করে টেলিকম সংস্থাগুলি৷ সেই ঋণের পরিমাণ বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা৷ ব্যাঙ্কগুলির সুপারিশ হল , ২০ বছরের কিস্তিতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে স্পেকট্রামের দাম মেটানোর সুযোগ দিক সরকার৷ সেই সঙ্গে , টেলিকম ক্ষেত্রের উপর জিএসটির হার এবং লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জও শিথিল করা হোক৷

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল