দেশের ব্যবসায়ী থেকে বেতনভুক কর্মচারী, প্রত্যেকেই ব্যাঙ্ক ঋণের সুবিধা নিয়ে দ্বিতীয় একটি বাড়িতে লগ্নি করছেন৷ কিন্ত্ত, বাড়িভাড়া বাবদ আয়ের উপর কর দিতে হবে আপনাকে৷ সমস্যা হল, দ্বিতীয় বাড়িটি যদি ভাড়াটে না মেলায় ফাঁকা পড়ে থাকে৷ আপনার দ্বিতীয় বাড়ি থাকলে আয়কর আধিকারিকরা ওই বাড়ির বার্ষিক মূল্য বা ভাড়ার মূল্য নির্ধারণ করে তার ওপর কর ধার্য করেন৷ কিন্ত্ত, আপনি কি আপনার দ্বিতীয় বাড়ি খালি পড়ে থাকলে আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় বার্ষিক মূল্য ‘শূন্য ’ দাবি করতে পারেন?
সম্প্রতি একটি মামলায় দিল্লির ট্রাইব্যুনাল রায়ে দিয়েছে, ভাড়াটে না মেলায় করদাতার দ্বিতীয় বাড়িটি যেহেতু ফাঁকা পড়েছিল, তাই করদাতার আয়কর রিটার্নে ঘোষিত ‘শূন্য’ বার্ষিক মূল্যই গ্রহণ করতে হবে আয়কর দপ্তরকে৷ বিমুদ্রাকরণের পর দিল্লি ট্রাইব্যুনালের এই রায় নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ৷ ৯ নভেম্বর থেকে পুরোনো পাঁচশো-হাজারের নোট বাতিলের পর দেশে আবাসনে নতুন করে মন্দার ভাব দেখা দিয়েছে৷ এই অবস্থায় দ্বিতীয় বাড়ির জন্য ভাড়াটে পাওয়া কঠিন হতে পারে৷ অথবা, কম ভাড়া নিতে হবে৷ আগামী কয়েকমাস দ্বিতীয় বাড়ির মালিকদের অবস্থা আর যাই হোক খুব একটা স্বস্তির হবে না৷
আবাসনের দামে পতনের প্রভাব
আবাসনের দাম কমার ফলে ভাড়া বাড়ির চাহিদা কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ রিয়েল এস্টেট উপদেষ্টা সংস্থা জোনস ল্যাং লাসাল -এর (জেএলএল) চেয়ারম্যান ও কান্ট্রি হেড অনুজ পুরী হাত ফেরতা বাড়ির দাম কমবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ বিশেষ করে , ছোট শহরগুলিতে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ডেভেলপারের তৈরি বাড়ির দাম বেশি করে পড়বে, পুরী মনে করেন৷ আর এক আবাসন রেটিং এবং গবেষণা সংস্থা লিয়াসে ফোরা-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর পঙ্কজ কাপুর বলেন, ‘আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে গৃহঋণে সুদের হার ৯ শতাংশের নিচে নামতে পারে৷ ফলে নতুন বাড়ি কেনার চাহিদা বাড়বে৷ নির্মাণ সংস্থাগুলির ভালো প্রকল্প এবং ছাড় এই চাহিদা বাড়াবে৷’
আয়কর আইনে দ্বিতীয় বাড়ির আয়
আয়কর আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির দু’টি বাড়ি থাকলে, তিনি একটি বাড়ি নিজের বসবাসের জন্য ব্যবহার করেন বলে ধরা হবে এবং তার উপর কোনও আয়কর ধার্য হবে না৷ অন্য বাড়ির ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ২৩ (১) ধারায় বার্ষিক মূল্য (ভাড়া বাবদ প্রাপ্য মূল্য) নির্ধারণ করে তার উপর কর নেওয়া হবে৷ তবে, দ্বিতীয় বাড়ির ক্ষেত্রে পুরকরের মতো কিছু বিষয়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে৷
কম ভাড়া এবং আয়কর আইনের প্রভাব
দ্বিতীয় বাড়ি ভাড়া দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পুরসভা নির্ধারিত সর্বোচ্চ ভাড়া পেলে বা তিনি যে পরিমাণ ভাড়া আসলে পাচ্ছেন , এই দুইয়ের মধ্যে যেটি বেশি তার উপর ভিত্তি করে বার্ষিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে৷ বিমুদ্রাকরণের ফলে ভাড়া বাবদ আয়ের পরিমাণ কমতে পারে৷ সিএনকে অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস -এর ট্যাক্স পার্টনার গৌতম নায়েক মনে করেন , ‘প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই , এমনকি প্রান্ত ভাড়ার পরিমাণ কমে গেলেও তা পুরসভা নির্ধারিত সর্বোচ্চ ভাড়ার থেকে বেশি হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে প্রাপ্য ভাড়ার উপর ভিত্তি করে কর নিতে হবে আয়কর দন্তরকে৷ ’ আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং ইন্ডিয়ার ট্যাক্স পার্টনার অমরপাল এস চাড্ডা বলেন , ‘বিশ্বাসযোগ্য নথির উপর ভিত্তি করে তা প্রমাণ করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আয়কর আধিকারিকের উপর বর্তাবে৷ ’ কর নির্ধারণের সময় সংশ্লিষ্ট আধিকারিক যদি ভাড়ার পরিমাণ তার আগের বছরের ভাড়ার সমান করার চেষ্টা করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট করদাতা বম্বে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করতে পারেন , চাড্ডা জানান৷ ‘সেক্ষেত্রে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর এবং রিয়েলটি ওয়েবসাইটে প্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান হাতের কাছে রাখতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ,’ চাড্ডা বলেন৷
দ্বিতীয় বাড়ি ফাঁকা পড়ে থাকলে
কোনও একটি নির্দিষ্ট অর্থবর্ষের কয়েক মাস বা পুরো বছর দ্বিতীয় বাড়ি ফাঁকা পড়ে থাকলে পুরসভা নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় নির্ধারিত ভাড়ার পরিমাণ অবশ্যই কম হবে৷ সেই অর্থে দ্বিতীয় বাড়ি থেকে আয় ‘শূন্য ’ হিসাবে দাবি করতে পারেন সংশ্লিষ্ট করদাতা৷ আবার বছরের মাত্র কয়েক মাস ওই বাড়িতে ভাড়া থাকলে আয়কর আইনের ২৩ (১ )(সি ) ধারায় প্রাপ্য ভাড়াকেই গোটা অর্থবর্ষের ভাড়া বলে গণ্য করা হবে৷ আগে কখনও দ্বিতীয় বাড়ি ভাড়া দেওয়া না হলে সংশ্লিষ্ট মালিককে সমস্যায় পড়তে হতে পারে৷ ভাড়াটে খোঁজার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি বললে চলবে না, আয়কর দপ্তরের কাছে উপযুক্ত তথ্য দাখিল করতে হবে৷
সম্প্রতি একটি মামলায় দিল্লির ট্রাইব্যুনাল রায়ে দিয়েছে, ভাড়াটে না মেলায় করদাতার দ্বিতীয় বাড়িটি যেহেতু ফাঁকা পড়েছিল, তাই করদাতার আয়কর রিটার্নে ঘোষিত ‘শূন্য’ বার্ষিক মূল্যই গ্রহণ করতে হবে আয়কর দপ্তরকে৷ বিমুদ্রাকরণের পর দিল্লি ট্রাইব্যুনালের এই রায় নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ৷ ৯ নভেম্বর থেকে পুরোনো পাঁচশো-হাজারের নোট বাতিলের পর দেশে আবাসনে নতুন করে মন্দার ভাব দেখা দিয়েছে৷ এই অবস্থায় দ্বিতীয় বাড়ির জন্য ভাড়াটে পাওয়া কঠিন হতে পারে৷ অথবা, কম ভাড়া নিতে হবে৷ আগামী কয়েকমাস দ্বিতীয় বাড়ির মালিকদের অবস্থা আর যাই হোক খুব একটা স্বস্তির হবে না৷
আবাসনের দামে পতনের প্রভাব
আবাসনের দাম কমার ফলে ভাড়া বাড়ির চাহিদা কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ রিয়েল এস্টেট উপদেষ্টা সংস্থা জোনস ল্যাং লাসাল -এর (জেএলএল) চেয়ারম্যান ও কান্ট্রি হেড অনুজ পুরী হাত ফেরতা বাড়ির দাম কমবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ বিশেষ করে , ছোট শহরগুলিতে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ডেভেলপারের তৈরি বাড়ির দাম বেশি করে পড়বে, পুরী মনে করেন৷ আর এক আবাসন রেটিং এবং গবেষণা সংস্থা লিয়াসে ফোরা-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর পঙ্কজ কাপুর বলেন, ‘আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে গৃহঋণে সুদের হার ৯ শতাংশের নিচে নামতে পারে৷ ফলে নতুন বাড়ি কেনার চাহিদা বাড়বে৷ নির্মাণ সংস্থাগুলির ভালো প্রকল্প এবং ছাড় এই চাহিদা বাড়াবে৷’
আয়কর আইনে দ্বিতীয় বাড়ির আয়
আয়কর আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির দু’টি বাড়ি থাকলে, তিনি একটি বাড়ি নিজের বসবাসের জন্য ব্যবহার করেন বলে ধরা হবে এবং তার উপর কোনও আয়কর ধার্য হবে না৷ অন্য বাড়ির ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ২৩ (১) ধারায় বার্ষিক মূল্য (ভাড়া বাবদ প্রাপ্য মূল্য) নির্ধারণ করে তার উপর কর নেওয়া হবে৷ তবে, দ্বিতীয় বাড়ির ক্ষেত্রে পুরকরের মতো কিছু বিষয়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে৷
কম ভাড়া এবং আয়কর আইনের প্রভাব
দ্বিতীয় বাড়ি ভাড়া দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পুরসভা নির্ধারিত সর্বোচ্চ ভাড়া পেলে বা তিনি যে পরিমাণ ভাড়া আসলে পাচ্ছেন , এই দুইয়ের মধ্যে যেটি বেশি তার উপর ভিত্তি করে বার্ষিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে৷ বিমুদ্রাকরণের ফলে ভাড়া বাবদ আয়ের পরিমাণ কমতে পারে৷ সিএনকে অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস -এর ট্যাক্স পার্টনার গৌতম নায়েক মনে করেন , ‘প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই , এমনকি প্রান্ত ভাড়ার পরিমাণ কমে গেলেও তা পুরসভা নির্ধারিত সর্বোচ্চ ভাড়ার থেকে বেশি হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে প্রাপ্য ভাড়ার উপর ভিত্তি করে কর নিতে হবে আয়কর দন্তরকে৷ ’ আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং ইন্ডিয়ার ট্যাক্স পার্টনার অমরপাল এস চাড্ডা বলেন , ‘বিশ্বাসযোগ্য নথির উপর ভিত্তি করে তা প্রমাণ করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আয়কর আধিকারিকের উপর বর্তাবে৷ ’ কর নির্ধারণের সময় সংশ্লিষ্ট আধিকারিক যদি ভাড়ার পরিমাণ তার আগের বছরের ভাড়ার সমান করার চেষ্টা করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট করদাতা বম্বে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করতে পারেন , চাড্ডা জানান৷ ‘সেক্ষেত্রে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর এবং রিয়েলটি ওয়েবসাইটে প্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান হাতের কাছে রাখতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ,’ চাড্ডা বলেন৷
দ্বিতীয় বাড়ি ফাঁকা পড়ে থাকলে
কোনও একটি নির্দিষ্ট অর্থবর্ষের কয়েক মাস বা পুরো বছর দ্বিতীয় বাড়ি ফাঁকা পড়ে থাকলে পুরসভা নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় নির্ধারিত ভাড়ার পরিমাণ অবশ্যই কম হবে৷ সেই অর্থে দ্বিতীয় বাড়ি থেকে আয় ‘শূন্য ’ হিসাবে দাবি করতে পারেন সংশ্লিষ্ট করদাতা৷ আবার বছরের মাত্র কয়েক মাস ওই বাড়িতে ভাড়া থাকলে আয়কর আইনের ২৩ (১ )(সি ) ধারায় প্রাপ্য ভাড়াকেই গোটা অর্থবর্ষের ভাড়া বলে গণ্য করা হবে৷ আগে কখনও দ্বিতীয় বাড়ি ভাড়া দেওয়া না হলে সংশ্লিষ্ট মালিককে সমস্যায় পড়তে হতে পারে৷ ভাড়াটে খোঁজার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি বললে চলবে না, আয়কর দপ্তরের কাছে উপযুক্ত তথ্য দাখিল করতে হবে৷