অ্যাপশহর

ধস পাহাড় জুড়ে, কী অবস্থা পর্যটন ব্যবসার?

North Bengal Landslide News: ধসে খুব একটা ব্যহত হয়নি পর্যটন ব্যবসা। জানুন বিস্তারিত।

EiSamay.Com 22 Oct 2021, 9:35 pm

হাইলাইটস

  • ধসে খুব একটা ক্ষতি হয়নি পর্যটন ব্যবসার।
  • পর্যটকদের হার ছিল স্বাভাবিক।
  • বিশদে জানুন।
EiSamay.Com Landslide News
প্রতীকী ছবি
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারির চোখরাঙানি পেরয়ে সবে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল, বাংলার পর্যটন ব্যবসা। পুজোর লম্বা ছুটি। বেশ কিছুদিন বন্ধ সরকারি-বেসরকারি অফিস-কাছারি। এই মরসুমে বাঙালির ভ্রমণপিপাসা সম্পর্কে অবগত সবাই। তাই কয়েকদিনের ছুটি হাতে পেয়েই দার্জিলিং-সিকিম সহ একাধিক রুটের টিকিট কেটে ফেলেছিলেন অনেকেই৷ কিন্তু বিধি বাম। আচমকাই undefined পাহাড় জুড়ে৷ দার্জিলিং সহ গোটা উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেই বৃষ্টির ফলে দুদিন ধরে ধস নেমেছে দার্জিলিং-সিকিমগামী বহু রাস্তায়। ফেসবুক-ট্যুইটার সহ একাধিক সামাজিক নেট মাধ্যমে ধসের ছবি সামনে এসেছে। আত্মীয়-পরিজনের চিন্তার মাঝেই উঠেছে প্রশ্ন, ধসের মুখে কী অবস্থা পাহাড়ের পর্যটন শিল্পে?
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে দুদিনের ধসে দার্জিলিং যাওয়ার পথে জাতীয় মহাসড়কের ( National Highway 10) ধারে মহানদীর যে রাস্তা সেই রাস্তা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এছাড়াও রিম্বিক ( Rimbik), লাভা ( Lava) প্রভৃতি জায়গাও ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ তবে ধসের সবথেকে বড় প্রভাব পড়েছিল জাতীয় সড়কের ধারে কালিদেওরায়।


অবশ্য পর্যটনের তেমন ক্ষতি হয়নি দুদিনব্যাপী এই ধসের ফলে। যে সমস্ত পর্যটকরা ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের পথে যাত্রা করেছিলেন, তাঁদের অনেককেই আপাতত রাখা রয়েছে দার্জিলিং কিংবা ডুয়ার্সে। যারা রওয়ানা দেননি, তাদের তরফ থেকে কিছু সামান্য বুকিং খারিজ করা হয়েছে। তবে আশার আলোও আছে। আজ শুক্রবার থেকে খুলে গিয়েছে গ্যাংটকের রাস্তা। সোমবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকদের গ্যাংটকের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য এই সময় ডিজিটাল ডেস্কের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের ( Himalayan Hospitality and Tourism Development Network) সম্পাদক শ্রী সম্রাট সান্যালের সঙ্গে। এই সময় ডিজিটাল ডেস্ককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর গলায় শোনা গেল ইতিবাচক সুর। তিনি জানান ' জেলা প্রশাসন অত্যন্ত ভালো কাজ করেছে ধস মোকাবিলায়। সামগ্রিকভাবে ওই দুদিন অর্থাৎ 19 এবং 20 তারিখের কথা বাদ দিলে বাকি দিনগুলোয় পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে দেখার মত। আজ ও গতকাল প্রচুর সংখ্যায় পর্যটক দার্জিলিং সহ একাধিক জায়গায় ভিড় জমিয়েছেন। উপদ্রুত এলাকা খালি করতে প্রশাসন অত্যন্ত ভালো কাজ করেছে। ফলে পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি সামাল দেওয়া গিয়েছে। প্রশাসনের সুযোগ্য ভূমিকার ফলে বর্তমানে সমস্ত বড় রাস্তাই খুলে দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র শিলিগুড়ি থেকে তিস্তাবাজার পর্যন্ত সিকিম-কালিম্পং সংযোগসকারী জাতীয় মহাসড়ক বিদিক ধারার কাছে বন্ধ রয়েছে। তবে সেই রাস্তায় আপৎকালীন ভিত্তিতে কাজ হচ্ছে প্রায় 24 ঘণ্টা ধরে। আশা করা যায় যে খুব তাড়াতাড়ি এই রাস্তাও খুলে দেওয়া যাবে।'

সম্রাটবাবুর মতে, পর্যটন শিল্পেও তেমন বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। 'পুজোর জন্য যে বড় বুকিং তা এই বছর 20, 21 তারিখ অবধি ছিল। আজ 22 তারিখ হয়ে গেলেও এখনও অধিকাংশ হোটেলে প্রায় 50% পর্যন্ত বুকিং রয়েছে।' সম্রাটবাবুর মতে প্রশাসনিক তৎপরতা বাদ দিলেও এর একটা বড় কারণ ট্যুর অপারেটরদের কর্মদক্ষতা৷ তাঁদের নানারকম পারমুটেশন কম্বিনেশনের ফলেই পর্যটকদের ঘোরাফেরার বিষয়টি অনেকটা সহজ হয়েছে। এমনকি ট্যুর অপারেটর থেকে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী-- পর্যটনের এই মরসুমে ক্ষতি হয়নি কারুরই।

Read More :
undefined

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল