এই সময়: হ্যাঙারের অন্ধকারে ঢাকা অতীতকে পিছনে ফেলে রেখে চলতি বছরেই আকাশে ফের ডানা মেলতে পারে বন্ধ হয়ে যাওয়া জেট এয়ারওয়েজ। জেটের পুনরুজ্জীবনের জন্য মঙ্গলবার ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি) কালরক-জালান কনসর্টিয়ামের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ছ'মাসের মধ্যে ৩০টি বিমান নিয়ে ফের পরিষেবা শুরু করবে জেট এয়ারওয়েজ। তবে 'ঐতিহাসিক সত্যের' যুক্তি দেখিয়ে কনসর্টিয়ামের বিভিন্ন বিমানবন্দরে স্লটের দাবি খারিজ করে দিয়েছে এনসিএলটি-র মুম্বই বেঞ্চ। জনাব মহম্মদ আজমল এবং ভি নাল্লাসেনাপথির বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে কালরক ক্যাপিটাল ও শিল্পপতি মুরারিলাল জালানের কনসর্টিয়ামের প্রস্তাবিত নিষ্পত্তি পরিকল্পনা শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত করেছে। বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, আবেদন করার পরেই স্লট বরাদ্দের বিষয়টি করা হবে এবং বিভিন্ন বিমানবন্দরে জেটের হাতে যে সমস্ত স্লট ছিল, সেগুলি মিলবে না। বিভিন্ন বিমানবন্দরে জেটের স্লট 'ঐতিহাসিক সত্য' এবং সেই কারণে সেগুলি ফের তাদের পাওয়া উচিত বলে দাবি করেছিল কনসর্টিয়াম। বিমান সংস্থাটি ফের চালু করার জন্য সমস্ত নিয়ামক সংস্থার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেতে কনসর্টিয়ামকে ৯০ দিন দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে তারা সময়সীমা বাড়ানোর অনুমতি চাইতে পারবে।
গত বছরের অক্টোবরে জেট পুনরায় চালু করার জন্য কালরক-জালান কনসর্টিয়ামের নিষ্পত্তি পরিকল্পনায় সায় দেয় বিমান সংস্থাটির ঋণদাতাদের কমিটি। কনসর্টিয়াম ঋণদাতাদের প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। জেট এয়ারওয়েজের হাতে বিভিন্ন বিমানবন্দরে যে স্লট ছিল, তা 'ঐতিহাসিক সত্য' বলে যুক্তি দেখিয়ে ওই সমস্ত স্লটের দাবি জানায় কনসর্টিয়াম। পাশাপাশি, তারা জেটকে দেওয়া বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিভিন্ন অধিকার ফের বরাদ্দ করার দাবিও তোলে। এই দুই দাবিরই বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
এদিনের নির্দেশে ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, জেট এয়ারওয়েজকে ল্যান্ডিং স্লট দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করবে ডিজিসিএ এবং সেই অনুমোদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির কাছ থেকে লাইসেন্স পাওয়ার উপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ, ২০১৯ সালের এপ্রিলে জেট বন্ধ হওয়ার আগে তাদের হাতে যে সমস্ত ল্যান্ডিং স্লট ছিল, ঐতিহাসিক ভাবে তার কোনও অধিকার পাবে না বিমান সংস্থাটি।
জেট এয়ারওয়েজের রেজোলিউশন প্রফেশনাল আশিস ছাছারিয়া বলেছেন, 'গত দু'বছর ধরে আমাদের কঠোর পরিশ্রমের অবশেষে ফল মিলল এবং আজকের নির্দেশের ফলে জেট এয়ারওয়েজ ২.০-র পুনরুজ্জীবনের পথ প্রশস্ত হবে।'
জেটের পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা অনুযায়ী, এনসিএলটি-তে অনুমোদনের পর থেকে ছ'মাসের মধ্যে ৩০টি বিমান নিয়ে ফের পরিষেবা চালু করবে সংস্থাটি। সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য কনসর্টিয়ামটি ১,৩৭৫ কোটি টাকা নগদ ঢালার প্রস্তাব দিয়েছে। বিমান সংস্থাটিতে ৮৯.৭৯% অংশীদারিত্ব থাকবে কালরক-জালান কনসর্টিয়ামের। বিভিন্ন আর্থিক ঋণদাতা ও সাধারণ শেয়ারগ্রাহকদের মালিকানা থাকবে যথাক্রমে ৯.৫০% ও ০.২১%।
আশিসের বক্তব্য, 'আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে সাবলীল ভাবে এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে আমরা এখন কালরক-জালান কনসর্টিয়ামের সঙ্গে একযোগে কাজ করব। বিমান সংস্থাটি একটি জাতীয় আইকন এবং তা ফের আকাশে ওড়া দেখতে উড়ান যাত্রীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।'
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কৌঁসুলি আশিস মেহতা বলেন, 'এই ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বিমান পরিবহণ শিল্পে এটাই প্রথম কর্পোরেট দেউলিয়া নিষ্পত্তি পরিকল্পনা যেখানে বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনের বহু জটিল বিষয় যুক্ত ছিল। স্লট ও দ্বিপাক্ষিক অধিকারের বিষয়গুলি নিষ্পত্তি পরিকল্পনায় সংযুক্ত থাকায় এখানে বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।' প্রায় তিন দশক আগে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জেট এয়ারওয়েজের পরিষেবা নগদ সঙ্কটে ২০১৯-এর এপ্রিলে বন্ধ হয়ে যায়।
দেউলিয়া মামলা চলাকালীন রেজোলিওশন প্রফেশনালের কাছে আর্থিক ঋণদাতা ও কর্মীদের কাছে থেকে ৪৪,০০০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক দাবি জমা পড়ে, যার মধ্যে ১৫,৪০০ কোটি টাকার দাবি অনুমোদন করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জেটের কর্মীরা ১৮০ দিনের মধ্যে মোট ১১৩ কোটি টাকা পাবেন। অন্য দিকে, পাঁচ বছরে একাধিক কিস্তিতে আর্থিক ঋণদাতারা পাবে ১,০১০ কোটি টাকা।
গত বছরের অক্টোবরে জেট পুনরায় চালু করার জন্য কালরক-জালান কনসর্টিয়ামের নিষ্পত্তি পরিকল্পনায় সায় দেয় বিমান সংস্থাটির ঋণদাতাদের কমিটি। কনসর্টিয়াম ঋণদাতাদের প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। জেট এয়ারওয়েজের হাতে বিভিন্ন বিমানবন্দরে যে স্লট ছিল, তা 'ঐতিহাসিক সত্য' বলে যুক্তি দেখিয়ে ওই সমস্ত স্লটের দাবি জানায় কনসর্টিয়াম। পাশাপাশি, তারা জেটকে দেওয়া বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিভিন্ন অধিকার ফের বরাদ্দ করার দাবিও তোলে। এই দুই দাবিরই বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
এদিনের নির্দেশে ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, জেট এয়ারওয়েজকে ল্যান্ডিং স্লট দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করবে ডিজিসিএ এবং সেই অনুমোদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির কাছ থেকে লাইসেন্স পাওয়ার উপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ, ২০১৯ সালের এপ্রিলে জেট বন্ধ হওয়ার আগে তাদের হাতে যে সমস্ত ল্যান্ডিং স্লট ছিল, ঐতিহাসিক ভাবে তার কোনও অধিকার পাবে না বিমান সংস্থাটি।
জেট এয়ারওয়েজের রেজোলিউশন প্রফেশনাল আশিস ছাছারিয়া বলেছেন, 'গত দু'বছর ধরে আমাদের কঠোর পরিশ্রমের অবশেষে ফল মিলল এবং আজকের নির্দেশের ফলে জেট এয়ারওয়েজ ২.০-র পুনরুজ্জীবনের পথ প্রশস্ত হবে।'
জেটের পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা অনুযায়ী, এনসিএলটি-তে অনুমোদনের পর থেকে ছ'মাসের মধ্যে ৩০টি বিমান নিয়ে ফের পরিষেবা চালু করবে সংস্থাটি। সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য কনসর্টিয়ামটি ১,৩৭৫ কোটি টাকা নগদ ঢালার প্রস্তাব দিয়েছে। বিমান সংস্থাটিতে ৮৯.৭৯% অংশীদারিত্ব থাকবে কালরক-জালান কনসর্টিয়ামের। বিভিন্ন আর্থিক ঋণদাতা ও সাধারণ শেয়ারগ্রাহকদের মালিকানা থাকবে যথাক্রমে ৯.৫০% ও ০.২১%।
আশিসের বক্তব্য, 'আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে সাবলীল ভাবে এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে আমরা এখন কালরক-জালান কনসর্টিয়ামের সঙ্গে একযোগে কাজ করব। বিমান সংস্থাটি একটি জাতীয় আইকন এবং তা ফের আকাশে ওড়া দেখতে উড়ান যাত্রীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।'
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কৌঁসুলি আশিস মেহতা বলেন, 'এই ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বিমান পরিবহণ শিল্পে এটাই প্রথম কর্পোরেট দেউলিয়া নিষ্পত্তি পরিকল্পনা যেখানে বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনের বহু জটিল বিষয় যুক্ত ছিল। স্লট ও দ্বিপাক্ষিক অধিকারের বিষয়গুলি নিষ্পত্তি পরিকল্পনায় সংযুক্ত থাকায় এখানে বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।' প্রায় তিন দশক আগে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জেট এয়ারওয়েজের পরিষেবা নগদ সঙ্কটে ২০১৯-এর এপ্রিলে বন্ধ হয়ে যায়।
দেউলিয়া মামলা চলাকালীন রেজোলিওশন প্রফেশনালের কাছে আর্থিক ঋণদাতা ও কর্মীদের কাছে থেকে ৪৪,০০০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক দাবি জমা পড়ে, যার মধ্যে ১৫,৪০০ কোটি টাকার দাবি অনুমোদন করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, জেটের কর্মীরা ১৮০ দিনের মধ্যে মোট ১১৩ কোটি টাকা পাবেন। অন্য দিকে, পাঁচ বছরে একাধিক কিস্তিতে আর্থিক ঋণদাতারা পাবে ১,০১০ কোটি টাকা।