অ্যাপশহর

২০২২-এর মধ্যে স্বাভাবিক হবে না অধিকাংশ অর্থনীতি: মুডিজ

করোনা মহামারি অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলেছে 2022 সালের আগে তা অধিকাংশ দেশের পক্ষে সম্পূর্ণ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে মুডিজ।

Ei Samay 12 Mar 2021, 5:11 pm
এই সময়: আগামী বছরের আগে বিশ্বের অধিকাংশ অর্থনীতি প্রাক-করোনা কর্মকাণ্ডে ফিরবে না বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে মুডিজ ইনভেস্টর্স সার্ভিস। তবে একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, কোভিড- ১৯- এর কারণে ঋণ বাজারে যে মন্দা তৈরি হয়েছে তা স্বল্পস্থায়ী হবে।
EiSamay.Com eco
প্রতীকী ছবি


ঠিক এক বছর আগে গত বছর ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) কোভিড- ১৯- কে বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে। তার পর থেকে বিশ্ব অর্থনীতিকে তালগোল পাকিয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। তার প্রভাবে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এবং অনাদায়ী বন্ড হঠাৎই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।

করোনাভাইরাস নিয়ে তাদের গ্লোবাল রিপোর্টে মুডিজ বলেছে, 'কোভিড- ১৯-এর জন্য ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য, তবে ঋণ বাজারে মন্দা স্বল্পস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলিতে ঝুঁকি অনেক বেশি।'

২০২২-এর আগে বেশির ভাগ অর্থনীতি প্রাক-করোনা কর্মকাণ্ডের পর্যায়ে ফিরবে না বলে জানিয়ে মুডিজের বক্তব্য, তারা আশা করছে বিশ্ব অর্থনীতি শ্লথ ও অসমান ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এবং বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি থাকবে।

দেশের অর্থনীতির সুদিন ফেরার ইঙ্গিত মুডিজ-ব্লুমবার্গের সমীক্ষায়
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মহামারীর প্রকোপ চলে যাওয়ার পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও আর্থিক বাজারকে সহায়তা করার জন্য নীতিগত ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। মুডিজের মতে, এই সহায়তা কিছু ক্ষেত্রে কয়েক বছর চলবে।

সংস্থাটির আশা, টিকা পাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রমণের ঘটনা এবং প্রকোপ চলতি বছরেই কমবে। এর ফলে, বিভিন্ন দেশের সরকার আস্তে আস্তে লকডাউন ব্যবস্থা শিথিল করবে। তবে যে সমস্ত অঞ্চলে টিকাকরণের অগ্রগতি শ্লথ এবং স্থানীয় ভাবে সংক্রমণ ঘটছে, সেখানে কোভিড- ১৯ আরও কিছুদিন থাকার ঝুঁকি রয়েছে।

মুডিজ বলেছে, 'পাশাপাশি, নতুন মিউটেশনের ফলে সংক্রমণের গতি বাড়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টায় ঝুঁকি অবশ্যই রয়েছে। সেই কারণে ভাইরাস সম্পূর্ণ ভাবে দূর হওয়ার বদলে আমরা আশা করছি এর সঙ্গেই আমাদের বাঁচা শিখতে হবে যেখানে সংক্রমণের হার কম হবে।'

রেটিং সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারীর প্রভাব ঋণে কী পড়বে, তা নিয়ে তারা একগুচ্ছ রেটিং ব্যবস্থা নিয়েছে এবং চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে কোনও বিরাট আঘাত না এলে ক্রেডিট রেটিংসের আরও কোনও সামগ্রিক পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন পড়বে না বলেই তারা আশা করে।

টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন।

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল