অ্যাপশহর

সব ধরনের পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করল কেন্দ্র

বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে বাড়ির কর্তার। খুচরো বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ চল্লিশের নীচে কোথাও নেই। কোথাও কোথাও আবার বিকোচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরেও। পেঁয়াজের ঝাঁজে হেঁশেলে চোখ জ্বলছে ঘরনির। এই অবস্থায় সব ধরনের পেঁয়াজের রফতানি আপাতত বন্ধ। নির্দেশিকা কেন্দ্রের।

EiSamay.Com 15 Sep 2020, 1:37 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে উত্‍‌পন্ন সব ধরনের পেঁয়াজের রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় 'বেঙ্গালোর রোজ' পেঁয়াজও রয়েছে। সোমবার 'ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড'-এর তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অবিলম্বে কার্যকর করার কথাও এদিন বলা হয়েছে।
EiSamay.Com ONION
বন্ধ হল পেঁয়াজ রফতানি।


ভারতে উত্‍‌পন্ন বেঙ্গালোর রোজ ও কৃষ্ণপুরম জাতের পেঁয়াজ সব থেকে বেশি রফতানি হয়। নির্দেশিকার আওতায় এই দু-ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে।

অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে এ বার পেঁয়াজের ফলন ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। জল জমে চাষজমিতেই নষ্ট হয়েছে বিঘের পর বিঘের জমির পেঁয়াজ। যার প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারগুলিতে। হোল সেল মার্কেটে সোমবার ৩০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। যেখানে ২৮ অগস্ট প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ছিল ১২০০ টাকা।

পেঁয়াজের দাম প্রায় তিন গুণ বেড়ে যাওয়ার পরই সরকার সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়। প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ কোথাও কোথাও ৬০ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশ-সহ সব দেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি অবিলম্বে বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের চাষ হয় মহারাষ্ট্রে। সেখান থেকে যেমন পেঁয়াজ রফতানি করা যাবে না, তেমনি কর্নাটক, তামিলনাডু থেকেও পেঁয়াজ রফতানি আপাতত বন্ধ। কেন্দ্রের বিবৃতিতে রফতানি বন্ধের কোনও কারণ উল্লেখ নেই। মনে করা হচ্ছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যই কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।

আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া করোনা পজিটিভ, গেলেন আইসোলেশনে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ হল ভারত। প্রতি বছর ভারত থেকে ২০ লক্ষ টন পেঁয়াজ রফতানি হয়। বাংলাদেশ, নেপাল, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলঙ্কা ব্যাপক ভাবে ভারতের পেঁয়াজের উপর নির্ভর করে। ফলে, ভারতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ায়, উল্লিখিত বাকি দেশগুলির মতো এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও। গত বছর সেপ্টেম্বরেও একবার ভারত পেঁয়াজ রফতানি আচমকা বন্ধ করে দিয়েছিল। যার জেরে বাংলাদেশের বাজারে রাতারাতি পেঁয়াজ হয়ে উঠেছিল অগ্নিমূল্য। এ বারও তেমন সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে পজিটিভ, জয়পুরে নেগেটিভ! করোনার টেস্ট রিপোর্টে ধন্দে সাংসদ

পেয়াঁজ রফতানি নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা জারির পর উত্তর ২৪ পরগনার দুই মহকুমার সীমান্তে আটকে গেল ৫০০ লরি পেয়াঁজ। ব্যবসায়ী থেকে ট্রাকচালক-- সকলেই ধন্দে। এক দিকে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে, অন্য দিকে বসিরহাট সীমান্তে প্রায় ১২,০০০ টন পেঁয়াজ আটকে রয়েছে বলে খবর। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী, কাটা পেঁয়াজ, পেঁয়াজের স্ম্যাশ বা পেঁয়াজ পাউডারের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা নেই। গোটা ঘটনার জেরে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে লকডাউনের জেরে আটকে থাকা পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক ঘিরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী শরদ পাওয়ারের কাছে সম্প্রতি পিটিশন দেন মহারাষ্ট্রের ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষিরা। মঙ্গলবার এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে পাওয়ারের কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল