অ্যাপশহর

নিশানায় PayTm? দেশি কৌশল নিল MobiKwik

বাজার দখলে নয়া কৌশল MobiKwik-এর। সম্প্রতি কেন্দ্র বেশ কয়েকটি চিনা অ্যাপ ব্য়ান করার পরে দেশি' তকমায় ধুয়ো তুলল তারা।

EiSamay 26 Nov 2020, 6:51 pm
এই সময়: প্রশ্নটা এখন অনেকটা এমন দাঁড়িয়ে গিয়েছে, যে বিস্তীর্ণ বাজারে ছড়িয়ে রাখা মাছের সম্ভার সাজিয়ে রেখেছেন অনেকেই। সেখানে পছন্দের কোন মাছটা কিনছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা কিনছেন কোন বিক্রেতার থেকে।
EiSamay.Com mobiq ২
এই সেই বিজ্ঞাপন


ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা ও দেশের নিরাপত্তা এবং স্বাভাবিক জনজীবন অব্যাহত রাখতে তিন দফায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের (২০০০) ৬৯এ ধারা এবং ইনফর্মেশন টেকনোলজি (প্রসিডিওর অ্যান্ড সেফগার্ডস ফর ব্লকিং অফ অ্যাক্সেস অফ ইনফর্মেশান বাই পাবলিক) রুলস ২০০৯-এর আওতায় ইতিমধ্যেই তিন দফায় ২২০টি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে 'মেড ইন ইন্ডিয়া' অ্যাপের পথ দেশে প্রশস্ত হবে বলে আশায় মোদী সরকার। যা নিয়ে সরব হয়েছেন শীর্ষস্তরীয় মন্ত্রী-আমলারাও।

স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে বেজিং-নয়াদিল্লি ঠাণ্ডা যুদ্ধের পাশাপাশি দেশের খুচরো বাজারে দখল আরও জোরদার করতে কিশোর বিয়ানির ফিউচার গোষ্ঠীর ব্যবসা কেনা নিয়ে জোরদার তাল ঠোকাঠুকি হচ্ছে দেশি রিলায়েন্স-এর সঙ্গে মার্কিন অ্যামাজনের। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, বিপুল ব্যবসার বাজারে দেশবাসীকে পরিষেবা দেওয়ার লড়াই আদতে দাঁড়িয়ে গিয়েছে শিকড়ের যুদ্ধে, আমরা-ওরার যুদ্ধে, দেশি বনাম বিদেশির যুদ্ধে, ভারতীয় বনাম চিনার যুদ্ধে।

আরও পড়ুন: শুধু ফোন নম্বর নয়, বদলে গিয়েছে রান্নার গ্যাস বুকিংয়ের পদ্ধতিও! জানেন তো?

তৃতীয় দফায় মঙ্গলবারই ৪৩টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তারপরেই সেই লড়াইকেই আরও উস্কে দিল ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম মোবিক্যুইক। বুধবারই দেশের এক অগ্রণী সংবাদপত্রে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁরা দেশবাসীর কাছে আবেদন রেখেছে, সবাই যেন মোবিক্যুইকের মতো 'সম্পূর্ণ দেশীয় পেমেন্টস অ্যাপ' এর মাধ্যমেই সব অনলাইন লেনদেন করেন। যে বিজ্ঞাপনের 'বটমলাইনে' বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ২২০টি চিনা অ্যাপ দেশে 'নিষিদ্ধ' হয়ে গিয়েছে। এ বার অন্তত দেশবাসী ২২১ নম্বরটিও ব্যবহার বন্ধ করে দেশীয় অ্যাপেই ভরসা রাখুন অনলাইনে বিল প্রদান, মোবাইল-টিভি রিচার্জ-সহ একাধিক পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে।

বিশেষজ্ঞদের মত, নাম না করা হলেও মোবিক্যুইক কর্তৃপক্ষের নিশানা আসলে প্রবল প্রতিপক্ষ বিজয়শেখর শর্মা প্রতিষ্ঠিত 'পেটিএম'-এর দিকে, যেখানে বড় অঙ্কের লগ্নি রয়েছে চিনা ধনকুবের জ্যাক মা'র গোষ্ঠী আলিবাবার। উল্লেখ্য, তৃতীয় দফায় নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপগুলির মধ্যে আলিবাবা গোষ্ঠীর চার অ্যাপ আলিসাপ্লায়ার্স, আলিবাবা ওয়ার্কবেঞ্চ, আলি এক্সপ্রেস এবং আলিপে ক্যাশিয়ারও রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই পেটিএম-এর চিনা যোগ ধরে তাদের একহাত নিয়েছেন মোবিক্যুইক কর্তৃপক্ষ। পেটিএম-এ লগ্নি রয়েছে জাপানের টেলিকম সংস্থা সফটব্যাঙ্কেরও।

এমন নয় যে গুরুগ্রামস্থিত মোবিক্যুইকে বিদেশি কোনও লগ্নি নেই। সিক্যুইয়া ক্যাপিটাল, সিসকো ইনভেস্টমেন্ট, অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস-এর মতো একাধিক নামী বিদেশি বিনিয়োগকারী রয়েছে তাদের পিছনে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর 'আত্মনির্ভর ভারত' স্লোগানের ধুয়ো ধরে নিজেদের 'ভারতীয়' অ্যাপ আখ্যাকেই চাবিকাঠি করে দেশের বিপুল ডিজিটাল পেমেন্ট বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদান করতে চাইছেন মোবিক্যুইক কর্তৃপক্ষ, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল