অ্যাপশহর

লকডাউনে পিএফে উঠল ২৮০ কোটি টাকা

করোনায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল পেনশন স্কিমের (এনপিএস) গ্রাহকরা তাদের পেনশন ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে আংশিক টাকা তুলতে পারবেন। শুক্রবার এক নির্দেশিকায় এ কথা জানিয়েছে পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।

EiSamay.Com 12 Apr 2020, 3:25 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে কর্মীদের আর্থিক সমস্যা মেটাতে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) থেকে টাকা তোলার নিয়ম ২৮ মার্চ শিথিল করে কেন্দ্র। সংশোধিত নিয়মে ইপিএফে জমার ৭৫ শতাংশ বা তিন মাসের বেতন (মহার্ঘ ভাতা নিয়ে), যেটি কম তার সমতুল অর্থ তোলা যাবে এবং ওই টাকা আর প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে ফেরত না দিলেও চলবে। এর পরই গ্রাহকদের মধ্যে টাকা তোলার হিড়িক পড়ে। ২৯ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত টাকা তোলার ১.৩৭ লক্ষ আবেদন মঞ্জুর করে ক্লেমের ২৮০ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছে ইপিএফও। শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
EiSamay.Com epfo


এ রাজ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৩,৮০৭টি আবেদনের ৬.৭ কোটি টাকা ক্লেম মেটানো হয়েছে বলে কলকাতায় রিজিওনাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার নবেন্দু রাই জানান।

শ্রম মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘লকডাউন পর্বে ইপিএফও সদস্যদের হাতে আয় বাড়াতে গোটা দেশে প্রায় ১.৩৭ লক্ষ ক্লেমের আবেদন মেটানো হয়েছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ২৭৯.৬৫ কোটি টাকা।’

যে সমস্ত গ্রাহকের কেওয়াইসি তথ্য সঠিক রয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলির ক্লেমের টাকা আবেদন জমা পড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনুমোদন করছে ইপিএফও। নবেন্দুর কথায়, ‘সমস্ত আবেদন আমাদের কেন্দ্রীয় পোর্টাল মারফত করতে হয়। যে সমস্ত আবেদন আমাদের অঞ্চলের মধ্যে পড়ে সেগুলি প্রসেস করার জন্য পাঠানো হয়।’

যে সমস্ত গ্রাহক অন্য কোনও কারণে টাকার জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলার জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাও করোনার কারণে টাকা তুলতে পারবেন। প্রতিটি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি তথ্য যাচাইয়ের পর যত দ্রুত সম্ভব ক্লেম মেটানোর চেষ্টা করছে ইপিএফও। কেওয়াইসি তথ্যের জন্য অনলাইনেই গ্রাহকদের জন্মতারিখ সংশোধনের সুবিধাও শুরু করেছে ইপিএফও। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের আধার কার্ড এ ক্ষেত্রে গ্রাহ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে।

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল