অ্যাপশহর

কোভিড মন্দা সরিয়ে চাঙা হচ্ছে ভোগ্যপণ্য়ের বাজার

কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামীদিনে ভারতে ক্রেতা ভোগ্যপণ্য বাজারের ব্যাপক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে।

Ei Samay 31 Mar 2021, 3:36 pm
এই সময়: কোভিড অতিমারীর সংক্রমণের জেরে দীর্ঘ লকডাউনে দেশে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ২০২০ সালের ক্রেতা ভোগ্যপণ্য বাজারের কেনাকাটা। কিন্তু সেই দুঃস্বপ্নের প্রহর কাটিয়ে নতুন জোয়ার এসেছে বাজারে। যা গত বছরের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি মিটিয়ে দেবে সংস্থাগুলির। সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি কেয়ার।
EiSamay.Com market 1
প্রতীকী ছবি


তাদের বিশেষজ্ঞদের দাবি, বেড়াতে যাওয়ার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং মোবাইল ফোন বাদ দিলে ক্রেতা ভোগ্যপণ্যের বাকি প্রায় সব ক্ষেত্রের কেনাকাটাতেই আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দু'অঙ্কের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক চিত্র সংস্থা কর্তৃপক্ষগুলির তরফে।

লক্ষ্যচ্যুত মোদী সরকার, বছরে অর্ধেকেরও কম GST আদায়
রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের শুরু থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের দাপটে দেশে দীর্ঘ লকডাউনের সময়কালে ইলেকট্রনিক্স এবং অ্যাপ্লায়েন্সেস বাজারে অভূতপূর্ব সঙ্কোচন দেখা গিয়েছিল। তবে দেশে ক্রমশ ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমের বাড়বাড়ন্ত এবং অধিকাংশ কাজই ভার্চুয়াল মোডে শুরু হয়ে যাওয়ায় বিক্রির গ্রাফ ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ঘরে বেশিক্ষণ সময় কাটানোর ফলে মানুষ ব্যবহারের জন্য রেফ্রিজারেটর, বৈদ্যুতিক রান্নার সরঞ্জাম, এসি কিনতে আগের থেকে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। যা সার্বিক বৃদ্ধিকে টেনে তুলছে। উৎসবের মরসুমে কেনাকাটার হিড়িকও বিক্রি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে চালানো এক সমীক্ষাতেও দাবি করা হয়েছে, ভোগ্যপণ্য এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে চলতি বছরের প্রথম দু'মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১০ ও ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে।

পেট্রল-ডিজেলে GST? নির্মলা রাজি, নারাজ সুশীল
কেয়ার-এর বিশেষজ্ঞদের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের 'তেজি' বাজার জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকেও বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশে ফের করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে, তার ফলে বাজারে তার ঋণাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।

কেয়ার রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে বড় সংস্থাগুলিকে ভারতে কারখানা স্থাপন ও রপ্তানি বৃদ্ধিকে উৎসাহ দিতে কেন্দ্র টেলিকম, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, গাড়ির যন্ত্রাংশ, ওষুধ ও বস্ত্রশিল্পের মতো যে ১৩টি ক্ষেত্রে উৎপাদন সংযুক্ত উৎসাহ প্রকল্প বা পিএলআই স্কিম চালু করেছে তার জেরে আগামী পাঁচ বছরে ভারতের উৎপাদন ৫২,০০০ কোটি মার্কিন ডলার বৃদ্ধির আশা করছে কেন্দ্র। এই স্কিমের জেরে আগামী ২০২১-২২ অথবর্ষে দেশে ক্রেতা ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন ৫-৮% বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন।

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল