India Will Export Missiles, Rockets And Ammunition To Armenia Amid War Situation With Azerbaijan
India Armenia News: আর্মেনিয়া-আজেরবাইজান অশান্তিতে জড়াল ভারতও! দিল্লি দিচ্ছে 2 হাজার কোটির অস্ত্র
আজেরবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই সুখবর আর্মেনিয়ার জন্য। মধ্য এশিয়ার দেশকে 2 হাজার কোটি টাকার বেশি আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র রফতানি করতে চলেছে ভারত। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর জন্য গবেষণায় নিযুক্ত DRDO (Defence Research and Development Organisation)-র তরফে নির্মিত অস্ত্র, মিসাইল ছাড়াও রকেটও পাঠানো হবে আর্মেনিয়ায়।
ডিআরডিও-র তৈরি অস্ত্র এবার আর্মেনিয়ায় রফতানি করবে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে নেওয়া এই উদ্যোগে ব্যবহৃত প্রত্যেক যুদ্ধাস্ত্রই 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রোডাক্ট। জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের শুরুতেই আর্মেনিয়ার সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছিল মোদী সরকার। অস্ত্র রফতানির চুক্তির অঙ্ক সম্পর্কে স্পষ্ট জানা না গেলেও, দ্য ইকনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী সংখ্যাটি 2000 কোটির বেশি। প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গেই সামরিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করেছেন পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞরা।
সামরিক রফতানিতে রাজস্ব বৃদ্ধি
সামরিক রফতানিতে সাম্প্রতিক সময়ে নজরকাড়া ব্যবসা করেছে ভারত। ET-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, 2025 সালের মধ্যে মোট 35 হাজার কোটির অস্ত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদী সরকার। এরমধ্যে শুধু গতবছরই 13 হাজার কোটির যুদ্ধাস্ত্র রফতানি করেছে নয়াদিল্লি।
আজেরবাইজানের হামলায় নিহত 3: আর্মেনিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
কী কী অস্ত্র রফতানি করবে ভারত?
প্রতিরক্ষা সূত্রে জানতে পেরে ET রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে তালিকায় সবচেয়ে নজরকাড়া নাম মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার পিনাকা (Pinaka Multi-Barrel Rocket Launcher)। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুত পিনাকা প্রথম ব্যবহার হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধে। সে সময় 40 কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যভেদে সক্ষম ছিল রকেট লঞ্চার পিনাকা। তবে বর্ধিত পাল্লার পিনাকা বর্তমানে 75 কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যকে ধ্বংস করতে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত বিস্ফোরক বহন এবং লেজার গাইডেড প্রযুক্তির সাহায্য নিখুঁত ভাবে লক্ষ্যভেদ সম্ভব করছে এই রকেট।
এছাড়াও থাকছে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক রকেট এবং শত্রুকে চিহ্নিত করতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি র্যাডার।
ভারত-আর্মেনিয়া সম্পর্ক
প্রসঙ্গত, মধ্য এশিয়ার দেশকে এই প্রথম অস্ত্র রফতানি করছে না ভারত। 2020 সালে ন্যূনতম 350 কোটি টাকার স্বাথী র্যাডার (Swathi Radar) রফতানি করেছিল নয়াদিল্লি। পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে ইতিমধ্যেই সফল ভাবে স্থাপন করা হয়েছে র্যাডারগুলি। এই যা ওই অঞ্চলে অস্ত্র রফতানিকারী প্রত্যেক দেশের থেকে ব্যবসার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি ছিল।
পিছনে কি সেই পাকিস্তানই?
আজেরবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধে বরাবরই আর্মেনিয়ার পক্ষ নিয়েছে টার্কি। একই পথে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বন্ধুরাষ্ট্র পাকিস্তানকেও। প্রসঙ্গত, টার্কির পর পাকিস্তানই প্রথম দেশ, যা আজেরবাইজানকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বাকু (আজেরবাইজানের রাজধানী) ও ইসলামাবাদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, 2020 সালে বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া-আজেরবাইজান যুদ্ধের সময়ে ভারত যেমন আর্মেনিয়াকে অস্ত্র রফতানি করেছিল। পাকিস্তান সমর্থন করেছিল আজেরবাইজানকে।
আজেরবাইজানের হামলায় নিহত 3। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ আর্মেনিয়ান মন্ত্রকের
আজেরবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাতের ইতিহাস
একদা সোভিয়েত ইউনিয়নের (USSR) অংশ থাকা দুই দেশের মধ্যে বিরোধ বহু পুরনো। দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত নাগোরনো-কারাবাখ (Nagorno-Karabakh) এলাকা নিয়ে আজেরবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে বিরোধ রয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকেই এলাকাটি আজেরবাইজানের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসীই আর্মেনিয়ান। 1988 সালে নাগোরনো-কারাবাখের স্বশাসিত সরকারকে উৎখাত করেছিল আজেরবাইজান (Azerbaijan)। তারপর থেকেই সেখানকার আর্মেনিয়ানরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিতর্কিত এলাকাকে কেন্দ্র করে 1992 সালে আজেরবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হয়। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হলেও নাগোরনো-কারাবাখ এলাকার দখল নিয়ে নেয় আর্মেনিয়া (Armenia)। এরপর 2016-তে ফের যুদ্ধ হয় দু'দেশের মধ্যে। আমেরিকা, রাশিয়া এবং ফ্রান্সের হস্তক্ষেপে যুদ্ধ থামে। চার বছর পর ফের যুদ্ধ হয় দুই পড়শির মধ্যে। যার রেশ এখনও কাটেনি। অস্ত্রবিরতি উপেক্ষা করে ক্রমাগতই সীমান্ত হানা চালিয়ে গেছে দু’দেশের সেনাই।
মহর্ষি 12 বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত। টিভি চ্যানেল দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে অনলাইনে খবরের গুরুত্ব বুঝেই ডিজিটাল মিডিয়ায় কেরিয়ারকে প্রাধান্য দিয়েছি। জেনারেল নিউজের পাশাপাশি ব্যবসা, টেক এবং অটোর মতো ক্যাটেগরিতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে মহর্ষি। এছাড়াও বাংলায় ফ্যাক্ট চেকিংয়ের পদ্ধতির উপর দীর্ঘ সময় ধরেই কাজ করে আসছে। প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহে নিজেকে সময়োপযোগী রাখতে পেরেই পাঠকদের জন্য ভিন্ন স্বাদের কনটেন্ট তৈরি করতে পেরেছে মহর্ষি। বর্তমানে মূলত বিজনেস ও টেকের জন্য খবর তৈরির পাশাপাশি এই সময় ডিজিটালের একাংশ পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছে মহর্ষি। অবসর সময়ে রান্না করা, বই ও খবর পড়া, সিনেমা/সিরিজ দেখার পাশাপাশি প্লে স্টেশনে গেম খেলতে ভালোবাসেন মহর্ষি বসু।... আরও পড়ুন
Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল
We use cookies and other tracking technologies to provide services in line with the preferences you reveal while browsing the Website to show personalize content and targeted ads, analyze site traffic, and understand where our audience is coming from in order to improve your browsing experience on our Website. By continuing to browse this Website, you consent to the use of these cookies. If you wish to object such processing, please read the instructions described in our privacy policy/cookie policy.