অ্যাপশহর

বাণিজ্যমেলায় জিএসটি নিয়ে অসন্তোষ অমিতের

সম্প্রতি জিএসটিতে বহু জিনিসের উপর করের হার অনেকটা কমানো হলেও আদৌ সন্ত্তষ্ট নন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷

EiSamay.Com 27 Nov 2017, 1:18 pm
গৌতম হোড় ■ নয়াদিল্লি
EiSamay.Com gst has hit exports and small enterprises says amit mitra
বাণিজ্যমেলায় জিএসটি নিয়ে অসন্তোষ অমিতের

সম্প্রতি জিএসটিতে বহু জিনিসের উপর করের হার অনেকটা কমানো হলেও আদৌ সন্ত্তষ্ট নন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ দিল্লিতে এসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় আসরে বিস্তারে জিএসটি নিয়ে তাঁর অসন্তোষ ও চিন্তার কথা জানিয়েছেন অমিত৷ তাঁর অসন্তোষের সবচেয়ে বড় কারণ , জিএসটিতে করের হার কমানো হচ্ছে খেয়ালখুশি মতো৷ এটা হওয়া উচিত ছিল নীতির ভিত্তিতে৷ তাঁর কথায় , ‘আমি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছিলাম , তামাক -সহ নির্দিষ্ট কিছু হানিকর জিনিস এবং অতি বিলাসবহুল জিনিসের উপর ২৮ শতাংশ হারে কর বসানো উচিত৷

অন্য জিনিসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কর হওয়া উচিত ১৮ শতাংশ৷ আর কোন জিনিসের উপর ১৮ শতাংশ কর থাকবে , কোথায় ১২ বা ৫ শতাংশ হারে কর বসবে , তা নির্ভর করবে একটা নির্দিষ্ট নীতির উপরে৷ এখানে নীতি নেই৷ তার জন্য এখন ব্যাপক লবিং শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ’ অমিত জানিয়েছেন , গুয়াহাটিতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রের লোকেরা এসে তাঁদের ক্ষেত্রে কর কমানোর জন্য ধরাধরি শুরু করেছিলেন৷ এই কথাটা কিছু দিন আগে বলেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহাও৷ ‘এই সময় ’কে এক সাক্ষাত্কারে৷

এর পাশাপাশি অমিতের আর একটি বড় চিন্তা , জিএসটিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির লোকসানের পরিমাণ৷ প্রথম তিন মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারের ৬৫ হাজার কোটি এবং রাজ্য সরকারগুলির ৩০ হাজার কোটি লোকসান হয়েছে৷ এই লোকসান পুরোটাই কেন্দ্রকে পূরণ করতে হবে৷ কেন এত ক্ষতি? অমিতের জবাব , এর বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে৷ তার মধ্যে অন্যতম , এত তাড়াহুড়ো করে ও জটিল ভাবে রিটার্ন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে যে ব্যবসায়ীরা রিটার্ন জমা দিতে পারছেন না৷ অগস্টে ২২ শতাংশ , সেপ্টেম্বরে ৩০ শতাংশ ও অক্টোবরে ৪০ শতাংশ ব্যবসায়ী রিটার্ন দিতে পারেননি৷ ব্যবসায়ীরা রিটার্ন দিতে না -পারলে কর সরকারের ঘরে আসবে না৷ পরে সরল একটা ফর্ম চালু করা হয়েছে৷ কিন্ত্ত তাতেও ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হচ্ছে বলে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন৷

অমিত বলেছেন , এত তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালুর ফলে ব্যবসায়ীদের রিফান্ড দেওয়া যাচ্ছে না৷ কম্পিউটারে অসুবিধা হচ্ছে বলে এখন সাবেকি পদ্ধতিতে রিফান্ড দেওয়া হচ্ছে৷ তা প্রচুর সময়সাপেক্ষ৷ মার্চেন্ট এক্সপোর্টার বা যাঁরা জিনিস রন্তানি করেন , তাঁরা আগে ভ্যাটের আওতার বাইরে ছিলেন৷ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা বলেছিলেন , এঁদের জিএসটির বাইরে রাখতে৷ কিন্ত্ত তাঁদের ক্ষেত্রে ০ .০৫ শতাংশ কর বসানো হয়েছে৷ তাঁরা রিফান্ড না -পাওয়ায় রন্তানি করতে পারছেন না৷ বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি রন্তানিকারীরা প্রবল অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন৷ অমিতের কথায় , ‘গুয়াহাটির বৈঠকে দু’জন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন , জেটলি যে অনেক জিনিসে করের হার কমাচ্ছেন , তা করছেন একটি রাজ্যের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে৷ তার আগে বিরোধী অর্থমন্ত্রীরা বারবার করে দাবি জানালেও তাতে কান দেওয়া হয়নি৷ এই অভিযোগ সত্যি কি না সেটা আপনারা বলতে পারবেন৷’

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল