অ্যাপশহর

স্থিতিশীল রাজস্ব ও পরোক্ষ কর আদায়েই জোর সুশীল মোদীর

জিএসটি চালু হওয়ার পর এখন সবার আগে প্রয়োজন মোট পরোক্ষ কর রাজস্ব আদায়ে স্থিতিশীলতা৷

EiSamay 9 Dec 2017, 11:20 am
এই সময়: জিএসটি চালু হওয়ার পর এখন সবার আগে প্রয়োজন মোট পরোক্ষ কর রাজস্ব আদায়ে স্থিতিশীলতা৷ সেটা হওয়ার পরেই জিএসটি-র কয়েকটি হারের সংযুক্তিকরণ বা বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার করের হারের পরিবর্তনের বিষয়টি জিএসটি কাউন্সিল-এর বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য তথা বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী৷
EiSamay.Com empowered panel of state finance ministers has lost relevance sushil modi
স্থিতিশীল রাজস্ব ও পরোক্ষ কর আদায়েই জোর সুশীল মোদীর


শুক্রবার কলকাতায় ভারত চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায় স্থিতিশীল হোক এবং পরোক্ষ কর আদায় বাড়ুক, তার পরেই কাউন্সিল করের হারের পরিবর্তন বা ১২ ও ১৮ শতাংশ হারকে সংযুক্তিকরণের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে৷’ তিনি জানান, গত মাসে গুয়াহাটিতে জিএসটি কাউন্সিল-এর আগের বৈঠকের পর করের হার সংক্রান্ত ৯০ শতাংশ সমস্যা সমাধান হয়ে গিয়েছে এবং বাকিগুলিও শীঘ্র মিটে যাবে৷ এখন মাত্র ৫০টি পণ্য সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ করের হারের আওতায় রয়েছে৷ তবে, মোদীর আশা পণ্য ও পরিষেবা কর ব্যবস্থা সারা দেশে স্থিতিশীল হওয়ার পর কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির রাজস্ব আদায় বাড়বে৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারে বারেই অভিযোগ করছে, জিএসটি চালু হওয়ার জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোট ব্যবসায়ী, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী এবং বস্ত্র ক্ষেত্র৷

বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করে জানান, যেহেতু আগে তাঁরা ভ্যাট -এর আওতায় পড়তেন না , সেই কারণেই সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন , গোটা ব্যবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর পেট্রোলিয়ম পণ্য, বিদ্যুত্ শুল্ক এবং সম্পত্তি স্ট্যাম্প ডিউটি জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি কাউন্সিল বিবেচনা করবে৷ জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার সমস্যা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য , ‘জিএসটি নেটওয়ার্ক-এর সমস্যা এখন এখন আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে৷ প্রায় ১৩ লক্ষ রিটার্ন দাখিল হয়েছে এবং জিএসটি নেটওয়ার্ক এখন ঘণ্টায় এক লক্ষ রিটার্ন দাখিল করতে সক্ষম৷ এ দিকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের ক্ষমতায়ন কমিটির যে বৈঠক ডেকেছেন চেয়ারম্যান তথা পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তা স্থগিত রাখতে তাঁকে চিঠি লিখেছেন সুশীল মোদী৷

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের ক্ষমতায়ন কমিটির গর্ভনিং বডি -র বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ কমিটির বার্ষিক রিপোর্ট এবং স্টেটমেন্ট অফ অ্যাকাউন্টস্ ওই বৈঠকে বিবেচনা হওয়ার কথা৷ এ ছাড়াও জিএসটি -র বাইরে রাজ্যগুলির রাজস্ব কোথা থেকে আসতে পারে , রাজ্যগুলির রাজস্ব সম্পদ, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বিভিন্ন বিষয় ও নানাবিধ ব্যাপার নিয়মিত আলোচনা করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ কিন্ত্ত, রাজ্যগুলির রাজস্ব পরিস্থিতি এবং জিএসটি -র বাইরে রাজস্ব আদায়ের উত্স খোঁজা , রাজ্যগুলির কর সংক্রান্ত ক্ষমতা অথবা বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিতে অনুদান ও অর্থ বণ্টন আলোচনার জন্য এই কমিটির কোনও মান্যতা নেই৷’

গতকাল ফোনে এ ব্যাপারে অমিত মিত্রর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও মোদী জানিয়েছেন৷ তবে অমিত মিত্রর কাছ থেকে এই চিঠির বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ বিশেষজ্ঞদের মতে , ভ্যাট , উত্পাদন শুল্ক, পরিষেবা কর জিএসটি -র মধ্যে মিশে যাওয়ার পরেই বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের ক্ষমতায়ন কমিটির কোনও কাজ নেই৷ উপরন্ত্ত , সংবিধান অনুযায়ী যে জিএসটি কাউন্সিল গঠিত হয়েছে, প্রত্যেক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তার সদস্য , যাঁরা আগে ক্ষমতায়ন কমিটির সদস্য ছিলেন৷ বিহারের উপ -মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘ফলে , ক্ষমতায়ন কমিটিকে কোনও নতুন কাজ দেওয়া যেমন হয়নি তেমনই তাকে কোনও নয়া জনাদেশ দেওয়া হয়নি৷’ তবে ১৪ তারিখের বৈঠকে আপত্তি জানালেও তিনি ক্ষমতায়ন কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা বলেননি৷

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল