অ্যাপশহর

সমীক্ষা-জিএসটির অঙ্কে অর্থনীতি ঘোরার ইঙ্গিত

সংস্থাটি জানিয়েছে, বাজারে চাহিদা ফিরে আসার ফলে গত মাসে কলকারখানায় উৎপাদন, কর্মীনিয়োগ বেড়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থাগুলির নতুন ব্যবসার বরাত --- দেশের বাজারে এবং বিদেশে রপ্তানি করার --- বেড়েছে ফলে তারা বেশি করে কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি প্রভৃতি আমদানি ও কর্মীনিয়োগ করতে শুরু করেছে।

EiSamay.Com 4 Feb 2020, 1:24 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত অক্টোবর মাস থেকেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইঙ্গিত জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যানে। সোমবার এই ধারণাকে আরও জোরদার করল লন্ডনের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা আইএইচএস মার্কিট। সোমবার সংস্থাটি জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসে ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে পার্চেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স --- বিভিন্ন কলকারখানা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পার্চেজিং ম্যানেজাররা নতুন বরাত পাওয়া, কর্মীনিয়োগ, বিক্রি বৃদ্ধি, কাঁচামাল ও উৎপাদনের উপকরণ কেনা প্রভৃতি নিয়ে কী মনে করছেন তার ভিত্তিতে তৈরি মাসিক সূচক --- গত আট বছরের সর্বোচ্চ ৫৫.৩ ছুঁয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে ওই সূচক ছিল ৫২.৭। এই সূচক ৫০-এর উপর থাকার অর্থ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং ৫০-এর নীচে থাকার অর্থ অর্থনৈতিক সংকোচন।
EiSamay.Com economic crisis in india
আর্থিক সংকট


সংস্থাটি জানিয়েছে, বাজারে চাহিদা ফিরে আসার ফলে গত মাসে কলকারখানায় উৎপাদন, কর্মীনিয়োগ বেড়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থাগুলির নতুন ব্যবসার বরাত --- দেশের বাজারে এবং বিদেশে রপ্তানি করার --- বেড়েছে ফলে তারা বেশি করে কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি প্রভৃতি আমদানি ও কর্মীনিয়োগ করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, দেশের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মনোভাবও অনেক চাঙা হয়েছে।

‘সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিল্পসংস্থাগুলি জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি বরাত ও ব্যবসা বেড়েছে গত মাসে,’ আইএইচএস মার্কিট-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ পলিয়ানা দ্য লিমা বলেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর এত দ্রুত রপ্তানির বরাত বৃদ্ধি আগে দেখা যায়নি।

আইএইচএস মার্কিট-এর এই রিপোর্টের সমর্থন পাওয়া যায় গত মাসের জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যানেও। জানুয়ারি মাসে মোট জিএসটি আদায় হয়েছে ১,১০,৮২৮ কোটি টাকা। এই নিয়ে পর পর তিন মাস জিএসটি আদায় ১ লক্ষ কোটি টাকার উপর রইল।

তবে, এই আদায় বৃদ্ধি কতটা সরকারের করফাঁকি আটকাতে ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করার কারণে, আর কতটা বাস্তবিক ব্যবস্থা বৃদ্ধির কারণে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যেতে পারে। কিন্তু, আমদানি করা পণ্যে জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত নভেম্বরের পর থেকে ওই আদায় ধীরে ধীরে বাড়ছে। গত অক্টোবর মাসে আমদানির উপর জিএসটি আদায় তার আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। কারণ, বাজারে ক্রেতা চাহিদা না থাকায় কোনও শিল্প সংস্থা উৎপাদন বাড়াতে সাহসী হয়নি। উল্টে, উৎপাদনের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি আমদানি কমিয়ে দিয়েছিল।

অর্থাৎ, অর্থনীতির আকাশে ক্রমশ পুঞ্জীভূত হয়ে ওঠা কালো মেঘ গত অক্টোবর থেকে ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে বলাই যায়।

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল