অ্যাপশহর

লটারিতে জিএসটি ২৮% মার্চ থেকে

লটারির টিকিটে জিএসটি নিয়ে সহমতের ভিত্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন তথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, বিভিন্ন রাজ্যে লটারির উপর সমান হারে জিএসটি আরোপ করা নিয়ে এই প্রথমবার কাউন্সিলের সদস্যরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন।

EiSamay.Com 19 Dec 2019, 9:06 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে করের হার বাড়ানো নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এ কথা জানান। তবে, এ দিন লটারির টিকিটে জিএসটি নিয়ে সহমতের ভিত্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন তথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, বিভিন্ন রাজ্যে লটারির উপর সমান হারে জিএসটি আরোপ করা নিয়ে এই প্রথমবার কাউন্সিলের সদস্যরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন। সীতারামন বলেন, ‘কাউন্সিল এই ভোট পদ্ধতি চাপিয়ে দেয়নি। বরং একজন সদস্যের প্রস্তাব মেনে নিয়ে বাকি সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে ভোটাভুটির পক্ষে মত দেন এবং সহমতের ভিত্তিতে সব রাজ্যে লটারির উপর একই হারে কর বসানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
EiSamay.Com gst on lottery


আগামী বছর ১ মার্চ থেকে সব রাজ্যে লটারির উপর, তা সেটা রাজ্য সরকার পরিচালিতই হোক বা বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত, ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি বসবে, রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে জানান। বেশিরভাগ আলোচনাই হয়েছে রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে, অমিতবাবু জানান। এই আলোচনায় বিভিন্ন র‍াজ্য তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য ও বকেয়ার হিসাব তুলে ধরে। পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত সিং বাদল বলেন, ‘ওই ক্ষতিপূরণের অর্থ যেটা কেন্দ্রীয় সরকার এখনও রাজ্যগুলিকে দেয়নি সেই অর্থ কবে, কী ভাবে আমরা পাব তা নিয়ে আমরা সরকারের প্রতিশ্রুতি চেয়েছি।’ কিন্তু, অমিতবাবুর মতে, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের পর রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মতো যথেষ্ট তহবিল কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে না।’

কেরলের অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক বলেন, ‘কেন্দ্রের কাছে জিএসটি কম্পেনশেসন ফান্ডে অর্থ থাকলেও রাজ্যগুলিকে সময়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও অক্টোবর-ডিসেম্বরের ক্ষতিপূরণের অর্থ সময়ে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে কোনও আশ্বাস দিচ্ছেন না।’ জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় রাজ্যগুলির আর্থিক পরিস্থিতিও ক্রমে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে বকেয়া বার্ষিক জিএসটি রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমাও এ দিন বাড়িয়ে আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি করা হয়েছে। ২০১৭ সালে জিএসটি শুরু হওয়ার পর থেকে যে সমস্ত ব্যবসায়ী মাসিক রিটার্ন জমা দেননি তাঁদের জন্য ‘লেট ফি’ও মকুব করা হয়েছে। তবে, ওই রিটার্ন আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে।

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল