এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা-পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবারই ₹১.৭ লাখের আর্থিক প্যাকেজ (Financial Package) ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। আর তার পরের দিনই বড় ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। শুক্রবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে RBI গভর্নরের ঘোষণা, 'আর্থিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রিভার্স রেপো রেট (Reverse Repo Rate) ৯০ বেসিস পয়েন্ট বা .৯০% কমানো হল। রেপো রেট (Repo Rate) কমানো হল ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বা .৭৫%।' এর ফলে রেপো রেট কমে হল ৪% এবং রিভার্স রেপো রেট ৪.৪%। পাশাপাশি ব্যাংক-সহ দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তিন মাসের মোরেটরিয়াম ঘোষণার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। অর্থাৎ, এর ফলে সব ব্যাংকের সব ধরনের ঋণের তিন মাসের মাসিক কিস্তি বা EMI মকুবের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যা হলে উপকৃত হবেন লক্ষাধিক ভারতীয় নাগরিক।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাজার? ১১০০ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স, ঊর্ধ্বমুখী নিফটিও
'গ্রামীণ ব্যাংক, ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ-সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, ব্যাংক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলি (NBFC)-কে তাদের সব ধরনের ঋণের উপর আগামী তিন মাসের মোরেটরিয়াম দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে RBI।' সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন RBI-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলিই। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, শীর্ষ ব্যাংকের অনুমতির পর পিছিয়ে আসা কঠিন ব্যাংকগুলির। অর্থাৎ, আমজনতার EMI-মকুবের সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এছাড়াও শীর্ষ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, 'করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অর্থনীতি থমকে গেছে। এ এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। দেশের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শেয়ার বাজারেও ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা আসছে।'
Coronavirus সম্পর্কিত সব খবর বাংলায় পড়তে CLICK করুন
প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ বৈঠকে বসার কথা ছিল রিজার্ভ ব্যাংকের আর্থিক নীতি কমিটির। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সেই বৈঠক এগিয়ে এনে ২৫ থেকে ২৭ মার্চ করা হয়েছে। এই বৈঠকেই রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট এবং মোরেটরিয়াম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস।
ব্যাংকের ঋণ নিয়ে থাকলে আপনার এক্ষেত্রে কী করা প্রয়োজন?
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত আপনার ব্যাংকের মোরেটরিয়াম নীতি বা 'EMI হলিডে (Holiday)' খতিয়ে দেখুন। এর কারণ, মোরেটরিয়ামের সময় ঋণদাতারা সাধারণত সুদের হার কমিয়ে দেন। তবে এই সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নীতি জেনে রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাজার? ১১০০ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স, ঊর্ধ্বমুখী নিফটিও
'গ্রামীণ ব্যাংক, ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ-সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, ব্যাংক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলি (NBFC)-কে তাদের সব ধরনের ঋণের উপর আগামী তিন মাসের মোরেটরিয়াম দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছে RBI।' সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন RBI-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলিই। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, শীর্ষ ব্যাংকের অনুমতির পর পিছিয়ে আসা কঠিন ব্যাংকগুলির। অর্থাৎ, আমজনতার EMI-মকুবের সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এছাড়াও শীর্ষ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, 'করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অর্থনীতি থমকে গেছে। এ এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। দেশের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শেয়ার বাজারেও ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা আসছে।'
Coronavirus সম্পর্কিত সব খবর বাংলায় পড়তে CLICK করুন
প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ বৈঠকে বসার কথা ছিল রিজার্ভ ব্যাংকের আর্থিক নীতি কমিটির। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সেই বৈঠক এগিয়ে এনে ২৫ থেকে ২৭ মার্চ করা হয়েছে। এই বৈঠকেই রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট এবং মোরেটরিয়াম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস।
ব্যাংকের ঋণ নিয়ে থাকলে আপনার এক্ষেত্রে কী করা প্রয়োজন?
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত আপনার ব্যাংকের মোরেটরিয়াম নীতি বা 'EMI হলিডে (Holiday)' খতিয়ে দেখুন। এর কারণ, মোরেটরিয়ামের সময় ঋণদাতারা সাধারণত সুদের হার কমিয়ে দেন। তবে এই সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নীতি জেনে রাখা জরুরি।