এই সময়: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের যে পরিকল্পনা কেন্দ্র নিয়েছে তার বিরোধিতা করে শুক্রবার দেশের সমস্ত রাজ্যের রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ব্যাঙ্ক কর্মী ও আধিকারিকদের সংগঠনগুলি। দাবি না মানা হলে মার্চে সংসদ অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এ দিন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ' অ্যাসোসিয়েশনের (এআইবিইএ) তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পেশের সময় দু'টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এআইবিইএ জানিয়েছে, এআইবিওসি, এআইবিইএ, এনসিবিই, এআইবিওএ, বিইএফআই, আইএনবিইএফ, আইএনবিওসি, এনওবিডব্লুউ এবং এনওবিও সমেত কর্মী এবং আধিকারিকদের ন'টি সংগঠনের প্রায় ১০ লক্ষ কর্মী ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনয়নস-এর ছাতার তলায় ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের সরকারি প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে।
শুক্রবারের ধর্ণার পর আগামী ১৫ দিন গোটা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। আগামী ১০ মার্চ সংসদের সামনে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন এক প্রতিবাদ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর, ব্যাঙ্কগুলির ১০ লক্ষ কর্মী এবং আধিকারিকরা আগামী ১৫ মার্চ থেকে টানা দু'দিনের ধর্মঘট পালন করবে। এআইবিইএ-র বিবৃতি অনুযায়ী, কেন্দ্র যদি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ নিয়ে আর অগ্রসর হয়, তা হলে বিক্ষোভ কর্মসূচি জোরদার করা হবে। এমনকি প্রলম্বিত ধর্মঘট বা অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটের পথেও যাওয়া হবে। কেন্দ্রকে আমরা তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।
কর্মী সংগঠনগুলির মতে, স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য একটিও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এগিয়ে আসেনি। আর সে কারণেই ১৯৬৯ সালে প্রধান বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির জাতীয়করণ করার প্রয়োজন হয়। তখন থেকে ব্যাঙ্কগুলি দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ১৯৬৯ সালে গোটা দেশে ব্যাঙ্কের ৮,০০০ শাখা থেকে সংখ্যাটা বেড়ে এখন প্রায় ১ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে আবার অনেক শাখা দেশের গ্রামাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকায় রয়েছে। এআইবিইএ-র দাবি, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি সম্মিলিত ভাবে মোট ১৪,৫৭,০০০ কোটি টাকার মুনাফা করেছে।
এআইবিইএ-র সাধারণ সম্পাদক সি এইচ ভেঙ্কটচলমের কথায়, 'ব্যাঙ্কগুলির একমাত্র সমস্যা হচ্ছে অনাদায়ী ঋণ। এর অধিকাংশই ধনী শিল্পপতি এবং শিল্পসংস্থাগুলির কাছে বকেয়া রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে কেন্দ্র ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করে সেগুলি তাদেরই হাতে তুলে দিতে চাইছে।' দেশের বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির বর্তমান অবস্থা বোঝাতে ব্যাঙ্ক কর্মী ও আধিকারিকদের সংগঠনগুলি জানায়, অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাঙ্কই মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত বছর ইয়েস ব্যাঙ্কে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। আর সম্প্রতি লক্ষ্মীবিলাস ব্যাঙ্ককে একটি বিদেশি ব্যাঙ্ক কিনে নিয়েছে।
এআইবিইএ-র কথায়, 'আমরা আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে সমস্যা দেখেছি। কাজেই কেউ বলতে পারবে না বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় দক্ষ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিই সাধারণ মানুষ, দরিদ্র ব্যক্তি, কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ দিয়ে থাকে। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি কেবলমাত্র বড় শিল্পসংস্থাগুলির পাশে দাঁড়ায়।' সব থেকে বড় কথা হল, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি স্বল্পবয়সী বেকার যুবকদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে অধিকাংশ চাকরিই চুক্তির ভিত্তিতে। ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করা হলে তফশিলী জাতি ও উপজাতির ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ থাকবে না।
শুক্রবারের ধর্ণার পর আগামী ১৫ দিন গোটা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। আগামী ১০ মার্চ সংসদের সামনে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন এক প্রতিবাদ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর, ব্যাঙ্কগুলির ১০ লক্ষ কর্মী এবং আধিকারিকরা আগামী ১৫ মার্চ থেকে টানা দু'দিনের ধর্মঘট পালন করবে। এআইবিইএ-র বিবৃতি অনুযায়ী, কেন্দ্র যদি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ নিয়ে আর অগ্রসর হয়, তা হলে বিক্ষোভ কর্মসূচি জোরদার করা হবে। এমনকি প্রলম্বিত ধর্মঘট বা অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটের পথেও যাওয়া হবে। কেন্দ্রকে আমরা তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।
কর্মী সংগঠনগুলির মতে, স্বাধীনতার পর দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য একটিও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এগিয়ে আসেনি। আর সে কারণেই ১৯৬৯ সালে প্রধান বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির জাতীয়করণ করার প্রয়োজন হয়। তখন থেকে ব্যাঙ্কগুলি দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ১৯৬৯ সালে গোটা দেশে ব্যাঙ্কের ৮,০০০ শাখা থেকে সংখ্যাটা বেড়ে এখন প্রায় ১ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে আবার অনেক শাখা দেশের গ্রামাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকায় রয়েছে। এআইবিইএ-র দাবি, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি সম্মিলিত ভাবে মোট ১৪,৫৭,০০০ কোটি টাকার মুনাফা করেছে।
এআইবিইএ-র সাধারণ সম্পাদক সি এইচ ভেঙ্কটচলমের কথায়, 'ব্যাঙ্কগুলির একমাত্র সমস্যা হচ্ছে অনাদায়ী ঋণ। এর অধিকাংশই ধনী শিল্পপতি এবং শিল্পসংস্থাগুলির কাছে বকেয়া রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে কেন্দ্র ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করে সেগুলি তাদেরই হাতে তুলে দিতে চাইছে।' দেশের বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির বর্তমান অবস্থা বোঝাতে ব্যাঙ্ক কর্মী ও আধিকারিকদের সংগঠনগুলি জানায়, অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাঙ্কই মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত বছর ইয়েস ব্যাঙ্কে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। আর সম্প্রতি লক্ষ্মীবিলাস ব্যাঙ্ককে একটি বিদেশি ব্যাঙ্ক কিনে নিয়েছে।
এআইবিইএ-র কথায়, 'আমরা আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে সমস্যা দেখেছি। কাজেই কেউ বলতে পারবে না বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় দক্ষ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিই সাধারণ মানুষ, দরিদ্র ব্যক্তি, কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ দিয়ে থাকে। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি কেবলমাত্র বড় শিল্পসংস্থাগুলির পাশে দাঁড়ায়।' সব থেকে বড় কথা হল, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি স্বল্পবয়সী বেকার যুবকদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে অধিকাংশ চাকরিই চুক্তির ভিত্তিতে। ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করা হলে তফশিলী জাতি ও উপজাতির ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ থাকবে না।