গাড়ি বাড়তেই শহরে ফিরল দুর্ঘটনা, মৃত ২
\Bগাড়ি বাড়তেই শহরে ফিরল দুর্ঘটনা, মৃত ২এই সময়:\B লকডাউনের শহরে কিছু কিছু পরিষেবায় তৃতীয় দফা থেকেই ছাড় দিয়েছে প্রশাসন। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ...
\Bগাড়ি বাড়তেই শহরে
ফিরল দুর্ঘটনা, মৃত ২
এই সময়:\B লকডাউনের শহরে কিছু কিছু পরিষেবায় তৃতীয় দফা থেকেই ছাড় দিয়েছে প্রশাসন। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। আবার উম্পুনের আতঙ্কে অনেকে জরুরি জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্যও বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। সব মিলিয়ে শহর একটু সচল হতেই ফিরতে শুরু করল পথ-দুর্ঘটনার বিভীষিকা। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত শহরের তিন প্রান্তে পৃথক তিন দুর্ঘটনায় এক কিশোরী-সহ দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত পাঁচ জন।
এর মধ্যে সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ সাউথ পোর্ট থানা এলাকার দুমায়ুন অ্যাভিনিউ ও সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডের মোড়ে। একটি মালবাহী গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১৩ বছরের এক কিশোরীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সোনালি খাতুন। বাড়ি আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। একটি বাইকে সে যাচ্ছিল। বাইক চালাচ্ছিলেন কার্ল মার্কস সরণির মহম্মদ সরিফ। বাইকে আরও এক জনও ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই কিশোরী তার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিল। তাকে ও আর এক জনকে নিয়ে বাইকে যাচ্ছিলেন সরিফ। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, দুমায়ুন অ্যাভিনিউ ও সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডের মোড়ে তাঁদের পিছন থেকে কেউ ডাকছিল। সেটা শুনে চালক ব্রেক কষেন। তাতে বাইকের চাকা স্কিড করে। ছিটকে পড়ে সোনালি। সে সময় একটি মালবাহী গাড়ি সোনালিকে পিষে দেয়। বাইকের চালক বা আরোহীদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের দাবি।
এর আগে সোমবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ওয়েস্ট পোর্ট থানা এলাকার সোনাপুর রোডে একটি গাড়ি শেখ আব্বাস (২৬) নামে এক বাইক-চালককে ধাক্কা মেরে চম্পট দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ইব্রাহিম রোডের বাসিন্দা আব্বাসের মাথায় হেলমেট থাকলেও গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত লেগেছিল। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ আবার চেতলার গোবিন্দ আড্ডি রোডে একটি মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে গাছে ধাক্কা মারে। তাতে ফলতা ও নোদাখালির বাসিন্দা ওই মালবাহী গাড়ির চার আরোহী জখম হন।