অ্যাপশহর

কৃষি সংস্কারে ৩ বিল আনল কেন্দ্র, প্রতিবাদে উত্তাল সংসদ

বিরোধী দল এবং কৃষকদের প্রবল বিরোধিতার মধ্যে সোমবার সংসদে কৃষি সংস্কারে তিনটি বিল পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে একটি বিলে নির্দিষ্ট কিছু কৃষি পণ্য মজুত রাখার ঊর্ধসীমা তুলে দেওয়া দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের কৃষকদের স্বার্থে এই পদক্ষেপ বলে দাবি সরকারের।

Ei Samay 15 Sep 2020, 1:37 am
এই সময়: ভারতীয় অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব কমাতে লকডাউনের মাঝেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন তার বেশিরভাগটাই ছিল সংস্কার-কেন্দ্রিক পদক্ষেপ।
EiSamay.Com agriculture 1
প্রতীকী ছবি


দেশের কৃষি ক্ষেত্রে সেই সংস্কার-কেন্দ্রিক পদক্ষেপগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গত ৫ জুন কেন্দ্রীয় সরকার কতগুলি অধ্যাদেশ জারি করে। সেই অধ্যাদেশগুলিকে পাকাপাকিভাবে আইনি মান্যতা দিতে সোমবার লোকসভায় কৃষি-সংক্রান্ত তিনটি বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষি কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।

ওই তিনটি বিলের মধ্যে একটি বিলের লক্ষ্য, দেশের বর্তমান অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে নির্দিষ্ট কিছু কৃষি পণ্য মজুত রাখার ঊর্ধসীমা তুলে দেওয়া।

আর একটি বিলের লক্ষ্য, রাজ্যগুলিতে বর্তমানে কৃষিপণ্য বিপণন নিয়ে যে এপিএমসি আইন আছে তা দূর করে আন্তঃরাজ্য কৃষি পণ্যের বাণিজ্য অবাধ করা এবং তৃতীয় বিলটির উদ্দেশ্য, রাজ্যগুলিতে চুক্তি-ভিত্তিক চাষ ব্যবস্থা আইনসিদ্ধ করা।


আরও পড়ুন: অগস্টে দেশে কমল খুচরো মূল্যবৃদ্ধি, তবুও স্বস্তিতে নেই মোদী সরকার!

সংসদে উপস্থিত বিরোধী সদস্যরা একে রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ বলে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ওই তিন প্রস্তাবিত আইনের তীব্র বিরোধীতা করেন।

লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'সংবিধান অনুযায়ী, কৃষিক্ষেত্র শুধুমাত্র রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে।অথচ, রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও শলা-পরামর্শ না করেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে চাইছে।'

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌগত রায়ও একই সুরে কেন্দ্রের সমালোচনা করে বিলগুলির বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, 'এই আইন বাস্তবায়িত হলে, দেশের কৃষিক্ষেত্র পুঁজিবাদীদের হাতে চলে যাবে।'

তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তোমর বিরোধী সদস্যদের বিলগুলির প্রস্তাবনা ভালো করে পড়ে দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই আইন বলবৎ হলে কৃষিতে বিনিয়োগ আসবে, কৃষকদের আয় বাড়বে। তিনি বলেন, 'সরকারের তরফে আমি সংসদকে আশ্বাস দিচ্ছি, কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ব্যবস্থা এখনও যেমন আছে পরেও তেমনই থাকবে। এ নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। জমির মালিকানাও কৃষকেরই থাকবে। কৃষি চুক্তি যা কিছু হবে সেটা উৎপাদিত পণ্যের বিক্রি নিয়ে, জমি নিয়ে নয়।' নয়া বিল অনুযায়ী, কৃষকরা তাদের মান্ডির বাইরে কাউকে পণ্য বিক্রি করতে হলে এই চুক্তি করবে এবং সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ওই কেনাবেচার উপর কোনও কর বসাতে পারবে না।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।

পরের খবর

Businessসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল