Raghuram Rajan: চলছে কাউন্টডাউন। 31 তারিখ শুরু বাজেট সেশন। ফেব্রুয়ারির 1 তারিখ সংসদে পেশ করা হবে বাজেট। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। এই অবস্থায় শেষ মুহূর্তের শলা-পরামর্শ চলছে। অনেকেই কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করছেন। এই অবস্থায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন ( Raghuram Rajan) ভারতের অর্থনীতি নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভারতের অর্থনীতির কিছু সমস্যা তিনি তুলে ধরেছেন। সেই সমস্যা নিয়ে চলতি বাজেটে কিছু পদক্ষেপ না নিতে পারলে-- অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পথ জটিল হবে বলেই তাঁর অভিমত। ঠিক কী ধরণের সমস্যার কথা বলেছেন তিনি? রাজনের মতে একদিকে যেমন ভারতের অর্থনীতির কিছু অত্যন্ত উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় দিক রয়েছে-- তেমনই অন্যদিকে কিছুটা কালো দাগ আছে। যে কালো দাগ না মুছতে পারলে-- অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।
ঠিক কী ধরনের কালো দাগ? রাজন জানাচ্ছেন-- কোভিড অতিমারি পরবর্তীকালে ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও-- সেই ঘুরে দাঁড়ানো আসলে "K" আকৃতির। অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই K আকৃতির গ্রোথ বা বৃদ্ধি মোটেই ভালো লক্ষন নয়৷
অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যদি K আকৃতির হয়-- তবে তা ঠিক কী বুঝিয়ে থাকে? কোনও দেশের বৃদ্ধি যদি K এর দিকে ঘুরে যায়-- তবে বুঝতে হয়-- সেই দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কেবল একটি অংশের মধ্যে থেমে রয়েছে। অর্থাৎ K শেপড রিকভারি কেবলমাত্র বড় পুঁজি এবং টেকনোলজিকে পুষ্ট করে। বৃদ্ধি এবং ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে ছোট ব্যবসা- ছোট পুঁজি প্রভৃতি। রাজন এই বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও জানিয়েছেন-- মধ্যবিত্তের অবস্থা, ছোট পুঁজির অবস্থা-- এবং অতিমারি পরবর্তীতে শিশুদের অবস্থা-- তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। যে ভাবে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে, নাগরিকদের হাতে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে-তা যথেষ্ট চিন্তার উদ্রেক ঘটায়। আবার পাশাপাশি, অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় পুঁজির বৃদ্ধি, IT সেক্টরের প্রবল ফুলে-ফেঁপে ওঠা-- এগুলো অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভালো দিক।
স্পষ্টতই তাঁর ইঙ্গিত, সরকার যেন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, ছোট পুঁজির উন্নতির বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। এখন প্রশ্ন সরকার ঠিক কী পদক্ষেপ নেয়। এর আগে, আরেক বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুও ( Kaushik Basu) অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রকে কিছু প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছিলেন। এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর। সরকার কি শুনছেন?
ঠিক কী ধরনের কালো দাগ? রাজন জানাচ্ছেন-- কোভিড অতিমারি পরবর্তীকালে ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও-- সেই ঘুরে দাঁড়ানো আসলে "K" আকৃতির। অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই K আকৃতির গ্রোথ বা বৃদ্ধি মোটেই ভালো লক্ষন নয়৷
অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যদি K আকৃতির হয়-- তবে তা ঠিক কী বুঝিয়ে থাকে? কোনও দেশের বৃদ্ধি যদি K এর দিকে ঘুরে যায়-- তবে বুঝতে হয়-- সেই দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কেবল একটি অংশের মধ্যে থেমে রয়েছে। অর্থাৎ K শেপড রিকভারি কেবলমাত্র বড় পুঁজি এবং টেকনোলজিকে পুষ্ট করে। বৃদ্ধি এবং ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে ছোট ব্যবসা- ছোট পুঁজি প্রভৃতি। রাজন এই বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও জানিয়েছেন-- মধ্যবিত্তের অবস্থা, ছোট পুঁজির অবস্থা-- এবং অতিমারি পরবর্তীতে শিশুদের অবস্থা-- তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। যে ভাবে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে, নাগরিকদের হাতে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে-তা যথেষ্ট চিন্তার উদ্রেক ঘটায়। আবার পাশাপাশি, অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় পুঁজির বৃদ্ধি, IT সেক্টরের প্রবল ফুলে-ফেঁপে ওঠা-- এগুলো অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভালো দিক।
স্পষ্টতই তাঁর ইঙ্গিত, সরকার যেন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, ছোট পুঁজির উন্নতির বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। এখন প্রশ্ন সরকার ঠিক কী পদক্ষেপ নেয়। এর আগে, আরেক বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুও ( Kaushik Basu) অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রকে কিছু প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছিলেন। এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর। সরকার কি শুনছেন?