Budget FAQ: যে কোনও সরকারের কাছে ঘাটতি বিনিয়োগ আসলে একটি নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক পদ্ধতি। কোনও সরকার যখন বাজেট পেশ করে-- তখন তার আগের অর্থবর্ষে সেই সরকারের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বিশেষভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেই অর্থনৈতিক কার্যকলাপ আলোচনার জন্য অন্যতম বড় একটি বিষয় হল ঘাটতি সংক্রান্ত আলোচনা। যে কোনও সফল সরকারই নিজের দেশের অর্থনৈতিক ঘাটতির ভালোভাবে মোকাবিলা করে থাকে। সরকারের সারা বছরের রিপোর্টকার্ডে, আরও একটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া হয়ে থাকে। তা হল সরকারের খরচ৷ সরকার কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করছে-- সেই বিনিয়োগ কতদূর সফল-- তা নিয়ে বিরোধী এবং দেশের অর্থনীতিবিদরা বিশ্লেষণ করে থাকেন। কিন্তু সরকারের ঘাটতি বিনিয়োগ আসলে কী? ঠিক কী ভাবে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এই ঘাটতি বিনিয়োগ? আসুন দেখে নিই…
- ঘাটতি বিনিয়োগ আসলে কী?
সহজ ভাষায় ঘাটতি বিনিয়োগ ( Deficit Financing) আসলে সরকারের অর্থনৈতিক একটি প্র্যাকটিসের দিকে ইঙ্গিত করে থেকে। যে কোনও দেশের সরকারের রোজগার হয় জনসাধারণের ট্যাক্সের উপর। কিন্তু সরকার যে টাকা ট্যাক্স পায়-- যদি তার থেকে বেশি টাকা সে খরচ করে থাকে, তাহলে বলা যেতে পারে যে সে ঘাটতি বিনিয়োগের পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি কোনও সরকার 12 মিলিয়ন ট্যাক্স আদায় করে থাকে এবং তার খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় 14 মিলিয়ন-- তবে বলা যায় যে সে ঘাটতি বিনিয়োগের পদ্ধতি অনুশীলন করছে।
- ঘাটতি বিনিয়োগের ফলে কী কী হতে পারে?
ঘাটতি বিনিয়োগের পরিমাণ খুব বেশি হলে তা যে কোনও দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। তার কারণ, এই দেশের সরকারের আয়ে একটা বড় গ্যাপ তৈরি হয়। সেই গ্যাপের জন্য নাগরিকদের জন্য যে জণকল্যানকারী কাজ তাতে প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া সরকার নতুন কারেন্সি নোট আনলে তার ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি তৈরি হতে পারে। তার ফলে গোটা দেশে জিনিসপত্রের দাম বিপুল বেড়ে যেতে পারে। - বিনিয়োগে কী প্রভাব পড়তে পারে?
দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে নাগরিকেরা অতিরিক্ত বেতন দাবি করে থাকে। যদি সরকার সেই দাবি মেনে নেয়-- তবে গোটা দেশজুড়ে উৎপাদনের মূল্য বিপুল বেড়ে যাতে পারে। এছাড়া সরকারের তরফ থেকে জনকল্যানকারী কাজে বিনিয়োগের পরিমাণও কমে যেতে পারে। - সরকারের ঋণ বাড়ে কি?
হ্যাঁ। ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার ঋণ নিয়ে থাকে। যার ফলে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।