বাংলাদেশে ন’বছর আগে ‘খুন’ হওয়া ব্যক্তি এখন স্ত্রী-পুত্র নিয়ে সুখে সংসার করছে
এমন তো গল্পে হয় কিংবা, সিনেমায়... বাস্তবে এমনই কাণ্ড ঘটেছে বরিশালে। ৯ বছর আগের মৃত ব্যক্তি চুটিয়ে করছেন সংসার...
Lipi 26 Sep 2021, 8:16 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : গল্প হলেও সত্যি। নবছর আগে যাকে খুন করা হয়েছিল, সেই ব্যক্তিই এখন স্ত্রী-পুত্র নিয়ে সুখে সংসার করছে। তবে, যাকে ‘খুন’ করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তিনি আর লুকিয়ে থাকতে পারলেন না। ধরা পড়ে গেলেন পুলিশের কাছে।
২০১২ সালে বাংলাদেশের বরিশাল এলাকাতে ‘হত্যা’ করা হয়েছিল রাসেল মৃধাকে। সেই রাসেলকেই এবার পুলিশ ধরল ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে। সোমবার তাকে ধরার পরে আদালতেও তোলা হয়। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, রাসেল মৃধার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাসেলের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে। ২০১২ সালের মে মাসে গৌরনদী মডেল থানায় রাসেলের মা ফাহিমা বেগম অভিযোগ জানান , তাঁর ১৪ বছরের ছেলে রাসেল মৃধাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গায়েব করা হয়েছে। তার অভিযোগ ছিল গৌরনদী গ্রামের এস রহমান মৃধা, আরমান মৃধা, রায়হান , শাহীন মল্লিক , হক ভূঁইয়া, মবিন ভূঁইয়া সহ ১৩জনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ১৩ জনের নামে আদালতে চার্জশিট জমাও দেওয়া হয়।
ওই খুনের অভিযোগে মবিন সহ চারজনকে গ্রেফতার করাও হয়। এখন তারা জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। ৯ জন এখনও ‘পলাতক। এবার রাসেলকে পুলিশ ধরার পরে মবিন বলেন, ‘অপহরণ করার পর রাসেলকে খুন করে তার মৃতদেহ গায়েব করার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল আমাদের বিরুদ্ধে, এটা তো প্রমাণ হয়ে গেল। অথচ এই মিথ্যা মামলায় আমাদের চারজনকে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছে। বাকি নজন তাদের পরিবারের লোকদের নিয়ে পালিয়ে গিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। আমাদের হয়রানি করার জন্যই এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। এই মামলায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। মামলার তদন্তকারী অফিসার সঠিক তদন্ত না করে আমাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় রাসেলের পরিবার এবং ওই মামলার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, রাসেল গৌরনদী থেকে পালিয়ে ঢাকার। যাত্রাবাড়ীতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ছিলেন। এই খবর পাওয়ার সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে ধরা হয়।
রাসেল জানান যে, তার মা তাকে মামলার কথা জানিয়ে পালিয়ে থাকতে বলে। বিয়ে করে স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে তাই আত্মগোপন করে ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশের বরিশাল এলাকাতে ‘হত্যা’ করা হয়েছিল রাসেল মৃধাকে। সেই রাসেলকেই এবার পুলিশ ধরল ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে। সোমবার তাকে ধরার পরে আদালতেও তোলা হয়। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, রাসেল মৃধার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাসেলের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে। ২০১২ সালের মে মাসে গৌরনদী মডেল থানায় রাসেলের মা ফাহিমা বেগম অভিযোগ জানান , তাঁর ১৪ বছরের ছেলে রাসেল মৃধাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গায়েব করা হয়েছে। তার অভিযোগ ছিল গৌরনদী গ্রামের এস রহমান মৃধা, আরমান মৃধা, রায়হান , শাহীন মল্লিক , হক ভূঁইয়া, মবিন ভূঁইয়া সহ ১৩জনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ১৩ জনের নামে আদালতে চার্জশিট জমাও দেওয়া হয়।
ওই খুনের অভিযোগে মবিন সহ চারজনকে গ্রেফতার করাও হয়। এখন তারা জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। ৯ জন এখনও ‘পলাতক। এবার রাসেলকে পুলিশ ধরার পরে মবিন বলেন, ‘অপহরণ করার পর রাসেলকে খুন করে তার মৃতদেহ গায়েব করার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল আমাদের বিরুদ্ধে, এটা তো প্রমাণ হয়ে গেল। অথচ এই মিথ্যা মামলায় আমাদের চারজনকে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছে। বাকি নজন তাদের পরিবারের লোকদের নিয়ে পালিয়ে গিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। আমাদের হয়রানি করার জন্যই এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। এই মামলায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। মামলার তদন্তকারী অফিসার সঠিক তদন্ত না করে আমাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় রাসেলের পরিবার এবং ওই মামলার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, রাসেল গৌরনদী থেকে পালিয়ে ঢাকার। যাত্রাবাড়ীতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ছিলেন। এই খবর পাওয়ার সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে ধরা হয়।
রাসেল জানান যে, তার মা তাকে মামলার কথা জানিয়ে পালিয়ে থাকতে বলে। বিয়ে করে স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে তাই আত্মগোপন করে ছিলেন।