Bangladesh Trending News : সত্যিকারের রাজ-সিমরণ! বাঙালি এই 'লাভ বার্ডস'-এর প্রেমের কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও
সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা দিয়েছে ট্রেনে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে এক যুবক। তাকে ধরার জন্য ছুটছেন এক মহিলা। এই ছবি মনে করিয়ে দিয়েছে 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' (Dilwale Dulhania Le Jayenge) সিনেমার দৃশ্যকে। বাস্তব এবং সিনেমার মধ্যে কিছু মিল আছে। বাংলাদেশের এই যুগলের প্রেমের কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও।
হাইলাইটস
- ট্রেনে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে এক যুবক, তাকে ধরার জন্য ছুটছেন এক মহিলা।
- এই ছবি মনে করিয়ে দিয়েছে 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' সিনেমার দৃশ্যকে।
- বাংলাদেশের এই যুগলের প্রেমের কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও।
Dilwale Dulhania Le Jayenge মনে আছে 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' (DDLG) সিনেমার শেষ দৃশ্য! যেখানে স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। দরজার দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে রাজরূপী শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। তাঁর হাত ধরার জন্য চলন্ত ট্রেনের পাশেই ছুটছেন সিমরনরূপী কাজল। আর অমরীশ পুরী বলছেন 'যা সিমরন যা, জিলে আপনি জিন্দেগি।'
সিনেমার সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারেননি কেউ। আর সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা দিয়েছে ট্রেনে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে এক যুবক। তাকে ধরার জন্য ছুটছেন এক মহিলা। এই ছবি মনে করিয়ে দিয়েছে 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' সিনেমার দৃশ্যকে। বাস্তব এবং সিনেমার মধ্যে কিছু মিল আছে। সেই মিল ট্রেনকে ঘিরেই। সিনেমায় রাজ এবং সিমরনের প্রেম শুরু হয় ট্রেনে। শেষ হয় ট্রেন দিয়েই। আবার বলিউডের সিনেমা 'যব উই মেট' এবং 'চেন্নাই এক্সপ্রেস'-এও প্রেম এসেছে ট্রেন সফরেই। আবার, বাংলাদেশের এই যুগলের প্রেমের অনেকটা জুড়ে আছে ট্রেন।
বাংলাদেশের এই 'গল্পে' নায়ক আমির হামজা এবং নায়িকা ফাতেমা তুজ জোহরা। জানা গিয়েছে, আমিরের বাড়ি সিলেটে এবং ফাতেমার বাড়ি ঢাকায়। ২০১৮ সালে ফেসবুকে দুজনের পরিচয় হয়। ফাতেমা তারপরে জানতে পারেন, আত্মহত্যা করবেন বলে ঠিক করেছেন আমির। কিছুটা অবাক হন ফাতেমা। তিনি একাধিক সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আগে নানা সমস্যার সমাধান করতে হয়েছে তাঁকে। তাই তিনি ঠিক করেন, আমির কেন এমন করতে চাইছেন তা জানতে হবে তাঁকে। ফাতেমা জানান, তিনি জানতে পারেন যে আমিরের সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। পরে মেয়েটি তাঁর কাছে থেকে সরে যায়। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আমির।
শোনার পরে ফাতেমা ঠিক করেন, আমিরকে বোঝাতে হবে আত্মহত্যা সব কিছুর সমাধান নয়। বাংলাদেশের 'প্রথম আলো' কে ফাতেমা বলেন, "আমির আমার ওপর ভরসা করতে শুরু করে। এই করেই প্রেম হয়। আমির আমাকে জানায় যে সে আমাকে বিয়ে করতে চান।" ফাতেমা ঢাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন, কাজের সূত্রে তাঁকে যেতে হয় সিলেট। সেখানের সামসেরনগরে মামা বাড়িতে থাকতেন তিনি। কাজের পরে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরতেন। সেই সময়ে তাঁকে সঙ্গ দিতেন আমির। তিনি জানান, স্টেশন হয়ে ওঠে তাঁদের প্রেমের জায়গা। ট্রেন এলে আমির আগে উঠে হাত ধরে টেনে দিতেন ফাতেমাকে। ট্রেন ছাড়ার আগে নেমে যেতেন।
কিন্তু তাঁদের বিয়ের কথা প্রথমে মানতে চাননি আমিরের বাড়ির লোক। তাই ২০২০ সালে গোপনে বিয়ে করেন তারা। পরে অবশ্য তাঁদের বিয়ে মেনে নেয় দুই পরিবার। সেইজন্য 'প্রি ওয়েডিং ফটো শুট' করা হয়। যেভাবে তাঁরা ট্রেনে উঠতেন সেই ভাবেই। এবার তা করা হয় বিয়ের বেশে। সেটাই এখন ভাইরাল।
সিনেমার সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারেননি কেউ। আর সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা দিয়েছে ট্রেনে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে এক যুবক। তাকে ধরার জন্য ছুটছেন এক মহিলা। এই ছবি মনে করিয়ে দিয়েছে 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' সিনেমার দৃশ্যকে। বাস্তব এবং সিনেমার মধ্যে কিছু মিল আছে। সেই মিল ট্রেনকে ঘিরেই। সিনেমায় রাজ এবং সিমরনের প্রেম শুরু হয় ট্রেনে। শেষ হয় ট্রেন দিয়েই। আবার বলিউডের সিনেমা 'যব উই মেট' এবং 'চেন্নাই এক্সপ্রেস'-এও প্রেম এসেছে ট্রেন সফরেই। আবার, বাংলাদেশের এই যুগলের প্রেমের অনেকটা জুড়ে আছে ট্রেন।
বাংলাদেশের এই 'গল্পে' নায়ক আমির হামজা এবং নায়িকা ফাতেমা তুজ জোহরা। জানা গিয়েছে, আমিরের বাড়ি সিলেটে এবং ফাতেমার বাড়ি ঢাকায়। ২০১৮ সালে ফেসবুকে দুজনের পরিচয় হয়। ফাতেমা তারপরে জানতে পারেন, আত্মহত্যা করবেন বলে ঠিক করেছেন আমির। কিছুটা অবাক হন ফাতেমা। তিনি একাধিক সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আগে নানা সমস্যার সমাধান করতে হয়েছে তাঁকে। তাই তিনি ঠিক করেন, আমির কেন এমন করতে চাইছেন তা জানতে হবে তাঁকে। ফাতেমা জানান, তিনি জানতে পারেন যে আমিরের সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। পরে মেয়েটি তাঁর কাছে থেকে সরে যায়। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আমির।
শোনার পরে ফাতেমা ঠিক করেন, আমিরকে বোঝাতে হবে আত্মহত্যা সব কিছুর সমাধান নয়। বাংলাদেশের 'প্রথম আলো' কে ফাতেমা বলেন, "আমির আমার ওপর ভরসা করতে শুরু করে। এই করেই প্রেম হয়। আমির আমাকে জানায় যে সে আমাকে বিয়ে করতে চান।" ফাতেমা ঢাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন, কাজের সূত্রে তাঁকে যেতে হয় সিলেট। সেখানের সামসেরনগরে মামা বাড়িতে থাকতেন তিনি। কাজের পরে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরতেন। সেই সময়ে তাঁকে সঙ্গ দিতেন আমির। তিনি জানান, স্টেশন হয়ে ওঠে তাঁদের প্রেমের জায়গা। ট্রেন এলে আমির আগে উঠে হাত ধরে টেনে দিতেন ফাতেমাকে। ট্রেন ছাড়ার আগে নেমে যেতেন।
কিন্তু তাঁদের বিয়ের কথা প্রথমে মানতে চাননি আমিরের বাড়ির লোক। তাই ২০২০ সালে গোপনে বিয়ে করেন তারা। পরে অবশ্য তাঁদের বিয়ে মেনে নেয় দুই পরিবার। সেইজন্য 'প্রি ওয়েডিং ফটো শুট' করা হয়। যেভাবে তাঁরা ট্রেনে উঠতেন সেই ভাবেই। এবার তা করা হয় বিয়ের বেশে। সেটাই এখন ভাইরাল।