ভারত সরকারের বৃত্তি পেল ২১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৩৬ জন শিক্ষার্থীকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
EiSamay.Com 4 May 2018, 2:10 pm
হাইলাইটস
- ভারত সরকারের বৃত্তি পেল ২১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
- বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ভারত সরকার এই বৃত্তি চালু করে।
- উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে ২১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩০১ জনের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
- এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৩৬ জন শিক্ষার্থীকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
আমিনুল হক ভূইয়া, ঢাকা ভারত সরকারের বৃত্তি পেল ২১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ভারত সরকার এই বৃত্তি চালু করে। উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে ২১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩০১ জনের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, 'ভারত আমাদের চিরস্থায়ী বন্ধু। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কোনওভাবেই ছিন্ন করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সমর্থন না দিলে নয় মাস কেন, কত বছরে যুদ্ধ শেষ হত তা বলে বোঝানো যাবে না।'
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর নিহত সৈনিকদের স্মরণে আখাউড়ায় স্মৃতিস্তম্ভ করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, 'এই স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে আমরা আমাদের ভারতীয় যুদ্ধবন্ধুদের চিরদিন স্মরণ করবো।' তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে আমিও সফরসঙ্গী ছিলাম। সেখানে দেখেছি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর দিয়ে বলেছেন তাঁর এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চলতি মেয়াদেই তিস্তা চুক্তি হবে।'
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ধাত্রী মায়ের মতো। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় ভারত ধাত্রী মায়ের মতো ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভারতের সঙ্গে আমাদের সেই সম্পর্ক নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র চক্রান্ত করেছিল। তারা ভারতকে ঢাকার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসার পর সেই সেতুবন্ধন আবার রচিত হয়েছে। তবে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই।
মুক্তিযোদ্ধাদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ২০০৬ সালে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি চালু করে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর এ বৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৩৬ জন শিক্ষার্থীকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী পাঁচ বছরে মোট ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৫ কোটি টাকা। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। শ্রিংলা আরো বলেন, এবছর পুরনো বৃত্তি প্রকল্পের আওতায় স্নাতক পর্যায়ের ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। নতুন প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৬২১ জন (স্নাতক পর্যায়ের ১ হাজার জন ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৬২১ জন) শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর নিহত সৈনিকদের স্মরণে আখাউড়ায় স্মৃতিস্তম্ভ করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, 'এই স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে আমরা আমাদের ভারতীয় যুদ্ধবন্ধুদের চিরদিন স্মরণ করবো।' তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে আমিও সফরসঙ্গী ছিলাম। সেখানে দেখেছি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর দিয়ে বলেছেন তাঁর এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চলতি মেয়াদেই তিস্তা চুক্তি হবে।'
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ধাত্রী মায়ের মতো। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় ভারত ধাত্রী মায়ের মতো ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভারতের সঙ্গে আমাদের সেই সম্পর্ক নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র চক্রান্ত করেছিল। তারা ভারতকে ঢাকার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসার পর সেই সেতুবন্ধন আবার রচিত হয়েছে। তবে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই।
মুক্তিযোদ্ধাদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ২০০৬ সালে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি চালু করে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর এ বৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৩৬ জন শিক্ষার্থীকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী পাঁচ বছরে মোট ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৫ কোটি টাকা। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। শ্রিংলা আরো বলেন, এবছর পুরনো বৃত্তি প্রকল্পের আওতায় স্নাতক পর্যায়ের ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। নতুন প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৬২১ জন (স্নাতক পর্যায়ের ১ হাজার জন ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৬২১ জন) শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে।