এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকে তাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক গোলমালে রাজ্য পরিবর্তন হয় কারখানার। ধুমধাম করে বাজারে এলেও পরে বিক্রি কমে যায়। এবার ফের বিতর্ক টাটা ন্যানোকে নিয়ে। প্রশ্নের মুখে রতন টাটার স্বপ্নের ভারতীয় গাড়ি।
জুন মাসে ন্যানোর মাত্র একটি গাড়ি উৎপাদন করেছে টাটা মোটর্স। এরপরই এই প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠছে। তবে কি সত্যিই বন্ধের মুখ দেখবে টাটা ন্যানো? প্রসঙ্গত, গত বছর একই সময়ে ২৫টি টাটা ন্যানো গাড়ি বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। কিন্তু, এ বছর জুনে একটি গাড়িও কারখানার বাইরের আলো দেখেনি।
প্রসঙ্গত, নতুন দূষণ বিধি মেনে বর্তমানে রাস্তায় চলা গাড়িগুলিকে ২০২০ সালের মধ্যে 'ভারত স্টেজ ৪' মাপকাঠির উপযোগী হতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। পরের বছরই নতুন নিরাপত্তা বিধিও ঘোষণা করা হবে। কিন্তু, এই সব মেনে ন্যানোকে প্রস্তুত করতে টাটা মোটর্সের তরফে লগ্ন প্রয়োজন। সূত্রের খবর, সেই লগ্নির সবুজ সংকেত এখনও আসেনি।
ন্যানো প্রকল্পের ব্যর্থতা নিয়েই রতন টাটা ও সাইরাস মিস্ত্রির সমস্যার সূত্রপাত বলে কানাঘুষো বিভিন্ন মহলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একলাখি গাড়ি হলেও এর উৎপাদন খরচ বেশি ছিল। সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান থাকাকালীন ন্যানো নিয়ে টাটা গোষ্ঠীকে মেল করেছিলেন মিস্ত্রি। কিন্তু, রতন টাটার প্রকল্প হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত আবেগের কথা ভেবেই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কিন্তু, তাতেও বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না ন্যানোকে। কয়েক বছর ধরেই পড়তির দিকে ন্যানোর বিক্রি। ২০১৭-র জুনে যেখানে ২৭৫ ইউনিট গাড়ি উৎপাদন করা হয়েছিল, চলতি বছরে সেই সংখ্যা একে এসে দাঁড়িয়েছে।
পড়ুন: দিনে গড়ে মাত্র ২টো গাড়ি তৈরি কারখানায়! গুজরাটে ন্যানো-মৃত্যু!!
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টাটা মোটর্স-এর মুখপাত্র বলেন, '২০১৯-র পর ন্যানোকে টিকিয়ে রাখা যে মুশকিল, তা আমরা জানি। এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।' তবে সংস্থার মুখপাত্র আরও জানান, 'বাজারে ক্রেতা-চাহিদা মেটাতে তাঁরা ন্যানো তৈরি করবেন।' তবে কতদিন করবেন তা স্পষ্ট করতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কারণে এ রাজ্যের সিঙ্গুর থেকে গুজরাতে কারখানা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন রতন টাটা। ২০১৯ সালে একলাখি গাড়ি হিসেবে বাজারে ছাড়া হয় টাটা ন্যানোকে। কিন্তু, পরে গাড়ির দাম আর এক লাখে ধরে রাখতে পারেনি টাটা মোটর্স। এমনকী পরে খোদ রতন টাটাও ন্যানোর বিপণন ব্যর্থতা স্বীকার করেছিলেন।
খবরটি ইংলিশে পড়তে ক্লিক করুন
জুন মাসে ন্যানোর মাত্র একটি গাড়ি উৎপাদন করেছে টাটা মোটর্স। এরপরই এই প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠছে। তবে কি সত্যিই বন্ধের মুখ দেখবে টাটা ন্যানো? প্রসঙ্গত, গত বছর একই সময়ে ২৫টি টাটা ন্যানো গাড়ি বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। কিন্তু, এ বছর জুনে একটি গাড়িও কারখানার বাইরের আলো দেখেনি।
প্রসঙ্গত, নতুন দূষণ বিধি মেনে বর্তমানে রাস্তায় চলা গাড়িগুলিকে ২০২০ সালের মধ্যে 'ভারত স্টেজ ৪' মাপকাঠির উপযোগী হতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। পরের বছরই নতুন নিরাপত্তা বিধিও ঘোষণা করা হবে। কিন্তু, এই সব মেনে ন্যানোকে প্রস্তুত করতে টাটা মোটর্সের তরফে লগ্ন প্রয়োজন। সূত্রের খবর, সেই লগ্নির সবুজ সংকেত এখনও আসেনি।
ন্যানো প্রকল্পের ব্যর্থতা নিয়েই রতন টাটা ও সাইরাস মিস্ত্রির সমস্যার সূত্রপাত বলে কানাঘুষো বিভিন্ন মহলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একলাখি গাড়ি হলেও এর উৎপাদন খরচ বেশি ছিল। সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান থাকাকালীন ন্যানো নিয়ে টাটা গোষ্ঠীকে মেল করেছিলেন মিস্ত্রি। কিন্তু, রতন টাটার প্রকল্প হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত আবেগের কথা ভেবেই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কিন্তু, তাতেও বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না ন্যানোকে। কয়েক বছর ধরেই পড়তির দিকে ন্যানোর বিক্রি। ২০১৭-র জুনে যেখানে ২৭৫ ইউনিট গাড়ি উৎপাদন করা হয়েছিল, চলতি বছরে সেই সংখ্যা একে এসে দাঁড়িয়েছে।
পড়ুন: দিনে গড়ে মাত্র ২টো গাড়ি তৈরি কারখানায়! গুজরাটে ন্যানো-মৃত্যু!!
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টাটা মোটর্স-এর মুখপাত্র বলেন, '২০১৯-র পর ন্যানোকে টিকিয়ে রাখা যে মুশকিল, তা আমরা জানি। এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।' তবে সংস্থার মুখপাত্র আরও জানান, 'বাজারে ক্রেতা-চাহিদা মেটাতে তাঁরা ন্যানো তৈরি করবেন।' তবে কতদিন করবেন তা স্পষ্ট করতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কারণে এ রাজ্যের সিঙ্গুর থেকে গুজরাতে কারখানা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন রতন টাটা। ২০১৯ সালে একলাখি গাড়ি হিসেবে বাজারে ছাড়া হয় টাটা ন্যানোকে। কিন্তু, পরে গাড়ির দাম আর এক লাখে ধরে রাখতে পারেনি টাটা মোটর্স। এমনকী পরে খোদ রতন টাটাও ন্যানোর বিপণন ব্যর্থতা স্বীকার করেছিলেন।
খবরটি ইংলিশে পড়তে ক্লিক করুন