Hindusm বলছে যে সব মানুষকেই তাঁর কর্মফল ভোগ করতে হয়। ভালো কাজ করলে যেমন লাভবান হওয়া যায়, তেমন খারাপ কাজ করলে ক্ষতি হয় জীবনে। অনেক সময় তাত্ক্ষণিক লাভের মোহে আমরা অনেকেই বেঠিক কাজ করে থাকি। হিন্দু ধর্ম বলছে যে জীবদ্দশায় পাপের শাস্তি কেউ ভোগ না করলেও মৃত্যুর পর সেই শাস্তি লাভ করতেই হয়। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে মৃত্যুর পর মানুষ স্বর্গ অথবা নরকে যায়। জীবদ্দশায় ভালো কাজ করলে স্বর্গে যাওয়া যায়, সেখানে অনন্ত সুখভোগ আর খারাপ কাজের শাস্তি হিসেবে নরকে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।
গৌড় পুরাণ জানাচ্ছে যে বিভিন্ন পাপ কাজ করলে মৃত্যুর পর নরকে তার জন্য আলাদা আলাদা শাস্তি নির্ধারিত আছে। দেখে নিন কোন অপরাধের জন্য কোন শাস্তি নির্ধারিত আছে নরকে।
অন্যের অর্থ লুঠ করা
অন্য়ের কষ্টার্জিত অর্থ লুঠ করা গভীর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুর পর যমদূতরা পাপীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রবল প্রহার করতে থাকে। মার খেতে খেতে ওই ব্যক্তি অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত মার চলতে থাকে। জ্ঞান ফেরার পর আবার শুরু হয় মার। এই ভাবে চলতেই থাকে।
গুরুজনদের অসম্মান করা
যাঁরা গুরুজনদের অসম্মান করেন তাঁরা কখনও সুখী হতে পারেন না। বেঁচে থাকতেই তাঁরা সারা জীবন অশান্তির আগুলে জ্বলেপুড়ে মরে। আর মৃত্যুর পর এই পাপীদের নরকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত করা হয়। তাদের চামড়া শরীর থেকে আলাদা না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আগুনে ঝলসানো হয়।
নিরপরাধকে হত্যা
নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য যে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করে, তাদের মৃত্যুর পর নরকে অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। গৌড় পুরাণ অনুসারে নিরপরাধ ব্যক্তির হত্যাকারীকে মৃত্যুর পর কড়াইতে গরম তেলের মধ্যে ফেলে ভাজা হয়।
স্বামী বা স্ত্রীকে ঠকানো
স্বামী বা স্ত্রীকে ভালো না বাসা এবং বিয়ের বন্ধনকে অপমান করা গৌড় পুরাণ অনুসারে গুরুতর অপরাধ। একে অন্যকে ভালো না বেসে শুধু স্বার্থের জন্য একসঙ্গে থাকাও পাপ হিসেবে মনে করা হয়। মৃত্যুর পর এদের জন্যও নরক যন্ত্রণা অপেক্ষা করছে। নরকে লোহার রড দিয়ে এদের মারা হয়।
গুরুর স্ত্রীর প্রতি কুদৃষ্টি
গুরু অর্থাত্ শিক্ষক আমাদের জীবনের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাই গুরুকে পিতার সমান মনে করা হয়। সেই হিসেবে গুরু-পত্নী হলেন মায়ের সমতূল্য। গুরু-পত্নীর দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকালে বা তাঁর সম্পর্কে খারাপ কথা ভাবলে সেই পাপের শাস্তি নির্ধারিত আছে গৌড় পুরাণে। মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তিকে জয়ন্তী নামের নরকে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের শরীরে গলানো উত্তপ্ত লোহা ফেল দেওয়া হয়।
ধর্ষণের শাস্তি
ধর্ষণ এক অতি ঘৃণ্য অপরাধ। শাস্ত্রে এই অপরাধীদের সঙ্গে পশুর মতো ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। নরকে এদের মল-মূত্রে ভরা নোংরা কুয়োর ভেতরে নিক্ষেপ করা হয়।
গৌড় পুরাণ জানাচ্ছে যে বিভিন্ন পাপ কাজ করলে মৃত্যুর পর নরকে তার জন্য আলাদা আলাদা শাস্তি নির্ধারিত আছে। দেখে নিন কোন অপরাধের জন্য কোন শাস্তি নির্ধারিত আছে নরকে।
অন্যের অর্থ লুঠ করা
অন্য়ের কষ্টার্জিত অর্থ লুঠ করা গভীর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুর পর যমদূতরা পাপীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রবল প্রহার করতে থাকে। মার খেতে খেতে ওই ব্যক্তি অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত মার চলতে থাকে। জ্ঞান ফেরার পর আবার শুরু হয় মার। এই ভাবে চলতেই থাকে।
গুরুজনদের অসম্মান করা
যাঁরা গুরুজনদের অসম্মান করেন তাঁরা কখনও সুখী হতে পারেন না। বেঁচে থাকতেই তাঁরা সারা জীবন অশান্তির আগুলে জ্বলেপুড়ে মরে। আর মৃত্যুর পর এই পাপীদের নরকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত করা হয়। তাদের চামড়া শরীর থেকে আলাদা না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আগুনে ঝলসানো হয়।
নিরপরাধকে হত্যা
নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য যে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করে, তাদের মৃত্যুর পর নরকে অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। গৌড় পুরাণ অনুসারে নিরপরাধ ব্যক্তির হত্যাকারীকে মৃত্যুর পর কড়াইতে গরম তেলের মধ্যে ফেলে ভাজা হয়।
স্বামী বা স্ত্রীকে ঠকানো
স্বামী বা স্ত্রীকে ভালো না বাসা এবং বিয়ের বন্ধনকে অপমান করা গৌড় পুরাণ অনুসারে গুরুতর অপরাধ। একে অন্যকে ভালো না বেসে শুধু স্বার্থের জন্য একসঙ্গে থাকাও পাপ হিসেবে মনে করা হয়। মৃত্যুর পর এদের জন্যও নরক যন্ত্রণা অপেক্ষা করছে। নরকে লোহার রড দিয়ে এদের মারা হয়।
গুরুর স্ত্রীর প্রতি কুদৃষ্টি
গুরু অর্থাত্ শিক্ষক আমাদের জীবনের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাই গুরুকে পিতার সমান মনে করা হয়। সেই হিসেবে গুরু-পত্নী হলেন মায়ের সমতূল্য। গুরু-পত্নীর দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকালে বা তাঁর সম্পর্কে খারাপ কথা ভাবলে সেই পাপের শাস্তি নির্ধারিত আছে গৌড় পুরাণে। মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তিকে জয়ন্তী নামের নরকে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের শরীরে গলানো উত্তপ্ত লোহা ফেল দেওয়া হয়।
ধর্ষণের শাস্তি
ধর্ষণ এক অতি ঘৃণ্য অপরাধ। শাস্ত্রে এই অপরাধীদের সঙ্গে পশুর মতো ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। নরকে এদের মল-মূত্রে ভরা নোংরা কুয়োর ভেতরে নিক্ষেপ করা হয়।