এই সময় অ্যাস্ট্রো ডেস্ক: জন্ম রাশির পর যে রাশিতে শনি প্রবেশ করে, তখন থেকেই সাড়ে সাতির দশা শুরু হয়ে যায়। শনি যখন জন্ম থেকে দ্বিতীয় স্থান অতিক্রম করে যায়, তখন এই দশা থেকে মুক্তি ঘটে। এ ক্ষেত্রে চন্দ্রকে কেন্দ্র মনে করে গণনা করা হয়। যেমন কোনও জাতকের জন্ম যদি বৃষ রাশিতে হয় তা হলে, শনি যখন মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে, তখন থেকে সাড়ে সাতি শুরু হবে। অর্থাৎ যে রাশিতে শনির গোচর হবে, তার আগের ও পরের রাশি সাড়ে সাতির আওতায় আসবে। একটি রাশিতে শনি আড়াই বছর বিরাজ করে। এভাবে এই ৩টি রাশি অতিক্রম করতে মোট সাড়ে সাত বছর সময় লাগে, একেই শনির সাড়ে সাতি বলা হয়।
চলতি বছর ২৯ এপ্রিল মকর রাশি থেকে বেরিয়ে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে শনি। এর ফলে মীন, কুম্ভ ও মকর রাশিতে শনির সাড়ে সাতি শুরু হবে।
অনেকেই সাড়ে সাতিকে অশুভ মনে করেন। তবে কর্মফল দাতা শনি প্রতিটি জাতকের কর্ম বিচার করে ফলাফল দিয়ে থাকেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করেন, তেমনই খারাপ কাজের জন্য শাস্তি প্রদান করেন শনি। সাড়ে সাতির সময় কী কী করতে হবে জেনে নিন—
কঠিন পরিশ্রম করতে হবে
সাড়েসাতি শুরু হলে সহজ জীবনযাপন, সহজে সাফল্য লাভ, সহজে অর্থ উপার্জন, এ সবই ভুলে যেতে হবে। কারণ এ সময় কঠিন পরিশ্রম করলেই ফল দেবে শনি।
স্বচ্ছন্দ থেকে বেরিয়ে আসুন
কর্মজীবনে নানা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন। শনির প্রকোপ বাড়লে চাকরি খোয়াতে পারেন আপনিও। তাই এবার নিজেকে আপগ্রেড করুন, নতুন স্কিল শিখুন। পুরনো পন্থা খুব বেশি দিন কাজে দেবে না। নিজের স্বচ্ছন্দের এলাকা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ভাবে জগৎ চেনা শুরু করুন। শনির সাড়েসাতি আপনাকে এই শিক্ষাই দেবে।
প্রতিবন্ধকতা
এ সময় পথে একাধিক বাধা দেখা দেবে। ভয় পেয়ে পিছিয়ে পড়বেন না। সাহসিকতার সঙ্গে আগত সমস্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করুন। আগেই বলা হয়েছে শনি কর্মফল দাতা। তাই আপনার সাহসিকতার পুরস্কার দেবেন তিনি। হার না-মেনে লড়ে যান।
স্ট্রেস বা চাপ
অসাফল্য, প্রতিবন্ধকতা, সমস্যায় জর্জরিত জীবন আপনাকে ক্রমশ স্ট্রেসের মুখে ঠেলে দেবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্রমশ অধিক চিন্তাভাবনা করা শুরু করবেন, ফলে মস্তিষ্কের ওপর চাপ বাড়বে। তাই এ সময় অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করবেন না। বেশি চিন্তাভাবনা না-করে একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে যান। আলস্য ত্যাগ করুন। শুধুমাত্র এই উপায়েই চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।
আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা
সাড়েসাতির পর্যায় সম্মানহানি, আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হতে পারে, কেউ কেউ আবার আপনাকে ছোট করারও চেষ্টা করবে। প্রথমে অসাফল্য, তার পর এই অপমানিত হয়ে ক্রমশই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে শুরু করবেন। এ সময় সাত-পাঁচ না-ভেবে, যা ঠিক তা-ই করুন। পরিস্থিতি নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে।
স্থিতাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুন
সাড়ে সাতির পর্যায়ে কোনও মতেই স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পারবেন না। আপনি নিজে পরিবর্তন ঘটান, তা না-হলে পরিবর্তনের হাওয়া নিজে থেকেই আপনার জীবন পাল্টে দেবে। পরিবর্তন যে রূপেই আসুক, তা স্বীকার করে নিন। নতুন চাকরি পেতে পারেন বা নিজের স্টার্টআপ শুরু করতে পারেন। পরিবর্তন সর্বদা সম্ভাবনাময় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী এর ফলাফলও লাভ করবেন। আপনি এ সময় যত বেশি স্থিতাবস্থা পালন করতে চাইবেন, তত বেশি আপনার পতন ঘটবে।
স্বল্পমেয়াদি ক্ষতি বনাম দীর্ঘমেয়াদি লাভ
শনির সাড়েসাতি সব সময় অশুভ ফলই দেয় না। এর কবলে পড়ে আজ অসফল হচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু শনির আশীর্বাদে ও আপনার কঠিন পরিশ্রমের জোরে এটিই হতে পারে আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্যের সিঁড়ি। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন এবং স্বল্পমেয়াদি লোকসানকে উপেক্ষা করে যান। জয়-পরাজয় আপনার হাতে রয়েছে।
রুটিন
এমন কোনও রুটিনে জড়িয়ে পড়েছেন যা আপনার একদমই পছন্দ নয়। কিন্তু সাড়েসাতির পর্যায়, এই চিন্তা ভাবনা ত্যাগ করে সততার সঙ্গে নিজের কাজ করে যান। এই রুটিন থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তা করবেন না, এটিই আপনার জন্য ভালো হবে।
অনুশাসন
সাবধান হন এবং শৃঙ্খলাপরায়ন জীবন যাপন করতে শুরু করুন। তা না-হলে শনি নিজের মতো করে আপনাকে শিক্ষা দেবে, যা আপনার এক্কেবারেই ভালো লাগবে না। আলস্য, বেপরোয়া হওয়া, শর্টকাট নেওয়ার কথা ভুলে যান। অনুশাসনই আপনার সমস্ত অসাফল্যকে ধুয়ে ফেলতে পারে।
সারা জীবনের শিক্ষা এই সাড়ে সাতি
সাড়েসাতি ব্যক্তিকে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা দিয়ে থাকে। নিজের ভুল খুঁজে বার করুন এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। আপনার কাজের লেখাজোকা রয়েছে শনির কাছে। যেমন করবেন, তেমনই ফল পাবেন। ভালো কাজ করুন, পরিবর্তে আপনার সঙ্গেও ভালোই হবে।
চলতি বছর ২৯ এপ্রিল মকর রাশি থেকে বেরিয়ে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে শনি। এর ফলে মীন, কুম্ভ ও মকর রাশিতে শনির সাড়ে সাতি শুরু হবে।
অনেকেই সাড়ে সাতিকে অশুভ মনে করেন। তবে কর্মফল দাতা শনি প্রতিটি জাতকের কর্ম বিচার করে ফলাফল দিয়ে থাকেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করেন, তেমনই খারাপ কাজের জন্য শাস্তি প্রদান করেন শনি। সাড়ে সাতির সময় কী কী করতে হবে জেনে নিন—
কঠিন পরিশ্রম করতে হবে
সাড়েসাতি শুরু হলে সহজ জীবনযাপন, সহজে সাফল্য লাভ, সহজে অর্থ উপার্জন, এ সবই ভুলে যেতে হবে। কারণ এ সময় কঠিন পরিশ্রম করলেই ফল দেবে শনি।
স্বচ্ছন্দ থেকে বেরিয়ে আসুন
কর্মজীবনে নানা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন। শনির প্রকোপ বাড়লে চাকরি খোয়াতে পারেন আপনিও। তাই এবার নিজেকে আপগ্রেড করুন, নতুন স্কিল শিখুন। পুরনো পন্থা খুব বেশি দিন কাজে দেবে না। নিজের স্বচ্ছন্দের এলাকা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ভাবে জগৎ চেনা শুরু করুন। শনির সাড়েসাতি আপনাকে এই শিক্ষাই দেবে।
প্রতিবন্ধকতা
এ সময় পথে একাধিক বাধা দেখা দেবে। ভয় পেয়ে পিছিয়ে পড়বেন না। সাহসিকতার সঙ্গে আগত সমস্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করুন। আগেই বলা হয়েছে শনি কর্মফল দাতা। তাই আপনার সাহসিকতার পুরস্কার দেবেন তিনি। হার না-মেনে লড়ে যান।
স্ট্রেস বা চাপ
অসাফল্য, প্রতিবন্ধকতা, সমস্যায় জর্জরিত জীবন আপনাকে ক্রমশ স্ট্রেসের মুখে ঠেলে দেবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্রমশ অধিক চিন্তাভাবনা করা শুরু করবেন, ফলে মস্তিষ্কের ওপর চাপ বাড়বে। তাই এ সময় অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করবেন না। বেশি চিন্তাভাবনা না-করে একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে যান। আলস্য ত্যাগ করুন। শুধুমাত্র এই উপায়েই চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।
আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা
সাড়েসাতির পর্যায় সম্মানহানি, আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হতে পারে, কেউ কেউ আবার আপনাকে ছোট করারও চেষ্টা করবে। প্রথমে অসাফল্য, তার পর এই অপমানিত হয়ে ক্রমশই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে শুরু করবেন। এ সময় সাত-পাঁচ না-ভেবে, যা ঠিক তা-ই করুন। পরিস্থিতি নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে।
স্থিতাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুন
সাড়ে সাতির পর্যায়ে কোনও মতেই স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পারবেন না। আপনি নিজে পরিবর্তন ঘটান, তা না-হলে পরিবর্তনের হাওয়া নিজে থেকেই আপনার জীবন পাল্টে দেবে। পরিবর্তন যে রূপেই আসুক, তা স্বীকার করে নিন। নতুন চাকরি পেতে পারেন বা নিজের স্টার্টআপ শুরু করতে পারেন। পরিবর্তন সর্বদা সম্ভাবনাময় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী এর ফলাফলও লাভ করবেন। আপনি এ সময় যত বেশি স্থিতাবস্থা পালন করতে চাইবেন, তত বেশি আপনার পতন ঘটবে।
স্বল্পমেয়াদি ক্ষতি বনাম দীর্ঘমেয়াদি লাভ
শনির সাড়েসাতি সব সময় অশুভ ফলই দেয় না। এর কবলে পড়ে আজ অসফল হচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু শনির আশীর্বাদে ও আপনার কঠিন পরিশ্রমের জোরে এটিই হতে পারে আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্যের সিঁড়ি। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন এবং স্বল্পমেয়াদি লোকসানকে উপেক্ষা করে যান। জয়-পরাজয় আপনার হাতে রয়েছে।
রুটিন
এমন কোনও রুটিনে জড়িয়ে পড়েছেন যা আপনার একদমই পছন্দ নয়। কিন্তু সাড়েসাতির পর্যায়, এই চিন্তা ভাবনা ত্যাগ করে সততার সঙ্গে নিজের কাজ করে যান। এই রুটিন থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তা করবেন না, এটিই আপনার জন্য ভালো হবে।
অনুশাসন
সাবধান হন এবং শৃঙ্খলাপরায়ন জীবন যাপন করতে শুরু করুন। তা না-হলে শনি নিজের মতো করে আপনাকে শিক্ষা দেবে, যা আপনার এক্কেবারেই ভালো লাগবে না। আলস্য, বেপরোয়া হওয়া, শর্টকাট নেওয়ার কথা ভুলে যান। অনুশাসনই আপনার সমস্ত অসাফল্যকে ধুয়ে ফেলতে পারে।
সারা জীবনের শিক্ষা এই সাড়ে সাতি
সাড়েসাতি ব্যক্তিকে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা দিয়ে থাকে। নিজের ভুল খুঁজে বার করুন এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। আপনার কাজের লেখাজোকা রয়েছে শনির কাছে। যেমন করবেন, তেমনই ফল পাবেন। ভালো কাজ করুন, পরিবর্তে আপনার সঙ্গেও ভালোই হবে।