সঙ্গীর রাগ ভাঙাতে কী করবেন? জেনে নিন সহজ জ্যোতিষ টোটকা

এই সময় অ্যাস্ট্রো ডেস্ক: দাম্পত্য সম্পর্কে মাঝেমধ্যে অশান্তি ঝামেলা লেগে থাকবেই। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যেমন প্রেম ভালোবাসা থাকে, তেমনই মান অভিমানের পালাও চলে। সঙ্গীর মান ভাঙানোও দাম্পত্য প্রেমের একটা অঙ্গ। অনেক সময় ঝগড়া করে কয়েকদিনের জন্য় পরস্পরের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দেন অনেকে। সেই সময় দুজনের মধ্যে একজনকে এগিয়ে এসে বরফ গলানোর চেষ্টা করতে হবে। তবেই সম্পর্কে ফিরবে স্বাভাবিক প্রেমের ছোঁয়া।

যদি আপনার সঙ্গী কোনও কারণে আপনার উপর রেগে গিয়ে থাকেন, তাহলে জ্যোতিষ পদ্ধতিতে সহজেই তাঁর রাগ ভাঙানো সম্ভব। জেনে নিন জ্যোতিষ টোটকা অনুসরণ করে কী ভাবে তাঁর মান ভাঙাবেন।

* দেবী দুর্গাকে লাল ফুল দিয়ে পুজো করুন। এর সঙ্গে সাদা রঙের কোনও মিষ্টি তাঁকে নিবেদন করুন। সঙ্গীর সঙ্গে সব ঝামেলা মিটিয়ে দিতে দুর্গার কাছে একান্ত মনে প্রার্থনা করলে সব সমস্যা মিটে যাবে।

* বারবার সঙ্গীর মান ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন? তাহলে তাঁকে হিরে উপহার দিতে পারেন। হিরে দিতে পকেটে টান পরলে আমেরিকান ডায়মন্ড দিলেও কাজ হবে। তবে কালো না নীল রঙের হিরে বা আমেরিকান ডায়মন্ড উপহার হিসেবে দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সঙ্গীর রাগ ভাঙাতে যে পাথরটা উপহার হিসেবে দেবেন, তার রং লাল, গোলাপী, হলুদ বা সবুজ বেছে নিন। মনে করা হয় এই রংগুলি সম্পর্কে ফাটল সারায় এবং পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ায়।

প্রদীপ জ্বালানোর সময় খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলি, না হলে হতে পারে বিপদ!
* সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া হয়ে গেলে শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করুন। সঙ্গীর মান ভাঙাতে কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করুন। কোনও একটা শুক্রবার তিনটে এলাচ নিজের শরীরে ছুঁইয়ে নিজের কাছে লুকিয়ে রাখুন। যেমন শাড়ি বা ওড়নার সঙ্গে বেঁধে রাখতে পারেন। রুমালেও বেঁধে রাখা যায়। পরের দিন, অর্থাত্‍ শনিবার সকালে এই তিনটি এলাচ কোনও একটা রান্নায় মিশিয়ে দিন। এই পদ সঙ্গীকে খেতে দিন। পরপর পাঁচ শুক্রবার এটা করলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে মনে করা হয়।

ধূপের ধোঁয়ায় দূর হবে অশুভ শক্তি, পরিবারে থাকবে সুখ-শান্তি!
* যদি কোনও ভাবেই সঙ্গীর রাগ কমাতে না পারেন, তা হলে শুদ্ধ মনে শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করুন। এরপর তালপাতায় চাল চন্দন দিয়ে সঙ্গীর নাম লিখুন। এরপর ডান হাত দিয়ে মধুর কৌটোতে সেই পাতাটা চুবিয়ে রাখুন। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা যত তীব্র হোক না কেন, এই টোটকায় সব মিটে যাবে বলে মনে করা হয়।