এই সময় অ্যাস্ট্রো ডেস্ক: সনাতন ধর্মে একাধিক দানের উল্লেখ পাওয়া যায়। শাস্ত্র মতে, দান করলে ব্যক্তি পুণ্যলাভ করতে পারে। দানের ফলে শুধু গ্রহ দোষই দূর হয় না, বরং নানান পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাস্ত্রে জীবনে আগত নানান সমস্যার সমাধানের জন্য নানা দানের উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ তিথি, উৎসবে দান করলে তার গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়। এই সমস্ত দানের মধ্যে এমন কিছু দান আছে যাকে মহাদান বলা হয়। মহাদান করলে জাতকের সর্বদা কল্যাণ হয়। গোরু দান
শাস্ত্র মতে গোরু দানকে মহাদান হিসেবে গণ্য করা হয়। মনে করা হয়, যে ব্যক্তি গোদান করে তাঁর সমস্ত পাপ কেটে যায়। গো দান করলে ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করতে পারে।
বিদ্যা দান
সমস্ত ধরনের দানের মধ্যে বিদ্যার দানকেও মহাদান বলা হয়। কোনও অসহায় ব্যক্তির শিক্ষা লাভের ব্যবস্থা করে দিলে বা তাদের বিনামূল্যে পড়ালে অবশ্যই পুণ্য লাভ করা যায়। এর ফলে ব্যক্তির ওপর সরস্বতী-সহ সমস্ত দেবী-দেবতার আশীর্বাদ থাকে।
ভূমি দান
কোনও শুভ অনুষ্ঠানের জন্য বা কোনও অসহায় ব্যক্তিকে ভূমি দান করলে বহু গুণ অধিক পুণ্য ফল ভোগ করতে পারে জাতক। শাস্ত্রে ভূমি দানকে মহাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দীপদান
প্রতিদিন দেবী-দেবতার পুজোর সময় যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়, তাকে দীপ দান বলে। হিন্দু ধর্মে দীপদানের বিশেষ গুরুত্ব স্বীকার করা হয়। একে বিদ্যাদানের মতো পুণ্য ফলদায়ী মনে করা হয়। শ্রাবণ মাসে প্রতিদিন শিবকে দীপদান করলে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। আবার দারিদ্র্য-সহ নানান সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য নদীতে দীপ দান করা উচিত।
ছায়া দান
সমস্ত ধরনের দানের মধ্যে ছায়া দানের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। শনির সঙ্গে এই দান সম্পর্ক যুক্ত। এর জন্য কোনও মাটির বাসনে সরষের তেল রেখে তাতে নিজের ছায়া দেখে কোনও ব্যক্তিকে দান করে দিন। এই দানের ফলে শনির সমস্ত দোষ দূর করা যায়।
এই সমস্ত বস্তু দান করবেন না
নানা বস্তু দান করলে জীবনে পুণ্য লাভ করা যায়, এমনকি সমস্যা সমাধানের পথ পাওয়া যায়। কিন্তু এর পাশাপাশি এমন অনেক বস্তু আছে যা দান করলে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন। শাস্ত্র মতে কোনও ব্যক্তিকে নিজের এঁটো বা বাসি খাবার খেতে দিতে নেই। আবার ছেঁড়া ও পুরনো কাপড়, ছুরি বা ধারযুক্ত কোনও সামগ্রী, কাঁচি ইত্যাদি দান করা উচিত নয়।
* মহিলাদের কখনও সিঁদুর দান করা উচিত নয়। বিবাহিত মহিলারা সিঁদুর দান করলে স্বামীর ভালোবাসা কমতে পারে।
* প্রচলিত আছে যে কখনও ঝাঁটা দান করা উচিত নয়। ঝাঁটা দান করলে লক্ষ্মী ক্ষুব্ধ হন এবং সেই পরিবারে তিনি বাস করেন না।
* জ্যোতিষ মতে ব্যবহৃত তেল দান করলে শনি ক্ষুব্ধ হতে পারেন। শনি ক্ষুব্ধ হলে সমগ্র পরিবারকে তাঁর রোষের মুখে পড়তে হতে পারে।
* কখনও ছেঁড়া বই দান করা উচিত নয়। এমন করলে বিদ্যার অভাব দেখা দেয়।
* আবার প্লাস্টিকের জিনিস দান করলে ব্যবসা ও চাকরিতে ক্ষতি হয়। তাই প্লাস্টিকের কোনও বস্তু দান করা উচিত নয়।
শাস্ত্র মতে গোরু দানকে মহাদান হিসেবে গণ্য করা হয়। মনে করা হয়, যে ব্যক্তি গোদান করে তাঁর সমস্ত পাপ কেটে যায়। গো দান করলে ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করতে পারে।
বিদ্যা দান
সমস্ত ধরনের দানের মধ্যে বিদ্যার দানকেও মহাদান বলা হয়। কোনও অসহায় ব্যক্তির শিক্ষা লাভের ব্যবস্থা করে দিলে বা তাদের বিনামূল্যে পড়ালে অবশ্যই পুণ্য লাভ করা যায়। এর ফলে ব্যক্তির ওপর সরস্বতী-সহ সমস্ত দেবী-দেবতার আশীর্বাদ থাকে।
ভূমি দান
কোনও শুভ অনুষ্ঠানের জন্য বা কোনও অসহায় ব্যক্তিকে ভূমি দান করলে বহু গুণ অধিক পুণ্য ফল ভোগ করতে পারে জাতক। শাস্ত্রে ভূমি দানকে মহাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দীপদান
প্রতিদিন দেবী-দেবতার পুজোর সময় যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়, তাকে দীপ দান বলে। হিন্দু ধর্মে দীপদানের বিশেষ গুরুত্ব স্বীকার করা হয়। একে বিদ্যাদানের মতো পুণ্য ফলদায়ী মনে করা হয়। শ্রাবণ মাসে প্রতিদিন শিবকে দীপদান করলে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। আবার দারিদ্র্য-সহ নানান সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য নদীতে দীপ দান করা উচিত।
ছায়া দান
সমস্ত ধরনের দানের মধ্যে ছায়া দানের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। শনির সঙ্গে এই দান সম্পর্ক যুক্ত। এর জন্য কোনও মাটির বাসনে সরষের তেল রেখে তাতে নিজের ছায়া দেখে কোনও ব্যক্তিকে দান করে দিন। এই দানের ফলে শনির সমস্ত দোষ দূর করা যায়।
এই সমস্ত বস্তু দান করবেন না
নানা বস্তু দান করলে জীবনে পুণ্য লাভ করা যায়, এমনকি সমস্যা সমাধানের পথ পাওয়া যায়। কিন্তু এর পাশাপাশি এমন অনেক বস্তু আছে যা দান করলে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন। শাস্ত্র মতে কোনও ব্যক্তিকে নিজের এঁটো বা বাসি খাবার খেতে দিতে নেই। আবার ছেঁড়া ও পুরনো কাপড়, ছুরি বা ধারযুক্ত কোনও সামগ্রী, কাঁচি ইত্যাদি দান করা উচিত নয়।
* মহিলাদের কখনও সিঁদুর দান করা উচিত নয়। বিবাহিত মহিলারা সিঁদুর দান করলে স্বামীর ভালোবাসা কমতে পারে।
* প্রচলিত আছে যে কখনও ঝাঁটা দান করা উচিত নয়। ঝাঁটা দান করলে লক্ষ্মী ক্ষুব্ধ হন এবং সেই পরিবারে তিনি বাস করেন না।
* জ্যোতিষ মতে ব্যবহৃত তেল দান করলে শনি ক্ষুব্ধ হতে পারেন। শনি ক্ষুব্ধ হলে সমগ্র পরিবারকে তাঁর রোষের মুখে পড়তে হতে পারে।
* কখনও ছেঁড়া বই দান করা উচিত নয়। এমন করলে বিদ্যার অভাব দেখা দেয়।
* আবার প্লাস্টিকের জিনিস দান করলে ব্যবসা ও চাকরিতে ক্ষতি হয়। তাই প্লাস্টিকের কোনও বস্তু দান করা উচিত নয়।