অ্যাপশহর

Guru Purnima 2020: অন্য কেউ নন, জীবনে প্রথম গুরু মা-বাবা! এই দিনে প্রথম তাঁদেরই প্রণাম করার নিয়ম

গুরু পূর্ণিমার দিন সকালবেলা অনেকে গঙ্গাস্নান করেন। স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে গুরুপুজো সেরে থাকেন। আমাদের বাবা ও মা-ই আমাদের প্রথম ও পরম গুরু। জীবনযাপনের জন্য তাঁরাই প্রথম গুরু হয়ে ওঠে। পরবর্তীতেও প্রিয় শিক্ষক তাঁরাই।

EiSamay.Com 5 Jul 2020, 2:31 pm
এই সময় অ্যাস্ট্রো ডেস্ক: শিক্ষাগুরু বা দীক্ষাগুরুকে শ্রদ্ধা জানানোর বিশেষ দিন গুরুপূর্ণিমা। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় গুরু পূর্ণিমা। এই বছর রবিবার, ৫ জুলাই গুরুপূর্ণিমা। এবার আবার একই দিনে পড়েছে চন্দ্রগ্রহণ। শাস্ত্রমতে, এই দিনটি খুবই শুভ৷ এরকম নাকি খুব কম দিন আসে বছরে৷
EiSamay.Com guru purnima
গুরুপূর্ণিমা


এই দিনে সকাল সকালই স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরে গুরুর পায়ে হলুদ রঙে ফুল নিবেদন করলে সমস্ত বাধা বিপত্তি কেটে যায় বলে মনে করা হয়৷ পণ্ডিতরা বলছেন, আজকে যেহেতু গ্রহণ ও গুরু পূর্ণিমা একই দিনে তাই আমিষ খাবার ছেড়ে নিরামিষ খাবার খাওয়া ভালো। এই দিনে দীক্ষা নেওয়ার জন্য খুব শুভ দিন৷ পণ্ডিতেরা বলছেন, যেহেতু এই দিন উপচ্ছায়া গ্রহণ তাই দীক্ষা নেওয়ার পক্ষে খুব ভালো দিন৷ মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই দিনেই। তাই গুরুপূর্ণিমাকে অনেকেই ব্যাসপূর্ণিমা বলে থাকেন। মহাভারত রচয়িতা কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেবের জন্ম বলে কথিত আছে।

গুরু পূর্ণিমার দিন সকালবেলা অনেকে গঙ্গাস্নান করেন। স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে গুরুপুজো সেরে থাকেন। ফুল, মিষ্টি, দক্ষিণা সহযোগে শ্রদ্ধার্পণ করার রীতি আছে এইদিন। অনেকেই এই দিন বাড়িতে গীতা পাঠ করা শুভ বলে মনে করেন। জীবনে প্রথম গুরু মা ও বাবা। তাই গুরু পূর্ণিমার দিন সকালে উঠে মা বাবাকে প্রণাম করা নিয়ম। আমাদের শিক্ষানবিশী চলতেই থাকে। জীবনভর। আমরা প্রতিদিন শিখি। যাপন ও জীবনের রোজনামচা আমাদের প্রায় প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় কত কিছু শিখতে বা শিখে নিতে বাধ্য করে।

আমাদের বাবা ও মা-ই আমাদের প্রথম ও পরম গুরু। জীবনযাপনের জন্য তাঁরাই প্রথম গুরু হয়ে ওঠে। পরবর্তীতেও প্রিয় শিক্ষক তাঁরাই। তাঁদের স্নেহে, প্রশ্রয়ে, শিক্ষায়, সহমর্মিতায়, মরমী সমালোচনায়, চরিত্র গঠনের দৃঢ় শিক্ষায় আমরা ঋদ্ধ হতে থাকি ক্রমশ। আমাদের প্রতিটি আচরণের বহির্প্রকাশ ঠিক কী হবে, শিশুবয়স থেকেই উচিত-অনুচিতের বোধ আমরা শিখতে থাকি তাঁদের কাছেই।

গুরু পূর্ণিমার যোগ শুরু হয়েছে ৪ জুলাই শনিবার ১১ টা বেজে ৩৩ মিনিটে এবং পূর্ণিমা শেষ হবে ৫ জুলাই রবিবার ১০ টা বেজে ১৩ মিনিটে। এই দিন অবশ্য যাঁদের গুরুদেব নেই বা যাঁরা গুরুদীক্ষা নেননি, তাঁরা শিব বা কৃষ্ণের পুজো করেন। ব্যাসদেবের পুজোও হয় এদিন। দান-জ্ঞান অর্জনের মধ্যে দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয় এই দিনটিকে। গোটা দিনটিকে কাজে লাগান জ্ঞান অর্জনে। বই পড়ুন, শাস্ত্র চর্চা করুন ৷

পরের খবর

Astrologyসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল
ট্রেন্ডিং