অ্যাপশহর

এই তিন দেবতাকে ভয় পান শনি! এঁদের পুজো করলে এড়ানো যায় শনির দৃষ্টি

Shani Dev-এর দৃষ্টি অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। এই কারণেই শনিকে সবাই ভয় পান। কিন্তু শনিও কাউকে খুবই ভয় পান। শনি কার কার ভয়ে ভীত, তা জানেন কি? পুরাণ অনুসারে শনিদেব শিব, হনুমান এবং সন্ন্যাসী পিপলাড়কে ভয় পান। তাই এই তিনজনের উপাসনা করলে শনির বক্রদৃষ্টি এড়ানো যায়। কেন এই তিনজনের ভয়ে ভীত শনি?

Produced byশ্রমণা গোস্বামী | EiSamay.Com 18 Jun 2022, 3:29 pm
Shani Dev-এর প্রচণ্ড রাগকে ভয় পান প্রায় সবাই। কারণ শনি হলেন কর্মফলের দেবতা। খারাপ কাজ করলে শনির রোষ থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। শনি যার উপর রেগে যান, শনির বক্র দৃষ্টির ফলে তাঁর জীবন পুরো তছনছ হয়ে যায়।
EiSamay.Com Shani1
Shani: শনির দৃষ্টি


শনিকে তুষ্ট করতে প্রতি শনিবার শনিদেবের পুজো করা, সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো, কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ানোর মতো কাজ করে থাকেন অনেকে। এর ফলে শনিকে প্রীত করা যায়। শনিকে তো সবাই ভয় পান, কিন্তু জানেন কি শনিও কয়েকজনকে খুবই ভয় পান? এই তিনজনের আরাধনা করলেও তাই এড়ানো যায় শনির রোষ। এই তিনজন হলেন দেবাদিদেব মহাদেব, হনুমানজি এবং সন্ন্যাসী পিপলাড়। জ্যোতিষ অনুসারে এই তিনজনের আরাধনা যারা করেন, তাঁদের উপর শনি তাঁর বক্রদৃষ্টি নিক্ষেপ করেন না।

মহাদেব

শনিকে কর্মফলদাতার আসন দিয়েছেন মহাদেব। পুরাণ অনুসারে শনি অন্য কয়েকটি লোক দখল করে নেন। তখন শনির পিতা সূর্যদেব শিবের কাছে গিয়ে অবাধ্য শনিকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য আবেদন করেন। মহাদেব নিজের কয়েকজন অনুচরকে পাঠান শনিকে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তাঁদের সবাইকেই পরাজিত করেন শনি। তখন মহাদেব নিজের শনির কাছে যান। সেই সময় শিব ও শনির মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ বাধে। সেই যুদ্ধে শিবকে গুরুতর ভাবে আঘাত করেন শনি। তখন মহাদেব তাঁর তৃতীয় চক্ষু খুলে ত্রিশূল দিয়ে শনিকে আঘাত করেন। এরপর শনিকে মাথা নীচে পা উপরে করে টানা ১৯ বছর অশ্বথ গাছ থেকে ঝুলিয়ে রাখেন মহাদেব। এই ১৯ বছর শনি শুধু শিবের আরাধনা করেন। তাই বলা হয়ে থাকে, শিবের ভয়ে ভীত শনি কখনোও মহাদেবের ভক্তদের প্রতি তাঁর বিষাক্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন না।

আপনার ওপর কি শনির দৃষ্টি রয়েছে? বুঝবেন যে ভাবে...
হনুমানজি

রাবণ যখন সীতাকে অপহরণ করেছিলেন, তখন বানর সেনার সাহায্যে লংকা অভিযান করেন শ্রীরামচন্দ্র। লংকা পৌঁছনোর জন্য সমুদ্রের উপর সেতু নির্মাণ করেন তিনি। এই সেতু রক্ষার ভার দেওয়া হয় হনুমানকে। শনি সেই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় রামসেতু দেখতে পান। হনুমান সেখানে ধ্যানে মগ্ন। তখন হনুমানের ধ্য়াম ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে তাঁকে নানা ভাবে বিরক্ত করার চেষ্টা করেন শনি। তাতে হনুমানের ধ্যান বিন্দুমাত্র বিঘ্নিত হয় না। নিজের কাজে সফল হতে না পেরে অত্যন্ত ক্র‌ুদ্ধ হয়ে শনি হনুমানকে সম্মুখ সমরে আহ্বান জানান। হনুমান তাঁকে বলেন যে তিনি তাঁর উপাস্য শ্রীরামের ধ্যানে মগ্ন, তাঁকে এখন বিরক্ত না করতে। শনি তাতে নিরস্ত না হলে হনুমান রেগে গিয়ে শনিকে নিজের লেজে জড়িয়ে নিয়ে পাথরের উপর আছাড় মারতে থাকেন। তখন শনি নিজের ভুল বুঝতে পারলে হনুমান তাঁকে ছেড়ে দেন। কিন্তু বারবার পাথরে আছাড় খাওয়ার ফলে তাঁর পাঁজরে অত্য়ন্ত যন্ত্রণা হয়। এই যন্ত্রণার উপশম করতে হনুমান শনিকে লাগানোর জন্য সর্ষের তেল দেন এবং এই ধরনের ভুল আর কখনও না করতে সাবধান করে দেন। সেই থেকে শনি হনুমানকে ভয় পান এবং তাঁকে প্রীত করার জন্য সর্ষের তেল নিবেদন করার প্রথা চালু হয়।

শনির শুভ ফল পেতে চান? জেনে নিন কখন জাতককে কষ্টমুক্ত রাখেন শনি
সন্ন্যাসী পিপলাড়

পুরাণ অনুসারে সন্ন্যাসী পিপলাড়ের বাবা-মা তাঁর শৈশবেই পরলোক গমন করেন। বড় হয়ে পিপলাড় জানতে পারেন যে শনির দশার কবলে পড়েই তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তখন প্রচণ্ড রেগে গিয়ে তিনি অশ্বথ গাছের নীচে বসে ব্রহ্মার ধ্যান শুরু করেন। কঠোর তপস্যার পর ব্রহ্মা খুশি হয়ে তাঁকে বর দান করেন। এরপর পিপলাড় শনিকে আক্রমণ করলে সেই আঘাত শনির পা ভেঙে যায়। তখন শনি বিপদে পড়ে মহাদেবকে স্মরণ করেন। মহাদেব এসে পিপলাড়ের রোষ প্রশমন করেন এবং শনিকে রক্ষা করেন।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
শ্রমণা গোস্বামী
"শ্রমণা গোস্বামী ১৫ বছরেরও বেশি সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় প্রথম কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। নিউজ ও নন-নিউজ, উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রমণা। বিভিন্ন বিষয়কে সবার কাছে সহজ সরল ও যুক্তিগ্রাহ্য ভাবে তুলে ধরে মিডিয়া জগতের একজন পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। নিজের বর্তমান সেকশনে প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছেন শ্রমণা। নিজের গণ্ডীর বাইরে বেরিয়ে নতুন কিছু করে দেখানোর তাগিদ সব সময় কাজ করে তাঁর মধ্যে। মানুষকে গল্প শোনানো ও নতুন নতুন বিষয় জানানোর প্রতি তাঁর আগ্রহ শ্রমণাকে তাঁর কাজের প্রতি আরও যত্নশীল ও নিখুঁত করে তুলেছে। নিজের পেশাগত জীবনের বাইরে শ্রমণার নেশা বই পড়া। নানা ধরনের বই পড়ার পাশাপাশি হালফিলের ওয়েব সিরিজ দেখেও অবসর সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। নানা বিষয়ের প্রতি আগ্রহই তাঁর সৃজনশীলতাকে সজীব করে রাখে সব সময়। নিজের কাজ ও জীবনধারার প্রতি স্বচ্ছ ও তাজা দৃষ্টিভঙ্গী রাখেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অধিকারী মিডিয়া প্রফেশনাল শ্রমণা গোস্বামী নিজের কাজের প্রতি যত্নশীল ও দায়িত্ববান। "... আরও পড়ুন

পরের খবর

Astrologyসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল
ট্রেন্ডিং