অ্যাপশহর

Loknath Baba: জন্মাষ্টমী তিথিতে জন্মেছিলেন লোকনাথ, তাঁর ২০টি অমোঘ বাণীতে সুখী হবে জীবন

Loknath Brhamachari: জন্মাষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবা লোকনাথ। উত্তর ২৪ পরগণা থেকে কিছুটা দূরে কচুয়া নামক গ্রামে এই ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। বাবা লোকনাথ যুগপুরুষ। ছোটবেলা থেকেই নিজের সেবাযত্ন, উপদেশ দিয়ে সকলকে সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি। তিথি অনুযায়ী আজই তাঁর জন্মদিন। এই উপলক্ষে তাঁর কিছু বাছাই করা উপদেশ তুলে ধরা হল এখানে।

Produced byপ্রিয়াঙ্কা রাম | EiSamay.Com 19 Aug 2022, 9:33 am
Baba Loknath: জন্মাষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী। তিথি অনুযায়ী আজ বাবা লোকনাথের জন্মদিবস। জানা যায়, ১১৩৭ বঙ্গাব্দে ১৮ ভাদ্র উত্তর ২৪ পরগণা থেকে কিছুটা দূরে কচুয়া গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে এই জন্মাষ্টমী তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেন যুগ পুরুষ বাবা লোকনাথ। তার পিতার নাম রামনারায়ণ ও মায়ের নাম কমলাদেবী। নিজের অমোঘ বাণীর মাধ্যমে সকলকে সহজে ও সুখে জীবনযাপন করার পথ দেখিয়েছেন লোকনাথ। আজ, জন্মাষ্টমী তিথি উপলক্ষে জেনে নিন বাবা লোকনাথের কিছু বাণী, যা আপনার দুঃখ, কষ্ট ও সমস্যা সমাধানের পথ দেখাবে।
EiSamay.Com loknath baba
Loknath Brahmachari: রণে, বনে, জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি, আমিই রক্ষা করবো।


১. গর্জন করবি কিন্তু আহাম্মক হবি না, ক্রোধ করবি কিন্তু ক্রোধান্ধ হবি না।

২. যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ আর যিনি কায়মনোবাক্যে সকলের কল্যাণ সাধন করেন তিনি যথার্থ জ্ঞানী।

Chanakya Niti: চাণক্যের সাবধানবাণী! স্ত্রীকে ভুলেও বলবেন না এই ৪ কথা, না-হলে...
৩. আমিও তোদের মত খাই-দাই মল-মূত্র ত্যাগ করি। আমাকেও তোদের মতোই একজন ভেবে নিস। আমাকে তোরা শরীর ভেবে ভেবেই সব মাটি করলি আর আমি যে কে, তা আর কাকে বোঝাবো। সবাই তো ছোট ছোট চাওয়া নিয়ে ভুলে রয়েছে, জানল না প্রকৃত আমি কে?

৪. অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা আর তা ব্যয় করার সময় বিশ্ব দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্য চিন্তা করে কোনও লাভ নেই।

৫. যাহারা আমার নিকট আসিয়া, আমার আশ্রয় গ্রহণ করে তাহাদের দুঃখে আমার হৃদয় আদ্র হয়। এই আদ্রতাই আমার দয়া ইহাই আমার শক্তি, যা তাদের উপর প্রসারিত হয় এবং তাহাদের দুঃখ দূর হয়।

৬. যে কর্ম মনে তাপ সৃষ্টি করে তাই পাপ। যে কর্মের মধ্য দিয়ে আত্মসচেতনতা বা শক্তির ভাব মনকে ভরিয়ে তোলে, তাই পুণ্য এবং স্বর্গ তুল্য।

৭. পিতা-মাতা তাঁরা যতই বৃদ্ধ হোক না-কেন পিতামাতাই। তাঁদের খুশি করার জন্য বিরক্ত না হয়ে বার বার তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিবি। আর কোনও কারণ জিজ্ঞাসা না-করে তাঁদের ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করবি।

৮. সূর্য উঠলে যেমন আধার পালিয়ে যায়, গৃহস্থের ঘুম ভেঙে গেলে যেমন চোর পালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বার বার বিচার করলে খারাপ কাজ করার প্রবৃত্তি পালিয়ে যাইবে।

ভুলেও এঁদের সঙ্গে বিবাদ বাঁধাবেন না, বাড়বে ক্ষতি, সম্মানহানি! সতর্ক করছে মনুস্মৃতি
৯. গীতা কি আর নিত্য পাঠ করাপর জিনিস, গীতা যে গীতা। গীতা পাঠ করলে কী হবে, শোনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি জীব হৃদয়ে বসে যে ভগবান নিত্য গীতা শোনাচ্ছেন, যেদিন শুনবি সেদিন গীতা হয়ে যাবি।

১০. সত্যের মতো পবিত্র আর কিছু নেই, সত্যিই স্বর্গ গমনের একমাত্র সোপান রূপ সন্দেহ নেই।

১১. আমি শরীর ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু ভক্তের রক্ষা করার জন্য আমি সর্বদাই ভক্তের সঙ্গে রয়েছি। তোদের চোখ নেই, তাই তো তোরা আমায় দেখেও দেখিস না।

১২. যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ, ধার্মিক, সত্যচারী, উদারচিত্ত, ভক্তিপরায়ন, জিতেন্দ্রিয়, মর্যাদা রক্ষা করতে জানে আর কখনও আপন সন্তানকে পরিত্যাগ করেন না, এমন ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন।

১৩. আমার ওপর আস্থা, বিশ্বাস, যা বাড়বে, ততই তোদের সর্ব অভীষ্ট সফল হবে।

১৪. প্রতিদিন রাতে শোবার সময় সারাদিনের কাজের হিসেব-নিকেশ করবি। অর্থাৎ ভালো কাজ কী কী করেছিস আর খারাপ কাজ কী কী করেছিস? যে সকল খারাপ বলে বিবেচনা করলি, সে সকল কাজ আর যাতে না করতে হয় সেদিকে খেয়াল রাখবি।

Guru Purnima 2022: জ্ঞান অর্জন, ঈশ্বর লাভ সম্পর্কে কী বলেছিলেন রামকৃষ্ণদেব? রইল তাঁর অমরবাণী
১৫. দীন দরিদ্র অসহায় মানুষের হাতে যখন যা দিবি তা আমিই পাব, আমি গ্রহণ করব। দরিদ্রতায় ভরা সমাজের দুঃখ দূর করার চেষ্টা করবি।

১৬. অন্ধকার ঘরে থাকিলে, তোকে যদি কেহ জিগ্যেস করে তুই কে? তুই বলিস ‘আমি’। আমাকে যদি কেহ জিগ্যেস করে আমিও বলি ‘আমি’।
নামে নামে এত মিত্রতা হয় আর আমিতে আমিতে কী কোনও মিত্রতা হইতে পারে না?

১৭. ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে ভগবান তার মঙ্গল করেন।

১৮. এই বিরাট সৃষ্টির মধ্যে এমন কিছু নেই যাকে উপেক্ষা করা চলে বা ছোট ভাবা যায়। প্রতিটি সৃষ্টি বস্তু বা প্রাণী নিজ নিজ স্থলে স্বমহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আছে জানবি।

১৯. সচেতন হতে হবে। অচেতনাই জীবনের ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরন্তর অভ্যাস এবং চেষ্টার ফলে তাকে সচেতনতায় রূপান্তরিত করতে হবে।

২০. রণে, বনে, জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি, আমিই রক্ষা করবো।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
প্রিয়াঙ্কা রাম
"প্রিয়াঙ্কা রাম সংবাদ জগতের সঙ্গে এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্ত। বিভিন্ন মহলের সংবাদ ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের নানান প্রতিবেদন পরিবেশনের মাধ্যমে তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি তথ্যসমৃদ্ধ ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ। যা তাঁকে সংবাদ জগতে সম্মান ও জনপ্রিয়তা অর্জনে সাহায্য করেছে। ২০১০ সালে মিডিয়ায় তাঁর পথ চলা শুরু। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তাঁর হাতেখড়ি। তার পর সংবাদ পত্র ও বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত। নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ওপর ভর করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন তিনি। জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ। প্রিয়াঙ্কা জ্যোতিষের একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত করে এই প্রাচীন বিজ্ঞানের সূক্ষ্মতা সম্পর্কে পাঠকদের ওয়াকিবহাল করতে পেরেছেন। বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা এই সংস্থার জ্যোতিষ বিভাগে কাজ করছেন। তিনি দক্ষতার সঙ্গে সঠিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও নিরপেক্ষ সংবাদ তাঁর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। ২০২২ সালের মে মাস এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রিয়াঙ্কা জ্যোতিষ বিজ্ঞানের নানান গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত করে পাঠকদের সমৃদ্ধ করেছেন। সাম্প্রতিক তথ্য প্রদান ও নিজের বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতার জোরে পাঠকদের সামনে সঠিক সময়ে সঠিক সংবাদ তুলে ধরছেন তিনি। অবসর সময়ে প্রিয়াঙ্কা বই পড়তে ও গান শুনতে ভালোবাসেন। এর মাধ্যমেই তিনি মানসিক শান্তি খুঁজে পান ও নিজেকে উৎসাহিত রাখেন।"... আরও পড়ুন

পরের খবর

ট্রেন্ডিং