এই সময় অ্যাস্ট্রো ডেস্ক: জ্যোতিষে নানান যোগের উল্লেখ পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে কিছু যোগ শুভ আবার কোনও কোনও যোগের প্রভাবে ব্যক্তি অশুভ ফল লাভ করে থাকে। এমনই একটি যোগ হল বিষ কুম্ভ যোগ। জাতকের কোষ্ঠিতে এই যোগ থাকলে ব্যক্তির প্রতি পদে সমস্যায় পড়ে। আবার সাফল্যের দোড়গোড়ার দাঁড়িয়েও অসাফল্য হাতে আসে। জেনে নিন কী ভাবে এই যোগ সৃষ্টি হয় এবং এর কারণে ব্যক্তিকে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কখন সৃষ্টি হয় বিষ কুম্ভ যোগ
শনি ও চন্দ্রের যুতি হলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। কোষ্ঠিতে বিষ যোগ বা বিষ কুম্ভ যোগ দেখা দেয় শনি ও চন্দ্রের কারণে। শনি তৃতীয়, সপ্তম বা দশম কক্ষ থেকে চন্দ্রের লগ্ন স্থান বা চন্দ্রের ওপর দৃষ্টি রাখলে এই যোগ সৃষ্টি হয়।
আবার শনি কর্কট রাশিতে পুষ্য নক্ষত্রে ও চন্দ্র মকর রাশিতে শ্রবণ নক্ষত্রে থাকলে অথবা চন্দ্র ও শনি বিপরীত পরিস্থিতিতে হলে ও নিজের নিজের স্থান থেকে একে অপরকে দেখতে থাকলে বিষ যোগ সৃষ্টি হয়।
অন্য দিকে, কোষ্ঠির অষ্টম স্থানে রাহু উপস্থিত থাকলে এবং শনির (মেষ, কর্কট, সিংহ, বৃশ্চিক) লগ্ন স্থানে উপস্থিতি বিষ কুম্ভ যোগ সৃষ্টি করে।
বিষ কুম্ভ যোগের ফলে জীবনে কী সমস্যা দেখা দেয়
১. ব্যক্তির কোষ্ঠিতে এই যোগ থাকলে, তাঁর মনে সব সময় দুঃখ থাকে। পরিবারের সদস্যরা কাছে থাকা সত্ত্বেও এঁরা একাকীত্ব অনুভব করেন।
২. এমন জাতকদের জীবনে সত্যিকারের ভালোবাসার অভাব থাকে। এঁরা শত চেষ্টা সত্ত্বেও মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত থেকে যান বা নিজের ত্রুটির কারণে সেই ভালোবাসা গ্রহণ করতে পারে না।
৩. যে জাতকের কোষ্ঠিতে বিষ কুম্ভ যোগ থাকে, তাঁরা গভীর হতাশায় নিমজ্জিত থাকেন। মনে কুণ্ঠাবোধ থাকে। মায়ের ভালোবাসা না-পাওয়ায় হতাশ থাকেন এঁরা।
৪. বিষ যোগের কারণে ব্যক্তির মনে মৃত্যু ভয়, ভয় থাকে। এমন জাতক অপযশ, রোগ, দারিদ্র, আলস্য ও ঋণ গ্রস্ত হয়ে থাকেন।
৫. এই যোগের প্রভাবে ব্যক্তির মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনার সঞ্চার হয়। এর ফলে সফল কাজও ভেস্তে যায়।
৬. শনি বা চন্দ্রের যে কোনও ধরনের সম্পর্ক থাকলে, অর্থাৎ বিষ কুম্ভ যোগ দেখা দিলে মায়ের আয়ু কমতে পারে।
বিষ কুম্ভ যোগ থেকে মুক্তির উপায়
১. বিষ কুম্ভ যোগের অশুভ প্রভাব কম করার জন্য শিবের আরাধনা করা উচিত। প্রতিদিন ১০৮ বার ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করুন। এ ছাড়াও প্রতি সোমবার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা উচিত।
২. এই যোগের অশুভ ফল থেকে মুক্তির জন্য বজরংবলীর পুজো করা উচিত। প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার বজরংবলীর পুজো করুন।
শনি ও চন্দ্রের যুতি হলে এই যোগ সৃষ্টি হয়। কোষ্ঠিতে বিষ যোগ বা বিষ কুম্ভ যোগ দেখা দেয় শনি ও চন্দ্রের কারণে। শনি তৃতীয়, সপ্তম বা দশম কক্ষ থেকে চন্দ্রের লগ্ন স্থান বা চন্দ্রের ওপর দৃষ্টি রাখলে এই যোগ সৃষ্টি হয়।
আবার শনি কর্কট রাশিতে পুষ্য নক্ষত্রে ও চন্দ্র মকর রাশিতে শ্রবণ নক্ষত্রে থাকলে অথবা চন্দ্র ও শনি বিপরীত পরিস্থিতিতে হলে ও নিজের নিজের স্থান থেকে একে অপরকে দেখতে থাকলে বিষ যোগ সৃষ্টি হয়।
অন্য দিকে, কোষ্ঠির অষ্টম স্থানে রাহু উপস্থিত থাকলে এবং শনির (মেষ, কর্কট, সিংহ, বৃশ্চিক) লগ্ন স্থানে উপস্থিতি বিষ কুম্ভ যোগ সৃষ্টি করে।
বিষ কুম্ভ যোগের ফলে জীবনে কী সমস্যা দেখা দেয়
১. ব্যক্তির কোষ্ঠিতে এই যোগ থাকলে, তাঁর মনে সব সময় দুঃখ থাকে। পরিবারের সদস্যরা কাছে থাকা সত্ত্বেও এঁরা একাকীত্ব অনুভব করেন।
২. এমন জাতকদের জীবনে সত্যিকারের ভালোবাসার অভাব থাকে। এঁরা শত চেষ্টা সত্ত্বেও মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত থেকে যান বা নিজের ত্রুটির কারণে সেই ভালোবাসা গ্রহণ করতে পারে না।
৩. যে জাতকের কোষ্ঠিতে বিষ কুম্ভ যোগ থাকে, তাঁরা গভীর হতাশায় নিমজ্জিত থাকেন। মনে কুণ্ঠাবোধ থাকে। মায়ের ভালোবাসা না-পাওয়ায় হতাশ থাকেন এঁরা।
৪. বিষ যোগের কারণে ব্যক্তির মনে মৃত্যু ভয়, ভয় থাকে। এমন জাতক অপযশ, রোগ, দারিদ্র, আলস্য ও ঋণ গ্রস্ত হয়ে থাকেন।
৫. এই যোগের প্রভাবে ব্যক্তির মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনার সঞ্চার হয়। এর ফলে সফল কাজও ভেস্তে যায়।
৬. শনি বা চন্দ্রের যে কোনও ধরনের সম্পর্ক থাকলে, অর্থাৎ বিষ কুম্ভ যোগ দেখা দিলে মায়ের আয়ু কমতে পারে।
বিষ কুম্ভ যোগ থেকে মুক্তির উপায়
১. বিষ কুম্ভ যোগের অশুভ প্রভাব কম করার জন্য শিবের আরাধনা করা উচিত। প্রতিদিন ১০৮ বার ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করুন। এ ছাড়াও প্রতি সোমবার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা উচিত।
২. এই যোগের অশুভ ফল থেকে মুক্তির জন্য বজরংবলীর পুজো করা উচিত। প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার বজরংবলীর পুজো করুন।