অ্যাপশহর

Maha Shivratri 2023: মহাশিবরাত্রিতে অবশ্যই বাড়ি আনুন এই ৬ জিনিস, থাকবে না কোনও দুঃখ

Maha Shivratri 2023 Rituals: হিন্দু ধর্মে মহাশিবরাত্রি তিথির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই তিথিতে শিব ও পার্বতী-সহ সমস্ত শিব পরিবারের পুজো করা হয়ে থাকে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, এই তিথিতে বাড়িতে কিছু সামগ্রী আনা অত্যন্ত শুভ। কী আনবেন জেনে নিন।

Produced byপ্রিয়াঙ্কা রাম | EiSamay.Com 14 Feb 2023, 1:53 pm
মহাদেবকে সমর্পিত মহাশিবরাত্রি আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার পালিত হবে। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি পালিত হয়। এ বছর ১৮ তারিখ এই ব্রত পালন করা হবে। এ দিন মহাদেবের পূজার্চনা করলে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। শিবের অপর নাম ভোলানাথ, সামান্য জল, ভাঙ, বেলপাতা, ধুতরো ফুলেই তুষ্ট হন তিনি। এ ছাড়াও কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যা শিবের অত্যন্ত প্রিয়। শাস্ত্র মতে এই সমস্ত জিনিস মহাশিবরাত্রির দিনে বাড়ি নিয়ে এলে সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। শিবের প্রিয় এই জিনিসগুলি বাড়িতে রাখলে আর্থিক সম্পন্নতা আসে। এই তিথিতে কোন কোন জিনিস বাড়ি আনবেন, জেনে নিন এখানে।
EiSamay.Com Maha Shivratri 2023
মহাশিবরাত্রির দিনে বাড়িতে শিবলিঙ্গ ও রুদ্রাক্ষ আনা শুভ। ছবি: Pixabay


রুপোর নন্দী

পুরাণ অনুযায়ী নন্দী শিবের বাহন। প্রতিটি শিব মন্দিরে প্রবেশের মুখে নন্দীর মূর্তি থাকে। মহাশিবরাত্রির দিনে নন্দীর পুজো করা হয়। জ্যোতিষ অনুযায়ী কোনও ব্যক্তির জীবন অর্থাভাবে জড়িয়ে থাকলে মহাশিবরাত্রির দিনে রুপোর নন্দী বাড়ি আনুন। পুজোর পর বাড়ির লকারে নন্দীর মূর্তি রেখে দিন। এর প্রভাবে ধীরে ধীরে আপনাদের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে।

Mahashivratri 2023: শিবের প্রিয় ধুতরো দূর করবে অর্থাভাব, রোগ! শাস্ত্র জানাচ্ছে এর উপায়
একমুখী রুদ্রাক্ষ

একমুখী রুদ্রাক্ষ শিবের স্বরূপ। হিন্দু ধর্মে এক মুখী রুদ্রাক্ষকে শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। বাড়িতে রুদ্রাক্ষ আনার ইচ্ছা থাকলে মহাশিবরাত্রি তিথিই সর্বশ্রেষ্ঠ। জ্যোতিষীদের মতে শিবের মন্ত্রোচ্চারণের দ্বারা এই রুদ্রাক্ষকে সিদ্ধ করে ধারণ করলে বা বাড়িতে রাখলে সমস্ত সংকট কেটে যায়। লকারে এই রুদ্রাক্ষ রাখতে পারেন। এর প্রভাবে ব্যক্তির জীবনে কখনও অর্থাভাব দেখা দেবে না।

রত্নের শিবলিঙ্গ

মহাশিবরাত্রির দিনে বাড়িতে বিভিন্ন রত্নখচিত শিবলিঙ্গ আনুন। গ্রহ দোষ কাটানোর উল্লেখযোগ্য উপায় হল রত্নের শিবলিঙ্গ বাড়িতে স্থাপন করা। কোনও ব্যক্তির কোষ্ঠীতে গ্রহদোষ থাকে, তা হলে তা কাটানোর জন্য রত্নের শিবলিঙ্গে বাড়ি আনুন। মন্দিরে এই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করে মহাশিবরাত্রির দিনে এর পুজো করুন। তার পর প্রতিদিন রত্নের শিবলিঙ্গের পুজো করবেন। এই উপায়ে গ্রহ দোষ দূর হবে।

Mahashivratri 2023: মহাশিবরাত্রির পুজোয় ভুলেও ব্যবহার করবেন না এই বেলপাতা, রেগে যান ভোলেবাবা!
পারদ শিবলিঙ্গ


বাড়িতে পারদ শিবলিঙ্গ স্থাপন করতে পারেন। শাস্ত্রে এর গুরুত্ব স্বীকার করা হয়েছে। পারদ শিবলিঙ্গ বাড়িতে রাখলে পিতৃ দোষ, কালসর্প দোষ ও বাস্তু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মহাশিবরাত্রি তিথিতে বাড়িতে পারদ শিবলিঙ্গ এনে স্থাপন করতে পারেন। তবে নিয়মিত এই শিবলিঙ্গের পুজো করতে হবে। পাশাপাশি শিব মন্ত্র জপ করতে হবে।

তামার ঘট

মহাশিবরাত্রি তিথিতে তামার ঘট দিয়ে শিবের পুজো করে তাঁকে প্রসন্ন করা যেতে পারে। পারিবারিক কলহ, বিবাদ বেঁধে থাকলে সেই পরিবারে তামার ঘট রাখা উচিত। এর ফলে কলহ ও বিবাদের সমাপ্তি ঘটবে। মহাশিবরাত্রি তিথিতে তামার ঘট কিনে বাড়ি আনুন। এর ফলে শুভ ফলাফল লাভ করবেন।

Maha Shivratri 2023: অতি দুর্লভ সংযোগে মহশিবরাত্রি, চার প্রহরের পুজোর সময় জেনে নিন এখনই
মহামৃত্যুঞ্জয় যন্ত্র

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী যে পরিবারে নিয়মিত মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের পুজো হয়, সেখানে কেউ কখনও অসুস্থ হয় না। রোগ, অর্থাভাব থেকে সেই পরিবারের সদস্যরা মুক্ত থাকে। এই তিথিতে বাড়িতে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র আনতে পারেন। ঠাকুরঘরে এই যন্ত্র রাখুন ও প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সময়ে এর পুজো করুন। এর ফলে পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকবে।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
প্রিয়াঙ্কা রাম
"প্রিয়াঙ্কা রাম সংবাদ জগতের সঙ্গে এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্ত। বিভিন্ন মহলের সংবাদ ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের নানান প্রতিবেদন পরিবেশনের মাধ্যমে তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি তথ্যসমৃদ্ধ ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ। যা তাঁকে সংবাদ জগতে সম্মান ও জনপ্রিয়তা অর্জনে সাহায্য করেছে। ২০১০ সালে মিডিয়ায় তাঁর পথ চলা শুরু। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তাঁর হাতেখড়ি। তার পর সংবাদ পত্র ও বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত। নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ওপর ভর করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন তিনি। জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ। প্রিয়াঙ্কা জ্যোতিষের একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত করে এই প্রাচীন বিজ্ঞানের সূক্ষ্মতা সম্পর্কে পাঠকদের ওয়াকিবহাল করতে পেরেছেন। বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা এই সংস্থার জ্যোতিষ বিভাগে কাজ করছেন। তিনি দক্ষতার সঙ্গে সঠিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও নিরপেক্ষ সংবাদ তাঁর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। ২০২২ সালের মে মাস এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রিয়াঙ্কা জ্যোতিষ বিজ্ঞানের নানান গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত করে পাঠকদের সমৃদ্ধ করেছেন। সাম্প্রতিক তথ্য প্রদান ও নিজের বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতার জোরে পাঠকদের সামনে সঠিক সময়ে সঠিক সংবাদ তুলে ধরছেন তিনি। অবসর সময়ে প্রিয়াঙ্কা বই পড়তে ও গান শুনতে ভালোবাসেন। এর মাধ্যমেই তিনি মানসিক শান্তি খুঁজে পান ও নিজেকে উৎসাহিত রাখেন।"... আরও পড়ুন

পরের খবর

ট্রেন্ডিং