অ্যাপশহর

Durga Puja 2022: আজ মহাষষ্ঠী, পুজোর শুরু দেবীর বোধন দিয়ে! জানুন এই প্রথার মাহাত্ম্য

Durga Puja এই বছর অক্টোবর মাসের একদম শুরুতেই। ১ অক্টোবর পালিত হচ্ছে মহাষষ্ঠী। ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন করা হয়। একে অকাল বোধন বলা হয়। কারণ শাস্ত্র শরত্‍কাল সূর্যের দক্ষিণায়নে দেবতাদের নিদ্রার সময়। তাই পুজো করার আগে দেবীর ঘুম ভঙানো জরুরি। অসময়ে ঘুম ভাঙানো হচ্ছে বলে একে অকাল বোধন বলা হয়ে থাকে।

EiSamay.Com 1 Oct 2022, 8:22 am
Durga Puja শুরু হয়ে গিয়েছে মহা ধূমধামের সঙ্গে। গত দু-বছর করোনা আবহে দুর্গাপুজোর উপর নানা বিধি নিষেধ ছিল। এই বছর থেকে আবার স্বমহিমায় ফিরেছে বাঙালির প্রাণের উত্‍সব দুর্গাপুজো। এই বছর অক্টোবরের শুরুতেই পুজো। ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার পালিত হচ্ছে দুর্গাষষ্ঠী।
EiSamay.Com Durga1
Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোয় অকাল বোধনের মাহাত্ম্য


মহাশক্তির মহাপূজার সূচনা হয় বোধনের মধ্যে দিয়ে৷ দেবীপক্ষের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে দেবীকে উদবোধিত করা হয়৷ কৃত্তিবাসী রামায়ণ-এর দুর্গাপুজোর বিবরণের থেকে পৌরাণিক দুর্গাপূজার বিবরণ কিছুটা আলাদা। কালিকাপুরাণ অনুসারে, রাবণবধে রামচন্দ্রকে সাহায্য করার জন্য রাত্রিকালে দেবীর বোধন করেছিলেন ব্রহ্মা।

Durga Puja Weather Predition: ভাসাবে বৃষ্টি! পুজোর ক'দিন কেমন আবহাওয়া? জানুন জ্যোতিষগণনা
পুরাণ মতে, সূর্যের উত্তরায়ন হচ্ছে দেবতাদের দিন। উত্তরায়নের অর্থ বিষুবরেখা থেকে সূর্যের ক্রমশ উত্তরে গমন। সূর্যের এই গমনে সময় লাগে ছয় মাস। এই ছয় মাস দেবতাদের একদিনের সমান। দিনের বেলায় জাগ্রত থাকেন দেবতারা। তাই দিনেই দেবতাদের পুজো করা শাস্ত্রের বিধান। অন্যদিকে সূর্যের দক্ষিণায়ন হল দেবতাদের রাত। দক্ষিণায়ন অর্থ বিষুবরেখা থেকে সূর্যের ক্রমশ দক্ষিণে গমন। সূর্যের এই গমনকালের ব্যপ্তিও ছয় মাস। দক্ষিণায়নের ছয় মাস দেবতাদের একরাতের সমান। স্বাভাবিক ভাবেই এই সময় দেবতারা ঘুমোন। সেই কারণেই রাতে পুজো করার বিধান নেই শাস্ত্রে।

Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোয় এই জিনিসগুলি ঘরে আনুন, দেবীর আশীর্বাদে খুলবে ভাগ্য
শরৎকাল দক্ষিণায়ণের সময়, দেবতাদের রাত্রিকাল। তাই শরৎকাল পূজার্চনার জন্য় উপযুক্ত সময় নয় - ‘অকাল’। অকালে দেবতার পুজো করতে হলে তাঁকে জাগরিত করতে হয়। জাগরনের এই প্রক্রিয়াটিই হল ‘বোধন’। সেই কারণে দুর্গাপুজো শুরু হয় দেবীর অকাল বোধন করে।

এই অকালে শ্রীরামচন্দ্র অশুভ শক্তির প্রতীক রাবণ রাজাকে পরাজিত করতে শক্তি সঞ্চারে মায়ের পুজো করেছিলেন। তাই এই পুজোকে অকাল বোধন বলা হয়। আবার উক্ত সময়টি শরৎকাল হওয়ায় একে শারদীয়া দুর্গা পুজো বলা হয়ে থাকে। কিন্তু ঘুমন্ত দেবীকে জাগ্রত করার জন্য স্বয়ং ব্রহ্মাকে দেবীস্তুতি করতে হয়েছিল৷ 'হে দেবী রাবণবধের জন্য রামকে অনুগ্রহ করুন ও জাগ্রতা হোন'৷ - ব্রহ্মার এই আবেদনে দেবী বেল গাছের একটি পাতায় কুমারী কন্যার রূপে আবির্ভূতা হন৷

দেবীর সেই আবির্ভাবকে স্মরণ করে আজও দেবীপুজোর প্রাক্কালে তাঁকে জাগ্রত করা হয়৷ বিল্ববৃক্ষে তাঁকে উদবোধিত করার যে অনুষ্ঠান তাই বোধন৷ ষষ্ঠীতিথির সন্ধ্যায় প্রথমে দেবীর বোধন, পরে অধিবাস ও আমন্ত্রণ করা হয়৷ শৈলশিখর কৈলাস থেকে তিনি আসছেন৷ তাই তাঁকে যথাযথ আমন্ত্রণ করে এই দিনের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

পরের খবর

ট্রেন্ডিং