অ্যাপশহর

বড়দিনের আগেই ক্রিসমাস ট্রি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জেনে নিন...

বড়দিনে বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে থাকি আমরা প্রায় সবাই। বড়দিন মূলত ক্রিশ্চান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উত্‍সব হলেও অন্য ধর্মের মানুষরাও এই দিনটি পালন করেন। বড়দিনে কেন ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় তা জানা আছে কি?

EiSamay.Com 22 Dec 2020, 3:53 pm

হাইলাইটস

  • উত্তর ইওরোপের মানুষ বিশ্বাস করতেন যে বাড়িতে চিরসবুজ এই ফার গাছ লাগালে অশুভ শক্তি দূরে সরে যায়।
  • সেখান থেকেই বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রথা শুরু হয়।
  • আর এখন তো আলোর মালার সঙ্গে খেলনা, চকোলেট, ঘণ্টা সবই ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ক্রিসমাস ট্রি থেকে।
EiSamay.Com christmas tree
ক্রিসমাস ট্রি
এই সময় অ্যাস্ট্রো ডেস্ক: এসে গেল ক্রিশ্চান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উত্‍সব বড়দিন। শুধু ক্রিশ্চানরা নন, গোটা বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের মানুষও এই দিনটি পালন করেন। ২৫ ডিসেম্বর কেক কাটা বা আলো দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো আমরা প্রায় সবাই করে থাকি। বড়দিনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে ক্রিসমাস ট্রি। কিন্তু কেন বড়দিন বলতেই আলোর মালায় সাজা ক্রিসমাস ট্রি আমাদের চোখে ভেসে ওঠে, সেটা জানেন?
মনে করা হয়, হাজার হাজার বছর আগে উত্তর ইওরোপে প্রথম ক্রিসমাস ট্রি-র প্রথা শুরু হয়। সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয় এই গাছকে। উত্তর ইওরোপের মানুষ বিশ্বাস করতেন যে বাড়িতে চিরসবুজ এই ফার গাছ লাগালে অশুভ শক্তি দূরে সরে যায়। সেখান থেকেই বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রথা শুরু হয়। আর এখন তো আলোর মালার সঙ্গে খেলনা, চকোলেট, ঘণ্টা সবই ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ক্রিসমাস ট্রি থেকে।

যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালন তো বটেই, সঙ্গে সূর্যেরও আরাধনা হয় বড়দিনে
উত্তর ইওরোপের মানুষ বিশ্বাস করতেন যে বাড়িতে চিরসবুজ এই ফার গাছ লাগালে অশুভ শক্তি দূরে সরে যায়। সেখান থেকেই বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রথা শুরু হয়। আর এখন তো আলোর মালার সঙ্গে খেলনা, চকোলেট, ঘণ্টা সবই ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ক্রিসমাস ট্রি থেকে।

তবে ইতিহাসবিদরা জানাচ্ছেন যে যিশু খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে থেকে চিরসবুজ এই ফার গাছ আলোর মালায় সাজানোর প্রথা প্রচলিত ছিল। ২০০০ বছরেরও অনেক আগে থেকে প্রাচীন পেগান ধর্মাবলম্বীরা উর্বরতার প্রতীক হিসেবে এই গাছ সাজিয়ে তার উপাসনা করতেন। ল্যাটভিয়া এবং পূর্ব ইওরোপের কয়েকটি দেশে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রথা প্রচলিত ছিল। এর পরে জার্মানিতে এই প্রথা চালু হয়।

এই বছর ঘরে বসেই যে ভাবে পালন করবেন বড়দিন
যিশু খ্রিস্টের জন্মের সঙ্গেও ক্রিসমাস ট্রি যুক্ত আছে। যিশুর জন্মের পর যাঁরা তাঁর বাবা-মা জোসেফ ও মেরিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেদের বাড়ির এই চিরসবুজ ফার গাছ আলো দিয়ে সাজিয়ে দেন। সেই থেকে যিশুর জন্মদিনে এই গাছ আলোর মালায় সাজানোর প্রথা প্রচলিত। আরও বিশ্বাস রয়েছে যে এই গাছ আদম ও ইভের খেলার জন্য প্রথম পোঁতা হয়েছিল। ১৬শ শতকে আধুনিক ক্রিসমাস ট্রি প্রথম জার্মানিতে দেখা যায়। ১৮শ শতকে প্রায় গোটা বিশ্বেই ক্রিসমাস ট্রি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী ১৮৪০ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী প্রিন্স অ্যালবার্ট ইংল্যান্ড এই প্রথা চালু করেন। সেখান থেকে এই প্রথা আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। ষোলশ শতকে প্রোটেস্ট্যান্ট রিফর্মার মার্টিন লুথার প্রথম ক্রিসমাস ট্রি আলো দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন। তিনি মোমবাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে তোলেন।

আগে সবাই বড়দিনে আসন ফার গাছ নিয়ে এসে তাকে সাজাতেন। ১৯ শতকে জার্মানিতে প্রথম কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রথা জনপ্রিয় হয়। তারপরে আমেরিকায় কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি সাজানো শুরু হয়। একটি পরিণত বয়সের ক্রিসমাস ট্রি-এর দৈর্ঘ্য হয় ৬-৭ ফুট। এই উচ্চতায় পৌঁছতে গাছটির ১৫ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।


এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।

পরের খবর

Astrologyসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল
ট্রেন্ডিং