অ্যাপশহর

Temples Of India: এই নারায়ণ মন্দিরে দুধ খেতে আসেন বাসুকী স্বয়ং! এর রহস্য চমকে দেবে আপনাকেও

Shree Dev Narayan Mandir: ভারতের আর একটি আশ্চর্যকর মন্দির হল রাজস্থানের শ্রী দেব নারায়ণ মন্দির। এই মন্দিরে সম্প্রতি পুজো করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই মন্দিরে রহস্যগুলি তুলে ধরা হল এখানে।

Produced byপ্রিয়াঙ্কা রাম | EiSamay.Com 1 Feb 2023, 5:33 pm
গত ২৮ জানুয়ারি রাজস্থানের শ্রী দেব নারায়ণ মন্দিরে পুজো করেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মন্দিরে নানান রহস্য ও কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে। রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার মালাসেরি ডুঙ্গরি গ্রামে এই মন্দিরটি অবস্থিত। এখানে শ্রী দেবনারায়ণের পুজো করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী তিনি বিষ্ণুর অবতার। সমগ্র দেশে তাঁর পুজো করা হয়ে থাকে। তবে এই মন্দিরের একাধিক অজানা রহস্য রয়েছে। তা-ই তুলে ধরা হল এখানে।
EiSamay.Com Temple
ছবিটি প্রতীকী। সৌজন্য: Pixabay


শ্রী দেব নারায়ণের কাহিনি

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ভিলওয়াড়ায় মালাসেরী ডুঙ্গরিতে মাতা সুডুর অখণ্ড তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে বিষ্ণু প্রকট হন। ৯৬৮ শক সম্বতে মাঘ মাসের ষষ্ঠী-সপ্তমীর রাতে শনিবার দিনে একটি পাহাড় থেকে পদ্মে প্রকট হন তিনি। প্রচলিত কিংবদন্তী অনুযায়ী তখন কিছু সময়ের জন্য মালাসেরী সোনার হয়ে গিয়েছিল। এ সময় ইন্দ্র বর্ষা করান এবং ৩৩ কোটি দেবতারা পুষ্প বর্ষণ করেন।

Bheyt Dwarka: এই মন্দিরে চাল দান করলে ঘুচবে দারিদ্র্য, এক মুঠো উপহারে এখানেই ভাগ্য ফিরেছিল সুদামার!
মনে করা হয় যে, এ সময় স্বর্গ থেকে পাঁচটি গোরুও আসে। এই অবতারের ঠিক ৬ মাস আগে ষষ্ঠীর দিনে এই স্থানে এক অন্য সুরঙ্গ থেকে ঘোড়া লীলাধর ও তার পাশের সুরঙ্গ থেকে নাগ বাসুকী আবির্ভূত হন। যে স্থানে পদ্মফুল প্রকট হয়েছিল, সেখানে অনন্ত সুরঙ্গ রয়েছে। এখানেই আবার দেববারায়ণের মূর্তি রয়েছে এবং মন্দিরে অখণ্ড জ্যোতি জ্বলতে থাকে। দেবের তিন রানির মধ্যে একজন ছিলেন পীপলদে ধারার পরমার রাজার কন্যা। অন্য দুই রানির মধ্যে একজন ছিলেন নাগকন্যা ও দৈত্যকন্যা।

Bhalka Tirth: এখানেই দেহত্যাগ করেন কৃষ্ণ, অভিশাপের জালেই ধ্বংস হয় যদুবংশ!
মন্দিরের রহস্য

শ্রী দেব নারায়ণ মন্দিরের একাধিক রহস্য রয়েছে। এর কোনও রহস্যেরই এখনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তার মধ্যে একটি এই গুফার মধ্যে কোনও বিদ্যুৎ উপকরণ কাজ করে না। আবার এই স্থানে যে পাথর পাওয়া যায়, তার সঙ্গে অন্য কোনও স্থানের পাথরের কোনও সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে কিছু কিছু গবেষকদের মতামত অনুযায়ী ভূমিকম্পের ফলে এই পাথরের উৎপত্তি হয়েছে।

ভারতের এই চার নদীর জল স্পর্শ করতে ভয় পান অনেকে, কেন জানেন?
আবার এ-ও মনে করা হয় যে, এখানে প্রতিদিন বাসুকী নাগ দুধ পান করতে আসেন। তাই সেখানে দেশী গোরুর দুধ রাখা হয়। ভাগ্যবান ব্যক্তিরা বাসক নাগের দর্শন লাভ করেছেন। এই মন্দিরে শত বছর ধরে গুর্জর সমাজের পোসওয়াল গোত্রের ভোপাজী পুজো করে আসছেন। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে প্রচুর ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এখানে ১২ মাসে ২৪ ঘণ্টা ভাণ্ডারা হয়।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
প্রিয়াঙ্কা রাম
"প্রিয়াঙ্কা রাম সংবাদ জগতের সঙ্গে এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্ত। বিভিন্ন মহলের সংবাদ ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের নানান প্রতিবেদন পরিবেশনের মাধ্যমে তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি তথ্যসমৃদ্ধ ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ। যা তাঁকে সংবাদ জগতে সম্মান ও জনপ্রিয়তা অর্জনে সাহায্য করেছে। ২০১০ সালে মিডিয়ায় তাঁর পথ চলা শুরু। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তাঁর হাতেখড়ি। তার পর সংবাদ পত্র ও বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত। নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্যের ওপর ভর করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন তিনি। জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ। প্রিয়াঙ্কা জ্যোতিষের একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত করে এই প্রাচীন বিজ্ঞানের সূক্ষ্মতা সম্পর্কে পাঠকদের ওয়াকিবহাল করতে পেরেছেন। বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা এই সংস্থার জ্যোতিষ বিভাগে কাজ করছেন। তিনি দক্ষতার সঙ্গে সঠিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও নিরপেক্ষ সংবাদ তাঁর পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। ২০২২ সালের মে মাস এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রিয়াঙ্কা জ্যোতিষ বিজ্ঞানের নানান গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত করে পাঠকদের সমৃদ্ধ করেছেন। সাম্প্রতিক তথ্য প্রদান ও নিজের বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতার জোরে পাঠকদের সামনে সঠিক সময়ে সঠিক সংবাদ তুলে ধরছেন তিনি। অবসর সময়ে প্রিয়াঙ্কা বই পড়তে ও গান শুনতে ভালোবাসেন। এর মাধ্যমেই তিনি মানসিক শান্তি খুঁজে পান ও নিজেকে উৎসাহিত রাখেন।"... আরও পড়ুন

পরের খবর

ট্রেন্ডিং